২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসেবা প্রদান ও দেশের জনগণের সমস্যা মোকাবেলায় গভপ্রেনিউরশীপের মাধ্যমে নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সদা তৎপর, উদ্যমী ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে হবে।
এলক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে সিভিল সার্ভিসের ভূমিকা’-শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে এটুআই। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ সামসুল আরেফিন এবং সিভিল সার্ভিস ২০৪১: ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী।
সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর কার্যক্রম শুরু করায় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কিত) লিউ ঝেন মিন একটি লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রেক্ষাপটে ‘ভিশন ২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যপূরণে যথার্থ জ্ঞান, দক্ষতা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন সিভিল সার্ভিস গড়ে তুলতে ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
উন্নত সমাজ বিনির্মাণ ও সমাজ জীবনের পরিবর্তনশীল ধারার মধ্যে জনসেবার নিয়োজিত একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য ক্রমোন্নতিশীল যাত্রার পথনির্দেশক ও সহায়ক প্ল্যাটফর্ম হলো ‘সিভিল সার্ভিস ২০৪১: ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি’, যা এটুআই কর্তৃক পরিচালনা করা হচ্ছে। সিভিল সার্ভিস ২০৪১ এর মধ্য দিয়ে গভপ্রেনিউরশীপের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা, উদ্দেশ্য এবং সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নেতৃত্ব, প্রযুক্তিবান্ধব, ডাটা নির্ভর এবং প্রত্যাশিত মানের জনবান্ধব সেবা প্রদানে সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষম করে তুলবে ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি। এছাড়াও পাবলিক-প্রাইভেট-একাডেমিক এই শ্রেণির অংশগ্রহণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতায়মূলক শিক্ষা এবং চিন্তা প্রসারেও কাজ করবে ‘সিভিল সার্ভিস ২০৪১: ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি’।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সিনিয়র সচিব, সচিবগণ, উপাচার্যগণ, যুগ্মসচিববৃন্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, মাঠপর্যায় থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ,
জেলা প্রশাসকবৃন্দ,
সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নিয়েছিলেন।
০ টি মন্তব্য