বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাদশ সমাবর্তন গত ১০ মার্চ (রবিবার) বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি।
এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমেরিকার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিকতা বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মোঃ মেহরাবুল হক।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি।
এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমেরিকার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন সাংবাদিকতা বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মোঃ মেহরাবুল হক।
এবারের সমাবর্তনে ৬২৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।
এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন কমপিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাওসার হোসেন ও সুমাইয়া আকতার সাম্মী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের জানানতুল ফেরদৌস মিম, টেকাসটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাদিম খান শান্তএবং কমপিউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগগের মোঃ মাহামুদুল হাসান সুমন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্টসিটিজেন এবং স্মার্ট জেনারেশন তৈরী করতে হবে এবং শুধু স্মার্ট ফোন হাতে নিলেই স্মার্ট জেনারশন হবে না।
তাকে মন মানসিকতায় স্মার্ট হওয়ার জন্য গ্লোবাল সিটিজেন হতে হবে। গ্লোবাল সিটিজেন হতে হলে ভেল্যু সিস্টিমের জায়গায় টলারেন্সের ন্যায় একটা মানসিকতা থাকতে হবে।
তাকে নন কমিউনাল মানুষ হতে হবে। তার অন্য ধর্ম, সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ন মনোভাব থাকতে পারবে না। তাকে সহনশীল হতে হবে।
পাশাপাশি দক্ষতার জায়গায় তাকে আজীবন ‘লাইফ লং লারনার’ হওয়ার একটা মানসিকতা অবশ্যই ধারন করতে হবে।তাহলেই সে স্মার্ট মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে এবং সেই স্মার্ট মানুষদেও কে নিয়েই আগামীতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্তা করেন।
তাকে মন মানসিকতায় স্মার্ট হওয়ার জন্য গ্লোবাল সিটিজেন হতে হবে। গ্লোবাল সিটিজেন হতে হলে ভেল্যু সিস্টিমের জায়গায় টলারেন্সের ন্যায় একটা মানসিকতা থাকতে হবে।
তাকে নন কমিউনাল মানুষ হতে হবে। তার অন্য ধর্ম, সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ন মনোভাব থাকতে পারবে না। তাকে সহনশীল হতে হবে।
পাশাপাশি দক্ষতার জায়গায় তাকে আজীবন ‘লাইফ লং লারনার’ হওয়ার একটা মানসিকতা অবশ্যই ধারন করতে হবে।তাহলেই সে স্মার্ট মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে এবং সেই স্মার্ট মানুষদেও কে নিয়েই আগামীতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্তা করেন।
তিনি বলেন , আন্তর্জাতিক নানা মানের কোয়ালিফিকেশন্স এবং প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন্সের ক্ষেত্রে আমরা এখনো প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছি।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অঅমরা আমাদেও নিজেদের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সেগুলো অর্জন করতে পারি। আমাদেও ডিজিচটাল বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আইসিটির একটা ইফ্রাস্ট্রাকচারও আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করে আমরা দেশে বসেই অনেক ধরনের প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন নেয়ার সুয়োগ রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অঅমরা আমাদেও নিজেদের অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সেগুলো অর্জন করতে পারি। আমাদেও ডিজিচটাল বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আইসিটির একটা ইফ্রাস্ট্রাকচারও আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করে আমরা দেশে বসেই অনেক ধরনের প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন নেয়ার সুয়োগ রয়েছে।
সেই ক্সেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি যেই বিষয়েই হোক না কেন ইন্টারন্যাশানল সার্টিফিকেশন নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ডাতে করে শিক্ষার্থীরা দেশে এবং বিদেশে চাকরির সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সি প্রফেশনালতেদর একটা ঘাটতি শুরু হয়েছে এবং আগামী ২০৫০ সালে এই ঘাটতি প্রায় ৩০ মিলিয়নে গিয়ে দাড়াবে।
ফলে আমাদের জন্য বিশাল সুয়োগ সুষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে সে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি অঅরো বলেন, নতুন যে শিক্ষা কারিকুলাম আসছে সেখানে অঅমরা অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষা এবং জীবন ঘণিষ্ঠ শিক্ষার উপর জোড় দিচ্ছি।
ফলে আমাদের জন্য বিশাল সুয়োগ সুষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে সে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি অঅরো বলেন, নতুন যে শিক্ষা কারিকুলাম আসছে সেখানে অঅমরা অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষা এবং জীবন ঘণিষ্ঠ শিক্ষার উপর জোড় দিচ্ছি।
স্বাগত বক্তব্যে ডিআইইউ চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকে অনুঘটক মনে করেছে এবং এর একাডেমিক সিস্টেমের সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করেছে।
আমরা আধুনিক ফ্ল্যাগশিপ ইউনিভার্সিডঁ হিসেবে বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, অ্যাক্সেস এবং ইক্যুইটির প্রতি নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে শিক্ষাদান, শেখার, গবেষণার মান এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে।” বলে সন্তব্য করেন।
আমরা আধুনিক ফ্ল্যাগশিপ ইউনিভার্সিডঁ হিসেবে বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, অ্যাক্সেস এবং ইক্যুইটির প্রতি নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে শিক্ষাদান, শেখার, গবেষণার মান এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে।” বলে সন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ড্যাফোডিল বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র উদ্ভাবনী বিষয়ক কোর্স চালু করেছে, একাডেমিয়া--শিল্প সম্পর্ক জোরদার করেছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতাকে একীভূত করেছে, পাঠ্য বহির্ভূত কার্যক্রমের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং বিশ^বিদ্যালয়ের বিতরণ কার্যক্রম ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করেছে।
একটি জেড জেনারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তামূলক পরিষেবা এবং সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে আমরা একটি ব্যাপক শিক্ষামূলক ইকো সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যের গল্প উল্লেখ করে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি, নাসা স্পোর্টস এপ চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে আমরা নিয়মিত জব উৎসব এবং জব প্লেসমেন্টের আয়োজন করছি, এবং ইউএনডিপি-স্পন্সর ইভেন্ট হিসেবে ২০০+ প্রতিষ্ঠান ছাত্রদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করার জন্য অংশগ্রহণ করেছিল।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বর্তমানে "ডোয়ার্স এবং লিডারস" বিকাশের উপর সর্বোচ্চ মনোযোগ নিবদ্ধ করছে যারা এ গ্রহের জন্য একটি টেকসই বর্তমান এবং প্রতিশ্রæতিশীল ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্ভাবন এবং সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।
০ টি মন্তব্য