ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুদ্রা চুরি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডিজিটাল এ মুদ্রা চুরির হার বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।
চলতি বছর বিটকয়েন ও ইথিরামের মতো ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে চুরির ঘটনাও।
সাইবার হামলার মাধ্যমে মুদ্রা চুরির এসব ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার দিকে আঙুল তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, দুবছর আগেও যেভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কমতে শুরু করে, তাতে করে অনেকেই ভেবেছিলেন এক সময় অপার সম্ভাবনার ডিজিটাল মুদ্রার দিন বুঝি ঘনিয়ে আসছে।
২০২২ সালে এ মুদ্রার দাম কমে হয়েছিল সর্বনিম্ন। ঘটনার পটভূমি দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করে ক্রিপ্টোরাজ নামে খ্যাত স্যাম ব্যাংকম্যানের গ্রেফতারের পর থেকে।
এর দাম বাড়তে বাড়তে চলতি বছর মার্চে এসে একটি বিটকয়েনের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৭৪ হাজার ডলার, যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৩০ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোমুদ্রা চুরি হয়েছে। গেলো বছর একই সময়ে এ চুরির পরিমাণ ছিল ৬৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোচুরির ঘটনা ঘটেছে জাপানের বিটকয়েন প্রতিষ্ঠান ডিএমএমে। এ বছর এ একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই চুরি হয়েছে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বিটকয়েন।
হুটহাট এসব সাইবার আক্রমণের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের দিকে আঙুল তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রম চালাতে এসব হ্যাকিং-এর দিকে ঝুঁকছে তারা।
০ টি মন্তব্য