https://gocon.live/

প্রযুক্তি

বাংলাদেশ হবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব

বাংলাদেশ হবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বাংলাদেশ হবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব
 

বাংলাদেশ হবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব  

 

কৃষিবিপ্লবের পর থেকে অর্থাৎ শিল্পবিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই মানবসভ্যতার বিবর্তন ঘটতে থাকে খুব দ্রুতগতিতে। বলা হয়, শিল্পবিপ্লবের হাত ধরেই বদলে যেতে থাকে সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপট। শিল্পবিপ্লবের চূড়ান্ত উৎকর্ষের যুগকে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, যা আমাদেও জীবনযাত্রাকে করেছে সহজ, সরল, সাবলীল খুব দ্রুত। তবে তথ্যপ্রযুক্তির অপার কল্যাণে আমাদের জীবনযাত্রা এত দ্রু উন্নত থেকে উন্নতর হতে শুরু করেছে যে, পরবর্তী আরেক যুগের আগমনের বার্তা ইতোমধ্যেই আমরা পেতে শুরু করেছি। সম্ভত যুগটি হবে এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুগ। অথচ আমরা এখনো পরে আছি তথ্যপ্রযুক্তির সেই মধ্যযুগে। এখনো আমাদের অনেকের কাছে পুরো দেশটাকে ডিজিটালে রূপান্তর করা কঠিন স্বপ্নের মতো মনে হয়। অথচ সারা বিশ্ব এখন ধাবিত হচ্ছেইন্টারনেট অব থিংসতথা আইওটি ডিভাইস এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকে। কথা সত্য, আইওটি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে কোনোভাবে তথ্যপ্রযুক্তির যুগের প্রকৃত সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব হবে না। 

 

কথা সত্য, তথ্যপ্রযুক্তিকে ভিত্তি করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের তথা উন্নয়নের কর্মকান্ড শুরু হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষিত হওয়ার পর। যথার্থ অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি নির্ভরতা পরিহার করে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হতে হবে।

 

কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক যত কাজ হয় তার সবই হয় আমদানি করা প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে। অবশ্য বাংলাদেশ থেকে ইদানীং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু সফটওয়্যার রফতানিও হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফটওয়্যার রফতানি করা দেশের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশে সফটওয়্যার তৈরি করে

 

বিদেশে রফতানি করেও আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারি না, কেননা এই সফটওয়্যার তৈরি করতে যে হার্ডওয়্যারের দরকার হয়, তার শতভাগই আমাদেরকে আমদানি করতে হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। সুতরাং বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে এক আমদানিনির্ভর দেশ হয়ে আছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষিত হওয়ার পরও। 

 

প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকারকে অবশ্যই দেশে সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারে মনোযোগী হতে হবে। দেশে হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার

 

ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। লক্ষ্যে দেশে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কস্থাপন করা হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে দেশে বেশ কিছু সফটওয়্যার কোম্পানি গড়ে উঠেছে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখতে শুরু করেছে। কিন্তু, হার্ডওয়্যার পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়নি। 

 

হার্ডওয়্যার পণ্য তৈরি করতে চাই বিপুল অঙ্কের টাকা, দক্ষ জনবল এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন যা আমাদের মতো অল্প উন্নত দেশে সম্ভব নয়। আর কারণে দরকার সরকারি- বেসরকারি পার্টনারশিপ, বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহদান করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই প্রযুক্তিপণ্য আমদানিকারক দেশ থেকে প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী দেশে উন্নীত হতে হবে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।