৬ষ্ঠ
বারের মতো ইন্টারনেট বিশ্বের অংশীজনের
অংশগ্রহণে শেষ হলো বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স
(বিডিসিগ)। আজ ২৮ মে ২০২২, বাংলাদেশ
টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট
গভর্নেন্স ফোরাম এর যৌথ উদ্যোগে
তিনদিন ব্যাপী বিডিসিগ অনুষ্ঠিত হলো। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির সিস্টেম ও সার্ভিসেস বিভাগের
মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, এনডিসি। তিনি বলেন, সরকার এক দেশ এক
রেট চালু করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে এবং প্রান্তিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করা। যদিও সাধারণভাবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
বিটিআরসি
টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিযোগাযোগের সম্প্রসারণ, মোবাইল প্রযুক্তি এবং প্রত্যন্ত, উপকূলীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট-ভিত্তিক ডিজিটাল ডাক পরিষেবার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। হাওর ও পার্বত্য এলাকা,
দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক প্রকল্প, হাওর ও দ্বীপসমুহে হাই-স্পিড মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, হাওর অঞ্চলের মানুষের জন্য টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণ কার্যক্রম।
বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিআইজিএফ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম বজলুর রহমান বিশেষ অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, বিআইজিএফ, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করছে। বিআইজিএফ জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান সংরক্ষণ, জ্ঞান প্রচার এবং জ্ঞান ব্যবহার-এর জন্য সরকারের সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপ ও আলোচনা সভা পরিচালনা করে । এছাড়া বিডিসিগ স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা জোরদার করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি থেকে আইজিএফ এর কার্যক্রম ও এর পথপরিক্রমা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ
ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু অংশগ্রহণকারীদের
স্বাগত জানান এবং বিডিসিগ-এর উপর সংক্ষিপ্ত
উপস্থাপনা দেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
এর আগে ২৬ মে বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া বিডিসিগ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু, এমপি এবং তিনদিনব্যাপী ৬ষ্ঠ বিডিসিগ এর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন ইন্টারনেট আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তবে ইন্টারনেট সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়া উচিত এবং সবার জন্য সমানভাবে তা নিশ্চিত করা উচিত। আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে এবং অন্যান্য ডিভাইস সবার জন্য সহজলভ্য করা উচিত। সবার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি জরুরি বিষয়। জনসাধারণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের হার প্রদানের জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলির জন্য ভ্যাট এবং ট্যাক্স হ্রাস করতে হবে। স্মার্টফোনের দাম কমানো, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডিজিটাল সেল গঠন, সবার জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কমিটি গঠন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য ইন্টারনেটকে একটি মৌলিক অধিকার হিসাবে বিবেচনা করার আহবান জানান।
তিনদিনব্যাপী
স্কুলে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি প্রক্রিয়া, ইন্টারনেট গভর্নেন্স প্রক্রিয়া,
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?, মেশিন লার্নিং কি?, হাতে কলমে মেশিন লার্নিং: টাইটানিক প্রজেক্ট,
শুণ্য থেকে পাইথন মেশিন লার্নিংয়ের বেবি স্টেপ, চর্তুথ শিল্প বিপ্লব, কেরিয়ার টক, ফেলোশিপ
অপরচুনিটি ইন আইজি প্রসেসসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ৬ষ্ঠ বিডিসিগ-এ সত্তরজন ফেলো অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ্য
২০১৭ সালে প্রথম বিডিসিগ অনুষ্ঠিত হয়।
০ টি মন্তব্য