https://gocon.live/

প্রযুক্তি

দেশে চাহিদা বাড়ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তির

দেশে চাহিদা বাড়ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তির দেশে চাহিদা বাড়ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তির
 

দেশে চাহিদা বাড়ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তির


  • ৬০ ব্যাংকের মধ্যে ২৭ ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার 
  • লোকাল মার্কেট ১০ হাজার কোটি টাকা 
  • আগামী কয়েক বছরে ব্লকচেইন প্রযুক্তির সম্ভাবনা বিশাল 
  • পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার কমছে   


দেশের স্থানীয় সফটওয়্যার বাজার এখন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরেই লোকাল সফটওয়্যারের মার্কেটের প্রবৃদ্ধি বাড়তে দেখা গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে লোকাল সফটওয়্যারে গুরুত্ব দেয়ায় এর বাজার বাড়ছে। পাশাপাশি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি বাজারের পাশাপাশি লোকাল বাজারকেও টার্গেট করেছে। সাইট ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ নির্মাণ থেকে শুরু করে ইআরপি সফটওয়্যার এখন দেশের ডেভেলপারেরা তৈরি করছেন। একই সাথে দেশে পাইরেটেড সফটওয়্যারের ব্যবহার কমে এসেছে। বাড়ছে ব্লকচেইনের মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা। দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নতুন ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।


সরকারি সূত্র বলছে, দেশের সফটওয়্যার বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। গত পাঁচ বছরে লোকাল সফটওয়্যারের বাজার দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। খুশির খবর হচ্ছে, দেশের লোকাল সফটওয়্যার মার্কেটের প্রায় ৫০ শতাংশই আবার দেশি সফটওয়্যার নির্মাতারা দখল করেছেন।


বাংলাদেশ সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন বেসিস বলছে, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে এখন লোকাল সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোর ক্ষেত্রে এখনো বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরতা থেকে গেছে। দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। দেশের সফটওয়্যার খাতে বেশি চাহিদা রয়েছে ইআরপি, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরিসহ ডিজিটালায়নের কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখাতে পারে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। এর বড় কৃতিত্ব হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, ব্যাংকগুলোতে ৯০ শতাংশ দেশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্পর্কিত প্রযুক্তির দিকে আমরা যাব। আমাদের সিকিউরিটি সফটওয়্যার আছে, মোবাইল ফোন অপারেটরেরা আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এটার গতি অতীতের সাথে তুলনা করলে সম্ভাবনা এখন অনেক বেশি।’


বাংলাদেশের সফটওয়্যার উদ্যোক্তাদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতাদের তৈরি ইআরপি সলিউশনের চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি চ্যাটধর্মী অ্যাপ্লিকেশন, বিলিং সফটওয়্যার, মোবাইল ফোন অপারেটর ও নেটওয়ার্ক পরিচালনার সফটওয়্যারের চাহিদা রয়েছে। সফটওয়্যার রফতানির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ের ডিজিটালায়নের কাজে বাংলাদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছে।


বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতে এতদিন আলোচিত বিষয় ছিল লাইসেন্সহীন বা পাইরেটেড সফটওয়্যারের ব্যবহার। কিন্তু গত কয়েক বছরে ওই চিত্র বদলেছে। প্রতিবছরই দেশে কমছে লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের হার। সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন বিজনেস সফটওয়্যার অ্যালায়েন্সের (বিএসএ) ২০১৮ সালের জুনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বাংলাদেশে যত সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে তার ৯০ শতাংশই ছিল পাইরেটেড।


২০১৫ সালে তা কমে ৮৬ শতাংশ হয়। ২০১৭ সালে তা ৮৪ শতাংশে নেমে আসে। এশিয়ার ১৮টি দেশের কমপিউটার ব্যবহারকারীরা গড়ে ৫৭ শতাংশ লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে এখনো অবশ্য বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বে সবচেয়ে কম পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।


সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সচেতনতার সৃষ্টির কথা বলা হচ্ছে। তবে নতুন প্রযুক্তির ধাক্কায় পাইরেটেড সফটওয়্যারের ব্যবহার আরো কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


বর্তমানে সারা বিশ্বের মতোই সফটওয়্যার উন্নয়ন খাতে এআই ও ব্লকচেইন প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেবা দিতে কাজ করছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ই-জেনারেশন। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান জানান ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে মানানসই প্রযুক্তি নিয়ে দেশি উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে। সরকারি খাতে এখনো এর ব্যবহার শুরু হয়নি। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন খাতে ব্লকচেইন ব্যবহারের সম্ভাবনা ব্যাপক।


বিশ্বজুড়ে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। ব্লকচেইনকে আধুনিক কালের এক অভিনব উদ্ভাবন বলা হচ্ছে। ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়।


বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার যথার্থ সময় এসে গেছে। তবে কাজ শুরু করার আগে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মানসিকতা ছাড়তে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি প্রধান উদ্দেশ্য স্বচ্ছতা। তাই সরকারকেও বিকেন্দ্রায়িত ও বণ্টিত তথ্যভান্ডার সম্বন্ধে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।