https://gocon.live/

প্রযুক্তি

মুঠোফোন উৎপাদনে বাংলাদেশ

মুঠোফোন উৎপাদনে বাংলাদেশ মুঠোফোন উৎপাদনে বাংলাদেশ
 

মুঠোফোন উৎপাদনে বাংলাদেশ


গত বছর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে মাপের স্মার্টফোন। উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের ভোক্তাদের মধ্যেও যুগোপযোগী প্রযুক্তি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কম দামের হ্যান্ডসেট কেনার চেয়ে বেশি দামের হ্যান্ডসেট কেনার প্রতি এ দেশের ভোক্তাদের বিশেষ চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর এই চাহিদার পুরোটাই আমদানিনির্ভর। আশার কথা হচ্ছে, চলতি মাস থেকেই এই নির্ভরতা কাটতে শুরু করছে। কিছুটা হলেও মেঘ সরতে শুরু করেছে। এখন বৈশ্বিক দমকা হাওয়া মোকাবেলা করে শ্বেত ভল্লুকের রাহুমুক্ত কতটা হওয়া সম্ভব হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে আমাদের সফলতা। অবশ্য পোশাক রফতানির মাধ্যমে শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে দঢ়ৃ তার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ। আর এবার আরেক ধাপ এগিয়ে কায়িক শ্রম-অর্থনীতিকে মেধাভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরের মিশনে এগিয়ে চলছে দেশী ব্র্যান্ডগুলো।


সরকার ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে হ্যান্ডসেট আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও সংযোজনের শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় ১ শতাংশে নামিয়ে আনায় সংযোজন ও উৎপাদন পর্বে মনোযোগী হয়ে উঠছে দেশী ব্র্যান্ডগুলো। উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে এসকেডি (সেমি নকড ডাউন) পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং সিকেডি (কমপ্লিট নকড ডাউন) পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে উভয় ক্ষেত্রে এ শুল্ক ছিল ৩৭.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রসারে মনোযোগী হয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে তারা এবার বাংলাদেশের মাটিতেই এ দেশের উপযোগী হ্যান্ডসেট তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে। স্বকীয় ব্র্যান্ড ভ্যালুপ্রতিষ্ঠায় দক্ষ জনবল গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।


ভোক্তা পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যাপক চাহিদা মেটাতে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছে দেশী প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যেই দেশে মোবাইল কারখানা স্থাপন করে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে ওয়ালটন। মিরপুরে কারখানা স্থাপন করছে উই টেকনোলজি। কারখানা স্থাপন শুরু করছে সিম্ফোনি। দেশী এসব প্রতিষ্ঠানের মতো বাজার ধরে রাখতে বাংলাদেশে নিজস্ব প্লান্ট স্থাপনে মনোনিবেশ করেছে এলজি ও স্যামসাং। বাজার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর বর্তমানে দেশের হ্যান্ডসেট গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বাকি ৭০ শতাংশের হাতে রয়েছে ফিচার ফোন। বাজার মূল্যের কারণে এদের অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না।


এ ছাড়া দেশে ফোরজি চালুহলে স্মার্টফোনের চাহিদা আরও বাড়বে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদন বা সংযোজন শিল্পের জন্য সহায়ক হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগ করার মতো সক্ষমতা অর্জন হলেও কারখানাগুলোতে কাজ করার মতো দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এখনও ইএমআই ডাটাবেজ স্থাপন না হওয়াটাও এই শিল্পখাত বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে মোবাইল ফোনের পিসিবি নকশা, স্থানীয় ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়াস নিয়ে মুঠোফোনের স্বকীয় নকশা, ফিচার এবং বিশেষায়িত অ্যাপ্লিকেশনের দিকে মনোযোগী হওয়াটাও এখন সমানভাবে জরুরি হয়ে পড়েছে। কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এই শিল্পখাতের বিনিয়োজিত পুঁজির সুরক্ষা বিষয়ে স্বচ্ছ নীতিমালা ও রোডম্যাপ তৈরি না হলে প্রস্ফুটিত ফুলের সুবাসটা বেশিদূর পৌঁছবে না।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।