তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর স্নেহাশিস এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই-এর অফুরান আশীর্বাদ সিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের পরম সৌভাগ্য অর্জন করলাম।
প্রথমেই শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁদের পরিবারের সকল শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদদের।
পাশাপাশি, আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি চলনবিল অধ্যুষিত নাটোর-৩ সিংড়ার সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি যাঁদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতায় আমি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
প্রথমেই শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁদের পরিবারের সকল শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদদের।
পাশাপাশি, আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি চলনবিল অধ্যুষিত নাটোর-৩ সিংড়ার সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি যাঁদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতায় আমি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি।
যে সকল ভাই-বোন আমার সাক্ষাত চেয়েছেন, তাঁদের শুভেচ্ছা আমি গভীর কৃতজ্ঞ চিত্তে গ্রহন করলাম। পাশাপাশি, ফুলের তোড়া, কেক বা এ জাতীয় অন্য কোন শুভেচ্ছা স্মারক পরিহার করতে বিনীত অনুরোধ করছি।
এর পরিবর্তে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আপনার সুচিন্তিত মতামত/ ধারণা/ প্রস্তাবনা/ পরামর্শ/ সমালোচনা আমার ই-মেইল আইডি: [email protected] তে প্রেরণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
নির্বাচিত মতামত প্রদানকারী ভাই/ বোনদের সাথে আমি আগামী সপ্তাহ হতে আলোচনা শুরু করবো ইনশাআল্লাহ্।
আমার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালনে এবং প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে আমি আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, সক্রিয় সমর্থন ও অনেক অনেক দোয়া প্রার্থনা করছি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৬, অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা।
এভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বিদায়ী মন্ত্রিসভার কয়েকজনকে আগের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রাখা হয়েছে।
আগের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য নতুন মন্ত্রিসভায় বহাল থাকলেও মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নবনিযুক্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে নসরুল হামিদকে বিদ্যুৎ বিভাগ; খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহ্মেদকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুককে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
০ টি মন্তব্য