নিউইয়র্ক তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিবেচনা করে ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটোক সহ সামাজিক মিডিয়াকে 'জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় শহরে এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম।
গত বুধবার নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে।
অ্যাডামস বলেছেন, 'টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি বিভিন্ন আসক্তি এবং বিপজ্জনক বৈশিষ্ট্য দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট তৈরি করছে।”
তিনি যোগ করেছেন, "মার্কিন সার্জন জেনারেল যেভাবে তামাক এবং বন্দুকের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমরা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়াকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি হিসাবে বিবেচনা করছি এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।"
নিউইয়র্ক সিটির হেলথ কমিশনার অশ্বিন ভাসান আনুষ্ঠানিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করার সুপারিশ করেছেন। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্যের রূপরেখা দেন এবং স্বাস্থ্যকর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে উৎসাহিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ জন্য তিনি প্রযুক্তি ছাড়া সময় কাটাতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীদের অনুভূতি পর্যবেক্ষণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বড়দের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার নির্দেশ দেন।
জরিপ অনুসারে, ৯৫ শতাংশ মার্কিন কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে, আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং প্রবণতা অনুসরণ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। এই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া তরুণরা যে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে তার সাথে যুক্ত। এছাড়া এসব মাধ্যম ব্যবহারের নেশাও বেড়েছে।
টিকটক এবং ইউটিউব সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি সংস্থা, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর পিতামাতার নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং অনলাইনে ব্যয় করা সময় সীমিত করতে নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করেছে।
টিকটক, গুগল ও মেটা অবিলম্বে নিউ ইয়র্ক সিটির পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করেনি।
মার্কিন সার্জন জেনারেল বিবেক এইচ. মূর্তি, গত বছরের মে মাসে একটি সুপারিশ জারি করে বলেছিলেন যে সামাজিক মিডিয়া 'শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ' এর পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। এই মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবকে উপেক্ষা করতে পারি না। এর জন্য দায়ী লাখ লাখ পরিবার ও শিশুদের দুর্ভোগ।











০ টি মন্তব্য