https://www.brandellaltd.com/

তথপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত ট্যাক্স অব্যাহতির দাবি

তথপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত ট্যাক্স অব্যাহতির দাবি তথপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত ট্যাক্স অব্যাহতির দাবি
 
তথপ্রযুক্তি খাত বাংলাদেশের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ খাত। এই খাতের নিজের প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, জিডিপিতে সরাসরি অবদান এই সব কিছু ছাপিয়ে এই খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হচ্ছে এই খাত বাংলাদেশের বাকি সব খাতের, এমনকি সরকারি কাজকর্মেরও, প্রবৃদ্ধি বাড়ায়।  

তথপ্রযুক্তি খাতের এই প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর হারও গাণিতিক নয় বরং জ্যামিতিক। সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সিংহভাগ ভূমিকা রেখেছে তথপ্রযুক্তি খাত।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণেও সিংহভাগ ভূমিকা রাখবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। তাই তথ্য প্রযুক্তি খাতের সুস্থ থাকা, ভালো থাকা, বড় বেশী দরকার সোনার বাংলাদেশ জন্য।

কিন্তু যেই কর অবকাশ আছে ২০২৪ পর্যন্ত, তা যদি ২০৩১ পর্যন্ত বর্ধিত করা না হয়, তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

এই ক্ষতির বহুমাত্রিক ইমপেক্ট পরবে দেশের প্রতিটি ব্যবসায়িক খাত ও সরকারি কর্মকাণ্ডে; যা ব্যঘাত ঘটাবে দেশের  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে।     

একবার কী ভেবে দেখেছেন অত্যন্ত গ্রুত্বপূর্ণ খাতটি কারা গড়েছে? কিভাবে গড়েছে? খাতটি ৮০ ভাগ তৈরি হয়েছে তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে।

৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে তারা ব্যাংক থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা (লোন আকারে) পায়নি। তাই ব্যবসা থেকে যতটুকুই উপার্জন হয়েছে, তা পুনঃবিনিয়োগ করতে করতেই আজকের তথ্যপ্রযুক্তি খাত তৈরী হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অতি দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তির এই পরিবর্তনের সাথে দৌড়োতে হয় বলে আমাদের খরচও অনেক বেশী। 

প্রায় ২ যুগ আগে শুরু হওয়া তথ্য প্রযুক্তি খাত সবে মাত্র টেক অফ করেছে, এখন আমাদের সামনে আগানোর পালা। বলতে পারেন ২ যুগ লাগল টেক অফ করতে? হা লাগলো; কারণ, আমাদের ব্যবসা না বুঝার কারণে ব্যাংক আমাদের লোন দেয় না; দেশের বিশ্ববিদালয় থেকে যারা পাস করে বের হন, তাদের পিছনে আমাদের অনেক বড় বিনিয়োগ করতে হয় তাদেরকে আমাদের খাতে কর্মক্ষম করে তুলতে; আমাদের প্রোডাক্ট/সার্ভিস মার্কেটিং করার লোকেরও খুব অভাব — এমন নানা সমস্যা আমাদের সামাল দিতে হয়েছে এই দুই যুগে।

শুরুর থেকে এখন অবস্থার কিছু উন্নতিও হয়েছে, কিন্তু পথ এখনও অনেক বাকি। বর্তমান সময় ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সময়, সাথে দ্যা নিউ বিগ থিং, আর্টিফিসিল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর উত্থানের সময় এটা।

এটা একটা প্যারাডাইম শিফট। এটি আমাদের তথপ্রযুক্তি খাতের জন্য যেমন সম্ভাবনার, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ জোগানের কথা বিবেচনায় প্রচন্ড চ্যালেঞ্জিংও।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন আমাদের বিনিয়োগের দরকার হবে অনেক অনেক বেশি। আগেই বলেছি, আমাদের বিনিয়োগ আমরা করছি আমাদের উপার্জন থেকে।

সেই বিনিয়োগ এখন আরও বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের অস্তিত্বের সঙ্কট তৈরী হবে। এই সময়ে কর অব্যহতি উঠিয়ে নেওয়া তথপ্রযুক্তি খাতকে পঙ্গু করে দেওয়ার শামিল। 

আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি আমাদের চেলেঞ্জ গুলা জানেন ও বুঝেন।

ওনার কাছে আমরা যেই যৌক্তিক আবেদন নিয়েই  গিয়েছি, উনি আমাদের আবদার রেখেছেন। আর ওনার দূরদর্শীতার জন্যই আমরা ২০২৪ পর্যন্ত ট্যাক্স মুক্ত আছি।

এর আগেও অনেকবার আলোচনা হয়েছে যে, এটা আরও বাড়িয়ে ২০৩১ পর্যন্ত করা দরকার ও করা হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরিক নানা কারণে আমাদের অর্থনীতর অবস্থা এখন একটু খারাপ।

আমাদেরকে আইএমএফ এর কাছ থেকে লোন নিতে হচ্ছে। তারা তাদের আইনী অবকাঠামোয় নানা সাজেশন, শর্ত দিচ্ছে। এটা স্বাভাবিক।

এনবিআর রাজস্ব আহরণের গুরুদায়ীত্ব পালন করছে,  রাজস্ব আহরণই তাদের প্রধান কেপিআই। তাই আমাদের কর অব্যহতির সময় আর বৃদ্ধি না করার আইএমএফ এর প্রস্তাব তাদের কাছে সঠিক মনে হতেই পারে।  

কিন্তু সেটি যে আমার দেশের জন্য ভালো হবে না এটা আমরা বুঝি ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বুঝবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই সময়ের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টি বুঝবেন ও আমাদের কর অব্যহতির সময় বাড়ানোর নির্দেশ দিবেন; সাথে আমাদের আরেক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জয় ভাই ও মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পলক ভাই সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন এবং কর অব্যহতির সময় বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। 

সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) এই দাবি পূরণে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে, সেই জন্য বেসিসকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ কে অনুরোধ করছি, এই দাবি আদায়ের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

বেসিসের সকল প্রাক্তন সভাপতি সহ সকল ইনফুয়েন্সরকে সক্রিয় করে সর্বাত্মক দাবি আদায়ের উদ্যোগ নিন। সকল প্রাক্তন বেসিস সভাপতি, প্রাক্তন বেসিস ডিরেক্টরবৃন্দ - সবাইকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি আমাদের এই অস্তিত্ব বাঁচানোর দাবিকে যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তুলে ধরুন।  

বেসিসের সকল সদসবৃন্দের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুণ এই দাবি আদায়ের।

অন্তত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ৩-৪ দিন পরপর এই দাবি ও তার যৌক্তকতা নিয়ে একটা পোস্ট তো আমরা ফেসবুকে করতেই পারি।

আমরা ২,৫০০ বেসিস মেম্বার, আমাদের ৫০,০০০+ সহকর্মী, বেসিসের বাইরের বিশাল সম্পৃক্ত লোকজন - আমরা যদি প্রতি ৩-৪ দিন পরপর এই দাবি ও তার যৌক্তকতা নিয়ে একটা করে পোস্ট দেই, তাহলে সকল সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারকে আমাদের দাবি বিবেচনায় নিতে হবে ও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।