সারা বিশ্বে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বা আবর্জনা উৎপাদন করে মানুষ। এসব আবর্জনার কোনটা পুনর্ব্যবহারযোগ্য আর কোনটা নয় তা বোঝা জরুরি।
এ বিষয়ে তথ্য থাকলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে। ফলে উপকার হবে পরিবেশ ও মানুষের। আবর্জনার মধ্যে কোনটা পুনর্ব্যবহারযোগ্য তা শনাক্ত করতে একধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন ক্যামেরা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের গ্রেপ্যারট নামের একটা কোম্পানি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০টা আবর্জনা ফেলার স্থানে ক্যামেরা স্থাপন করেছে গ্রেপ্যারট। এসব ক্যামেরায় রয়েছে এআই প্রযুক্তি।
এর মাধ্যমে কোন কোন ধরনের আর্বজনা সেখানে ফেলা হয়েছে, তা শনাক্ত করা গেছে। ফলে এসব আর্বজনার কোনটা পুনর্ব্যবহারযোগ্য তা বের করা সহজ হয়েছে।
গ্রেপ্যারটের প্রধান উদ্যোক্তা মিকেলা ড্রাকম্যান জানান, বছরে আমরা গড়ে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি আবর্জনার আইটেম শনাক্ত করতে পারি।
আমাদের ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হলে তা আরও বাড়বে। এসব তথ্য আবর্জনা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের কাজে লাগছে।
তারা সহজে বুঝতে পারছে কোন আবর্জনা সমস্যাজনক, পুনর্ব্যবহারের পথে কোনটা বাধা ইত্যাদি। ১৯৫০-এর দশক থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ৮৩০ কোটি টনের বেশি আবর্জনা উৎপাদিত হয়েছে।
তবে কেবল ২০২০ সালেই ২২৪ কোটি টন আবর্জনা উৎপাদিত হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে তা প্রায় ৭৩ শতাংশ বেড়ে ৩৮৮ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ম্যাটেরিয়াল ফোকাস নামের একটা সংগঠন জানায়, শুধু যুক্তরাজ্যেই সপ্তাহে ১৩ লাখ ভ্যাপ বা বৈদ্যুতিক সিগারেট ডাস্টবিনে ফেলা হয়।
এর অর্থ, বছরে প্রায় ১০ টন লিথিয়াম পরিবেশের সঙ্গে মিশছে। এ পরিমাণ লিথিয়াম দিয়ে প্রায় ২০০টি প্রাইভেট কারের ব্যাটারি তৈরি করা যাবে।
আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় এআইয়ের মতো প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমানো কিছুটা হলেও সম্ভব হবে। কারণ এটা উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত সব মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সতর্ক করবে।
০ টি মন্তব্য