https://gocon.live/

প্রযুক্তি

ব্লকচেইন ও বিটকয়েন

ব্লকচেইন ও বিটকয়েন ব্লকচেইন ও বিটকয়েন
 

ব্লকচেইন ও বিটকয়েন


সম্ভবত ব্লক চেইন হচ্ছে বিটকয়েনের মূল প্রযুক্তির উদ্ভাবন। বিটকয়েন সেন্ট্রাল অথরিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না। বরং এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে পণ্য বা সেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করে, তখন এর ব্যবহারকারীরা ডিক্টেট ও ভ্যালিডেট করে ট্র্যানজেকশনগুলো। এখানে পেমেন্ট প্রসেস ও স্টোর করার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের দরকার হয় না। সম্পন্ন করা ট্র্যানজেকশন প্রকাশ্যো রেকর্ড করা হয় ব্লক গুলোতে এবং শেষ পর্যন্ত ব্লকচেইনে। সেখানে তা অন্য ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে ভেরিফাই ও রিলে করা হয়। মাইনিংয়ের মাধ্যমে গড়ে তোলা একটি নয়া ব্লক প্রতি ১০ মিনিট পরপর ব্লক চেইনে যতটুকু হয় ।


বিটকয়েন প্রটোকলের ওপর ভিত্তি ব্লকে চেইন ডাটাবেস শেয়ার করা হয় এ ব্যবসায় অংশ নেয়া সব নোডের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে যুক্তি হয়ে প্রতিটি কমপিউটার পায় ব্লক চেইনের একটি কপি, যাতে রয়েছে রেকর্ডগুলো এবং তা সম্পন্ন লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অতএব এটি দিতে পারে ভেতরের তথ্য যেমন একটি পয়েন্টে অতীতের একটি অ্যাড্রেস বিশেষে এর ভ্যালু কত, তা জানাতে পারে। ব্লক চেইন ইনফো সুযোগ করে দেয় পুরো বিটকয়েন ব্লক চেইনে।


ব্লকচেইনের সম্প্রসারণ


প্রচলিত ব্যাংকিংকে একটি সাদৃশ্য হিসেবে ব্যবহার করে বলা যায়, ব্লকচেইন হচ্ছে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের লেনদেনগুলোর পূরণ  ইতিহাসের মতো এবং প্রতিটি ব্লক হচ্ছে আলাদা আলাদা এক-একটি ব্যাংক স্টেটমেন্টের মতো। কিন্তু যেহেতু এটি একটি ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেস সিস্টেম এবং কাজ করে একটি ওপেন ইলেকট্রিক্যাল লেজারের মতো, তাই একটি ব্লক চেইন সব পক্ষের জন্য বিজনেস অপারেশনগুলোর সহজ-সরল করে আনতে পারে। এ কারণে এই প্রযুক্তি শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার বাজারগুলোকেই আকৃষ্ট করছে না, সেই সাথে আকষ্টৃ করছে সঙ্গীত, হীরা, বীমা ও ইন্টারনেট অব থিংস ডিভাইস জগতের অন্যদেরকেও। এর সমর্থকদের অভিমত এ ধরনের ইলেকট্রনিক নক লেজার সিস্টেম সাথর্ক ভাবে প্রয়োগ করা যাবে ভোটিং সিস্টেম, সরকারের অস্ত্র ও গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং মেডিক্যাল রেকর্ড রাখার কাজে। এমনকি প্রাচীন নিদশর্ন বা শিল্পকমের্র মালিকেরাও মালিকানা নিশ্চিত করার কাজে লাগাতে পারবেন।


সম্ভাবনাময় এই ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার টেকনোলজি সহজ-সরল করে তুলতে পারে কারেন্ট বিজনেস অপারেশন। ব্লকচেইনভিত্তিক নতুন নতুন মডেল এরই মধ্যে ফিন্যান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রির ব্যয়বহুল ও অদক্ষ অ্যাকাউন্টিং ও পেমেন্ট নেটওয়ার্ককে সরিয়ে এর জায়গা দখল করতে শুরু করেছে। ব্লকচেইন টেকনোলজি সাশ্রয় করতে পারে শত শত কোটি ডলার। গোল্ডম্যান স্যাকসের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট মতে, এটি বছরে শেয়ারবাজার অপারেটরদের ৬০০ কোটি ডলার খরচ কমাতে পারে। তবে প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো একটু দ্বিধাগ্রস্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে। কারণ, তাদের উদ্বেগ হচ্ছে সম্ভাব্য প্রতারণা নিয়ে। তবে এরা ভেবে দেখছে ব্লকচেইন ব্যবহার করে ব্যাকঅফিস সিস্টেমে প্রসেস ট্রেড, ট্রান্সফার ও অন্যান্য অধিকতর গতিশীল লেনদেনে তাদের খরচ কতটুকুকমিয়ে আনতে পারে।


আসলে প্রথম আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন ট্র্যানজেকশন সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবরে। সেখানে ব্রোকার ছিল কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েলস ফার্গো অ্যান্ড কোম্পানি। এতে সংশ্লিষ্ট ছিল অস্ট্রেলীয় তুলা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্রাইটেন কটন মার্কেটিংয়ের ৩৫ হাজার ডলারের একটি ব্যবসায়িক চুক্তি। ওই প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজের ইউএস ডিভিশন থেকে ৮৮ বেল পাট কিনে তা চীনের কিংদাওয়ে পাঠায়।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।