গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে ২০২৩ সালে গুগলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল শূন্য নিঃসরণ (জিরো এমিশন) পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এনভায়রনমেন্টাল রিপোর্টে দেখা গেছে, নিঃসরণ কমে যাওয়ার বদলে গুগলের গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়েছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪৮ শতাংশ বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করেছে গুগল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন সেবা যোগ করার ফলে এমনটি ঘটছে।
কারণ, এআই ব্যবস্থায় সাধারণত কমপিউটারভিত্তিক অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। যার ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যায়।
গুগলের এআই সেবা বেড়ে যাওয়ায় ডেটা সেন্টারে আগের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি। যার ফলে ২০২৩ সালে গুগলের নেট জিরো এমিশন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি।
এমনকি গুগল বলছে, ক্রমবর্ধমান এআই সেবার কারণে ভবিষ্যতেও এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ প্রায় অসম্ভব। কারণ, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে নিঃসরণ কমানো কঠিন হয়ে পড়বে।
ডেটা সেন্টারে সাধারণত অসংখ্য কমপিউটার সার্ভার থাকে। এআই প্রযুক্তির জন্য ডেটা সেন্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এমন অসংখ্য ডেটা সেন্টারের প্রয়োজন পড়ে এআইয়ের জন্য।
ডেটা সেন্টারের চাহিদা বাড়ায় বিদ্যুৎ ব্যয় বেশি হয় এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণও বেড়ে যায়। বলা হচ্ছে, চ্যাটজিপিটির মতো এআই সিস্টেম অন্য সফটওয়্যারভিত্তিক যন্ত্রের তুলনায় ৩৩ গুণ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।
এনভায়রনমেন্টাল প্রতিবেদনে অবস্থান অনুযায়ী গুগলের বিভিন্ন ডেটা সেন্টারের গ্যাস নিঃসরণের তারতম্যও দেখা গেছে।
ইউরোপ ও আমেরিকার ডেটা সেন্টারগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম গ্যাস নিঃসরিত হয়। কারণ, এসব ডেটা সেন্টারে বায়ু, সৌর ও জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
আর অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ডেটা সেন্টারে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। যার ফলে এসব ডেটা সেন্টারে অনেক বেশি কার্বন নিঃসরণ হয়। গুগলের ডেটা সেন্টারগুলোর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশে কার্বনহীন উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়।
০ টি মন্তব্য