https://gocon.live/

প্রযুক্তি

ডাটাসফট : বাংলাদেশের প্রথম সম্পূর্ণ টেক-ব্র্যান্ড

ডাটাসফট : বাংলাদেশের প্রথম সম্পূর্ণ টেক-ব্র্যান্ড ডাটাসফট : বাংলাদেশের প্রথম সম্পূর্ণ টেক-ব্র্যান্ড
 

ডাটাসফট : বাংলাদেশের প্রথম সম্পূর্ণ টেক-ব্র্যান্ড


দু-দশক ধরে কাজ করা দেশের সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ডাটাসফট সিস্টেমস এখন ব্যাপক আকারে বেশ কিছু গ্যাজেট সংযোজনের কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে এরা চেষ্টা কওে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ টেক-ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। কোম্পানিটি বর্তমানে এর গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে এর নিজস্ব কারখানায় সংযোজন করছে ইন্টারনেট অব থিংস ডিভাইস, স্মার্টরিস্ট ব্র্যান্ড এবং দুই ধরনের ল্যাপটপ। এর ফলে কোম্পানিটি বিশ্ববাজারে এর ব্র্যান্ড আরো সুসংহত করতে সক্ষম হবে। ডাটাসফট এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করছে উদ্ভাবনীমূলক ও ব্যয়সাশ্রয়ী সফটওয়্যার সলিউশন উৎপাদনে। অনেক নামি-দামি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এর গ্রাহক তালিকায়।


ডাটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান বলেন, আমাদের দেশে অনেক আইসিটি সলিঊশন ডেভেলপ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন থেকে আমরা নজর দিচ্ছি ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসের ওপর। কারণ, আমাদের বিশ্বাস এই প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন আমাদের জন্য কাজ করবে একটি ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে।


আইওটি হচ্ছে একটি কমপিউটিং কনসেপ্ট। এটি বর্ণনা করে প্রতিদিনের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট এমনসব ভৌতকে, যেগুলো ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে এবং এগুলো নিজেরাই নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে পাওে অন্যান্য ডিভাইসেও। এসব ডিভাইস একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম এবং এরা কাজ করে পরের কাছ থেকে এদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। 


এখানে মানুষের কোনো হাক্ষেপ থাকে না। ডাটাসফট দুই বছর আগে দেশের প্রথম আইওটি ল্যাব গড়ে তোলে এর ঢাকার শ্যামলী কার্যালয়ে। গত ৩১ জুলাই এই কোম্পানি সৌদি আরবে পাঠায় এর ১০০ আইওটি ডিভাইস। এসব ডিভাইস মক্কা নগরীর অধিবাসীদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে ব্যবহার করা হবে। মক্কা নগরীতে কোনো কেন্দ্রীয় পানি ব্যবস্থা নেই। মক্কাবাসীরা নির্ভরশীল বহনযোগ্য পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর। বহনযোগ্য পানির ট্যাঙ্কের মাধ্যমে মক্কাবাসী তাদের পানি পেয়ে থাকেন। এরা বুঝতে পারেন না, এই ট্যাঙ্কের পানি সরবরাহ আর কত সময় চলবে। একমাত্র পানি শেষ হলেই এরা জানতে পারেন পানি সরবরাহ আর চলবে না। বিষয়টি মক্কাবাসীর জন্য বেশ দুর্ভোগ সৃষ্টিকর। এখন ডাটাসফটের উদ্ভাবিত মাত্র ৪৫০ ডলারের একটি ডিভাইসেই মক্কাবাসী সতর্কবার্তা পাবেন- যখন ট্যাঙ্কের পানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে, তখন এরা ট্যাঙ্কের পানি ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আবার ভর্তি করার সুযোগ পাবেন যথাসময়ে। ডাটাসফট এই ডিভাইসটি তৈরি করেছে সৌদি আরবের সুপরিচিত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ঝধশহ অষধিহঃধহরুধ-এর জন্য। এই কোম্পানির পরিকল্পনা রয়েছে আরো ৫ হাজার ডিভাইস নেয়ার, যদি এর আগে নেয়া ডিভাইস গুলো ঠিকমতো কাজ করে।


ডাটাসফটের এই ডিভাইসগুলোর ঐতিহাসিক রফতানি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশের প্রথম প্রযুক্তি শিল্পপার্কে। আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার, আইসিটি সচিব বেগম লুনা আজিজ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এতদিন বাংলাদেশ পরিচিত হয়ে আসছিল ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক দেশ হিসেবে। এখন ডাটাসফট নেতৃত্ব দিচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস বিদেশে রফতানির ব্যাপারে। এখন বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচত হবে ডিজিটাল পণ্য রফতানিকারক দেশ হিসেবে।


ডাটাসফট বর্তমানে কাজ করছে স্মার্ট রিস্ট ব্র্যান্ডের রফতানি আদেশের ব্যাপারে। এই রফতানি আদেশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কেয়ার প্রোভাইডারের কাছ থেকে। এছাড়া এটি কাজ করছে সার্ভিল্যান্স অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের এবং  নিরাপত্তা পদক্ষেপের জন্য ফেস রিকগনিশন সলিউশন নিয়ে। এটি এরই মধ্যে শুরু করেছে একটি কারখানা গড়ে তোলার কাজ। এখান থেকে উৎপাদিত হবে ‘তালপাতা’ ব্র্যান্ডের দুই ধরনের শিক্ষা ও করপোরেট সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ। এছাড়া এর পরিকল্পনা রয়েছে একটি পকেট ল্যাপটপ তৈরির। এটি যেকোনো স্মার্ট টেলিভিশনকে রূপান্তর করবে একটি কমপিউটারে। এছাড়া ডাটাসফট তৈরি করবে একটি স্মার্ট হোয়াইট বোর্ড সলিউশন, যা ব্যবহার হবে শিক্ষা ও করপোরেট কর্মকান্ডে। এর বাইরে ডাটাসফট ডেভেলপ করছে টোকিওর ১০ হাজার স্মার্ট অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং কঙ্গোর একটি সেতুর জন্য আইওটি সলিউশন। এটি জনিয়ে দেবে সেতু পরিস্থিতি ও একটি যানের ওজন। মাহবুব জামান জানান, প্রচুর পরিমাণ স্মার্টহোম সলিউশন তৈরি রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে অর্ডার সরবরাহের ব্যাপারে। প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশি-বিদেশি অর্ডার নিচ্ছে কাস্টম-বিল্ট আইওটি সলিউশনের।


আমরা ডাটাসফটের এই সাফল্যে খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করছি, ডাটাসফটের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে রফতানি উপযোগী ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে। আর সেই সূত্রে আমরা সুযোগ পাব- নিজেদের উন্নীত করব ডিজিটাল ডিভাইসের ভেন্ডর জাতি থেকে রফতানিকারকের দেশে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।