https://gocon.live/

পৃথিবীতে আঘাত হানল শক্তিশালী সৌরঝড়

পৃথিবীতে আঘাত হানল শক্তিশালী সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানল শক্তিশালী সৌরঝড়
 

পৃথিবীতে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হেনেছে। এর ফলে তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে।

বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ, স্যাটেলাইট ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে।  

গত শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় বিকেল ৪টায় সৌরঝড়ের প্রথম ঢেউ উৎপন্ন হয়। এর ফলে তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষণীয় মহাকাশীয় আলো দেখা দিয়েছে।

বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মার্কিন সংস্থা স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি করোনাল মাস ইজেকশনের (সিএমই) কারণে সূর্যের করোনা অঞ্চলে প্লাজমা এবং চুম্বক ক্ষেত্রের বিষ্ফোরণে বিপুল ভর ও শক্তি প্রবল বেগে মহাশূন্যের দিকে ছিটকে বেরিয়ে আসে।

যার প্রথমটি গ্রিনীচ মান সময় ১৬০০টার পরে সূর্য থেকে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ প্লাজমা ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণ নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। 

এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

২০০৩ সালের অক্টোবরের প্রথম ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় ‘হ্যালোইন স্টর্মস’ সুইডেনে বিদ্যুত সরবরাহ বিঘœ ঘটায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুত পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এবারের এই ঝড়কে একটি ‘চরম’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় হিসেবে উন্নীত করা হয়। 

সৌর ঝড়ের গতি আলোর গতি থেকে ভিন্ন। সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে ৮ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু সিএমই আরও স্থির গতিতে ভ্রমণ করে।

কর্মকর্তারা সিএমই’র বর্তমান গতি গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ৮শ’ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) হিসাব করেছেন। একটি বিশাল সানস্পট ক্লাস্টার থেকে এই সিএমই নির্গত হয়েছে যা আমাদের গ্রহের চেয়ে ১৭ গুণ প্রশস্ত।

সূর্য ১১-বছরের একটি চক্রের শীর্ষে পৌঁছে করোনা অঞ্চলে প্লাজমা এবং চুম্বক ক্ষেত্রের বিষ্ফোরণে বিপুল ভর ও শক্তি প্রবল বেগে মহাশূন্যের দিকে ছিটকে বেরিয়ে আসে। 

ইংল্যান্ডের ব্রেকসায়ারে রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস ফিজিক্সের অধ্যাপক ম্যাথিউ ওয়েনস এএফপি’কে বলেন, সিএমই প্রভাবগুলো মূলত গ্রহের উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে অনুভূত হবে। তারা কতদূর প্রসারিত হবে ঝড়ের চূড়ান্ত শক্তির ওপর নির্ভর করবে।









০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।