যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিনোদন কোম্পানি ওয়াল্ট ডিজনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই টাস্ক ফোর্সটি কাজ শুরু করেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ও ব্যয় কমাতে কোম্পানিটি এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এআই অ্যাপ তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ওয়াল্ট ডিজনি সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানে অ্যাপগুলো ব্যবহার করবে। পাশাপাশি ডিজনির সঙ্গে যুক্ত স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোও এসব অ্যাপ ব্যবহার করবে।
ডিজনি যে এআই নিয়ে কাজ করছে তা তার একটি বিজ্ঞাপনেও স্পষ্ট। কোম্পানিটির সাম্প্রতিক এক চাকরির বিজ্ঞাপনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের সিভি চাওয়া হয়েছে।
১১টি পোস্টে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, ’ডিজনির মতো বড় বিখ্যাত কোম্পানিগুলোকে এআইয়ের মতো নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
নয়তো হারিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘’ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’ ও ‘দ্য লিটল মারমেইড’ এর মতো চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে ৩০ কোটি ডলারের মতো লাগতে পারে।
কিন্তু এই অর্থ ফের পাওয়া দিনে দিনে কঠিন হচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় এআইয়ের সহায়তা নেওয়া।
এদিকে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে হলিউডের লাখ লাখ লেখক, অভিনেতা-অভিনেত্রী কয়েক মাস ধরে ধর্মঘট করছেন।
তাদের অন্যতম দাবি, সৃজনশীল কাজে এআইয়ের ব্যবহার কমাতে হবে। ডিজনির মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিনোদন কোম্পানি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও স্টুডিও মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে সন্তোষজনক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পেরেই তারা ধর্মঘটে গেছেন।
তাদের ধর্মঘট হলিউডকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আর চলমান ধর্মঘটের মধ্যেই ওয়াল্ট ডিজনির এআই নিয়ে তৎপরতার কথা শোনা গেল।
০ টি মন্তব্য