ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি জগতে রাফি ইসলাম এক সুপরিচিত নাম। ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে তিনি একজন দক্ষ ও সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিত।
তিনি আপওয়ার্ক এবং ফাইভারের একজন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার। ৭০০-এর অধিক প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন। এ পর্যন্ত শুধু ফ্রিল্যান্সিং করে প্রায় দুই লাখ ডলারের বেশি আয় করেছেন।
রাফি শুধু নিজে কাজ করেই থেমে থাকেননি, বরং নতুন প্রজন্মকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করেছেন।
তিনি ‘স্কিল শিখি’ নামে একটি আইটি কো¤পানির মালিক, যেখানে মানুষকে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখিয়ে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলছেন।
রাফি ইসলামের ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে ছোট ছোট কাজ নিয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে তিনি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের মতো বৃহত্তর ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেন।
কঠোর পরিশ্রম, দক্ষথা ও মেধার কারণে তিনি আন্তর্জাতিক মার্কেটে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। রাফি ইসলাম বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এবং নিজের প্যাশনকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি।’
রাফি ইসলামের গল্পটি শুধুমাত্র তার পেশাগত সাফল্যের নয়, এটি একজন মানুষের একাগ্রতা ও নিষ্ঠার গল্প। তিনি তার অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের সাথে শেয়ার করছেন, যেন তার মত আরও অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারেন।
রাফি বলেন, ‘যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম, তখন তেমন কাউকে পাইনি যে, আমাকে পথ দেখাবে। তাই এখন আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অন্যদের সহায়তা করতে চাই।’
রাফি ইসলাম শুধু প্রশিক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না। তিনি ইউটিউব ও ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন আর্নিং এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন।
তার শিক্ষামূলক ভিডিওগুলো অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। রাফি ইসলামের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
তার একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে শুধু একজন সফল ফ্রিল্যান্সার নন, বরং নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছেন।
‘স্কিল শিখি’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাফি ইসলাম ফ্রিল্যান্সিংয়ের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এবং বাংলাদেশের আইটি খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি নতুন প্রজন্মকে শিখিয়ে চলেছেন, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের ও দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা যায়।
রাফি ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যেকোনো মানুষের পক্ষে নিজের জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব, যদি সে সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ পায়।
‘স্কিল শিখি’র মাধ্যমে আমি সেই দিকনির্দেশনা দিতে চাই, যাতে আমাদের দেশের যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।
০ টি মন্তব্য