https://gocon.live/

প্রযুক্তি

কফিলেক ইন্টেল অষ্টম প্রজন্মের চিপ

কফিলেক ইন্টেল অষ্টম প্রজন্মের চিপ কফিলেক ইন্টেল অষ্টম প্রজন্মের চিপ
 

কফিলেক ইন্টেল অষ্টম প্রজন্মের চিপ


খুব দ্রুত বাজারে এসে গেল ইন্টেলের অষ্টম প্রজন্মের কোর প্রসেসর ‘কফিলেক’। গেল বছরের শেষার্ধে তারা বাজারে ছেড়েছিল সপ্তম প্রজন্মের ‘কাবিলেক’। ইন্টেলের দ্রুত দৌড়ানোর অন্যতম কারণ বোধহয় এএমডির আলোড়ন সৃষ্টিকারী রাইজেন প্রসেসরে আবির্ভার। বেশ শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি করেছে এএমডি দাম ও মানের বিচারে। গত ২১ আগস্ট ইন্টেল খুব হাল্কা পণ্য আল্ট্রাপোর্টেবল যেমন ল্যাপটপ ও টুইন ওয়ানের জন্য কফিলেক বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়, যা গত সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে বলে জানা যায়। এদিকে ডেস্কটপের চিপসমূহ অক্টোবরের ৫ তারিখে বাজারে ছেড়েছে বলে ইন্টেল জানিয়েছে। এবার দেখা যাক, কী পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এই প্রজন্মে। আল্ট্রাপোর্টেবল তথা হাল্কা পণ্যে বিদ্যুৎ খরচ ধরা হয়েছে ১৫/২৮ ওয়াট এবং সর্বনিম্ন কোরের সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে চার করা হয়েছে। অর্থাৎ কোরআই৩ চারটি কোর ধারণ করবেÑ আগে এটি ছিল দুইয়ের। তবে গ্রাফিক্সে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে ডিডিআর৪ মেমরির সমর্থন থাকছে। প্রসেসরে দিক থেকে দেখলে তেমন পরিবর্তন নয় বরং একে ১৪ ন্যানোতে তৈরি করা হয়েছে, যদিও একে দ্বিতীয় পরিশোধন বলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এর পিনসংখ্যা ১১৫১ রাখা হলেও পুরোনো মাদারবোর্ডে এটি চালানো সম্ভব হবে না।


এ ছাড়া ইন্টেল টাটো বুস্ট টেকনোলজিকে উন্নত করা হয়েছে। ‘ইউ’ সিরিজের কোর প্রসেসরে হাইপার থ্রেডিং অন্তর্ভুক্ত থাকছে, ফলে ‘মেগা টাস্ক’ সম্পাদনের ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেবে বলে দাবি করা হয়েছে। ইন্টেল স্পিড শিফট টেকনোলজি নামে একটি প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে, যাতে দ্রুত ওয়েব ব্রাউজ করা যায়। এদিকে ডেস্কটপ অঙ্গনে ৬৫-৯৫ ওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎ খরচকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। কোরআই৩ ৮১০০ ও ৮৩৫০কে, কোরআই৫ ৮৪০০ ও ৮৬০০কে এবং কোরআই৭ ৮৭০০ ও ৮৭০০কে অর্থাৎ সর্বমোট ছয়টি চিপ বাজারে ছাড়া হয়েছে। কোরআই৩ চারটি একক থ্রেডে, কোরআই৫ ছয়টি একক থ্রেডে এবং কোরআই৭ ছয়টি কোর/বারোটি থ্রেডে কর্ম সম্পাদন করতে সমর্থ হবে। সর্বোচ্চ কোরআই৭ ৮৭০০কে ৪.৭ গিগাহার্টজ (একক) পর্যন্ত উন্নীত করা সম্ভব হবে টাটো বুস্টের মাধ্যমে। ডেস্কটপের জগতে অদ্যাবধি এটাই হচ্ছে সর্বোচ্চ চূড়া। মজার ব্যাপার, এ চিপসমূহ পূর্ববর্তী ১০০/২০০ চিপসেটের সাথে কাজ করবে না, এর জন্য প্রয়োজন হবে ৩০০ সিরিজের চিপসেট, তথা নতুন মাদারবোর্ড। শুধুতাই নয়, পিনসংখ্যা ১১৫১ হলেও এটিকে পুরোনো সকেটের বসানো যাবে না, কারণ ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থার ভিন্নতা রয়েছে কোরসংখ্যা বাড়ানোর। ফলে এল৩ ক্যাশের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। ঘটনা যা-ই হোক, কফিলেক অবমুক্ত হওয়ার ফলে ১০ ন্যানো প্রসেসের ক্যানলেকের আগমন বিলম্বিত হলো এটা স্পষ্ট। মোদ্দা কথা, কোরের সংখ্যা বাড়িয়ে মূলত পারফরম্যান্স বাড়াবার কৌশল অবলম্বন করেছে। ইন্টেল কফিলেক অবমুক্তির সময় পাঁচ বছরের আগের প্রসেসরের সাথে তুলনা করে বলেছে, তাদের নতুন এ উপহার দ্বিগুণ উৎপাদনশীলতা দেবে। এ ছাড়া সপ্তম প্রজন্মের তুলনায় ৪০ শতাংশ পারফরম্যান্স বেশি দিতে সক্ষম হবে। ইন্টেল দাবি করেছে, এর ফলে বিনোদন ক্ষেত্রে ৪-কে আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও এবং প্রিমিয়াম কনটেট প্রদানে সক্ষম হবে নতুন এ পণ্যটি। ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্বকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব হবে বলে তারা আরও দাবি করেছে।


