গত (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে উদ্যোক্তা তৈরির এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, সার্ভিস খাতে সারা পৃথিবী জুড়ে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য হলো এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অথবা উদ্যোক্তা যেন নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে মাদারবোর্ড সারানোর কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারেন।
এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দেশের টাকা দেশে রাখা সহজ হবে। বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে পড়া অনেক দেশ শুধু সার্ভিস খাতকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের যুব সমাজের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
আমরাও বিশ্বাস করি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে হার্ডওয়্যার নির্ভর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্র পরিচালনা, সংযোজন, প্রতিস্থাপন অথবা মেরামতের ক্ষেত্রে আমাদের যুব সমাজ নিজেদের সম্পৃক্ত করে স্মার্ট বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বিসিএস সহসভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে ডিভাইসের কোন বিকল্প নেই।
ডিভাইসের ব্যবহার যতো বাড়বে তত ডিভাইস মেরামতের কাজও বৃদ্ধি পাবে। বিসিএস এর সদস্য প্রতিষ্ঠানদেরও প্রচুর দক্ষ সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা রয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য আমরা কাজ করার সুযোগ করে দিবো। আপনারা যোগ্যতা অর্জন করুন।
আপনাদের অপেক্ষায় আমরা আছি। দক্ষ জনশক্তি শুধু দেশ নয় প্রতিষ্ঠান এমনকি নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, বিসিএস প্রথমবারের মতো ৮ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
আমাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চলমান থাকবে। এই অর্থবছরে আমরা এডভান্সড লেভেলে আরো দুইটি কর্মশালা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা তরুণ এবং কমপিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা রয়েছে অথবা ১ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।
উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবশক্তি সৃষ্টিতে বিসিএস বরাবরের মতো আন্তরিক।
বিসিএস পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিসিএস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।
সার্ভিসিং খাতে আমাদের প্রচুর দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। আমরা কোর্সটিকে এমনভাবে সাজিয়েছি যেন একজন প্রশিক্ষণার্থী সহজেই মাদারবোর্ড রিপেয়ারিং এর প্রাথমিক ধারণা পেতে পারে।
মেরামত শিল্পকে গুরুত্ব দিতে পারলে আমরা ই-বর্জ্যকেও সম্পদে রুপান্তর করতে পারবো।
আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানরাও এখন পণ্য মেরামতের জন্য বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই খাতে জীবিকা নির্বাহ বা চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দরকার শুধু দক্ষতা। আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিসি) এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফয়সাল খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল উদ্যোক্তা তৈরি করতে বিসিএসকে উৎসাহিত করেছে।
বিসিএস এর সাথে এই ধরণের কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে আমরা স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে চাই।
তরুণ শক্তি এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।
লেগে থাকতে হবে। কর্মশালার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষেত্রকে বিকশিত করলে সফলতা আসবেই।
প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালা ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
কর্মশালার শেষ দিনে প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটবে।
০ টি মন্তব্য