https://powerinai.com/

ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
 
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে এআই। বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ এটিকে এরই মধ্যে হুমকি ভাবা শুরু করেছেন।

হলিউডের লেখকরা তো রীতিমতো এআইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছেন। তাতে থেমে নেই নতুন এই প্রযুক্তির বিকাশ। চিত্রশিল্প, ভিডিও এডিটিং, লেখালেখির কাজের বাইরে এবার পুলিশি কাজও শুরু করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। 

যুক্তরাজ্য পুলিশের স্পাই ক্যামেরা ভ্যান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কারা ট্রাফিক আইন মানছেন না তাদের শনাক্ত করতে শুরু করেছে।

বিশেষ করে, যারা মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছে বা সিটবেল্ট লাগায়নি এমনসব ব্যক্তিদের এআইচালিত ক্যামেরা শনাক্ত করছে।

দেশটিতে ১৭ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে হ্যাম্পশায়ার, আইল অব হোয়াইট ও টেমস ভ্যালিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাণিজ্যিক যানবাহনকে লক্ষ্য করে এই এআইচালিত ক্যামেরা ভ্যান মোতায়েন করেছিল যুক্তরাজ্য পুলিশ। 

ভ্যানটিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত করতে দুটি ক্যামেরা যুক্ত ছিল। এর একটি ক্যামেরা এমনভাবে যুক্ত করা হয়েছিল যাতে গাড়ির চালকের কানে ফোন রয়েছে কি না বা চালক সিটবেল্ট পড়েছে কি না, তা শনাক্ত করা যায়।

অপর ক্যামেরাটি ছিল ড্রাইভার গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে টেক্সট করছে কি না, তা শনাক্ত করার জন্য। ট্রাইফ আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি সমন্বয় করতে যুক্ত ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

আর ছবিগুলো পুলিশের কাছে পাঠানোর আগে দুবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি পরীক্ষা করে দেখে নিশ্চিত হয়ে নেয়। ভ্যানটি ৮৬ জন চালককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যারা গাড়ি চালানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করছিল।

২৭৩ জন চালক ও যাত্রীকে এআইটি শনাক্ত করে, যারা চলন্ত গাড়িতে সিটবেল্ট বাঁধেনি। এ ছাড়া এআই থেকে তথ্য নিয়ে মাদক সেবন করে গাড়ি চালনা ও অনুমোদনহীন গাড়ি চালানোর জন্য পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।   

পুলিশের নিরাপদ সড়ক ইউনিটের প্রধান সাইমন গোমার জানিয়েছেন, নতুন এই প্রযুক্তি এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্রাফিক অপরাধগুলো কতটা মারাত্মক হতে পারে। 

একই সঙ্গে নতুন এই প্রযুক্তিতে উচ্ছ্বসিত গোমার। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ সময়। এক্ষেত্রে (ট্রাফিক) পুলিশের জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু আমরা এ প্রযুক্তি থেকে যে ফলাফল পেয়েছি, তা দুঃখজনকভাবে আমাদের দেখাচ্ছে যে অপরাধগুলো কতটা প্রবল।’ তার মতে, এ ধরনের অমনোযোগী গাড়ি চালনা হত্যার মতো ঘটনারও জন্ম দেয়। 

নতুন এই প্রযুক্তি অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করবে। তবে যতই প্রযুক্তির উন্নতি হোক না কেন, দুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকেই সামাজিক অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে বলে মত দেন সাইমন গোমার।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।