চার কোরের যাত্রা


ইন্টেল এগারো বছর আগেই তথা ২০০৬ সালে কোর২ কোয়াড প্রসেসরের মাধ্যমে চার কোর চিপ উদ্ভাবন করে এবং বাজারে ছাড়ে। এর চার বছর পর উচ্চ ডেস্কটপকে লক্ষ করে ছয় কোরের চিপ বাজারে ছাড়ে তারা। কফিলেকের মাধ্যমে মূলত উচ্চতর নয় বরং মেইনস্ট্রিম ধারায় দুটো করে কোরসংখ্যা বাড়ানো হলো। ফলে কোরআই৩ দুটোর বদলে চারটি এবং কোরআই৫ ও ৭ ছয়টি ভৌত কোর পেল। এ পরিবর্তন আবশ্যক ছিল এ কারণে, এএমডির রাইজেন মেইনস্ট্রিম অঙ্গনে আট কোর নিয়ে এসেছে, যা ইন্টেলের জন্য বেশ হুমকিস্বরূপ। বিশ্লেষণধর্মী বা ডাটাবেজের জন্য কোরসংখ্যা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে বলে পরীক্ষা করে দেখা গেছে। বর্তমানে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ (১০) বেশি কোর নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। গেমিংয়ের আলোকে কফিলেক ২৫ শতাংশ বেশি দক্ষতা দিতে সমর্থ হবে বলে ইন্টেল দাবি করেছে।


কফিলেকের বিভিন্ন ব্র্যান্ড


যেসব ব্র্যান্ড নিয়ে কফিলেক বাজারে আবির্ভূত হবে, তার মধ্যে রয়েছে ০১. কোরএম৩, এম৫ ও এম৭। ০২. মূলধারা কোরআই৩, আই৫, আই৭ এবং আই৯। ০৩. পেন্টিয়াম ও সেলেরন। ০৪. জিয়ন (সার্ভারের জন্য)। কোম্পানি থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, আগামী বছরের প্রথম দিকে পেন্টিয়াম ও সেলেরন বাজারে আসবে। ক্রমান্বয়ে এম ধারা এবং পরিশেষে জিয়ন চিপ বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে এএমডির রাইজেনের চাপে ইন্টেল কফিলেকের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হবে বলে জানা গেছে। কারণ ভোক্তারা অধিকতর কম দাম একই দক্ষতার এএমডি চিপ সস্তা বা সুলভ মূল্যে কিনতে পারবে। এমনও হতে পারে আদি নির্মাতারা ব্যাপকভাবে এএমডি থেকে নিতে পারে। তবে ইন্টেলের জন্য মারাত্মক ব্যাপার হবে যখন গ্রাফিক্স ইঞ্জিন ভেগাকে বা সমপর্যায়ের রাইজেনের সাথে একীভূত করে এএমডি ভবিষ্যৎ চিপ নির্মাণ করবে, কারণ গ্রাফিক্সে ইন্টেল তেমন শক্তিশালী নয়।


ইন্টেল গবেষণা মডেলের পরিবর্তন


২০০৭ সালে ইন্টেল গবেষণা বৃত্তের দুই স্তরবিশিষ্ট মডেলের কথা ঘোষণা করে। এ স্তর দুটো হচ্ছে টিক ও টক। টিক স্তরে নতুন ফ্যাব প্রসেসে উন্নীত করা হয় এবং টক স্তরে নতুন স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়। এতে নতুন ফিচার যোগ করা হয়। ২০১৬ সালের প্রথম ভাগে ইন্টেল তাদের এ গবেষণা মডেলকে পরিবর্তন করে। একে তিনটি স্তরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নতুন নামকরণ করা হয় প্রসেস, আর্কিটেকচার ও অপটিমাইজেশন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।