https://gocon.live/

প্রযুক্তি

ট্রাফিক জ্যাম রোধে দেশিয় প্রযুক্তির সমাধানে সিগমাইন্ড এআই

ট্রাফিক জ্যাম রোধে দেশিয় প্রযুক্তির সমাধানে সিগমাইন্ড এআই ট্রাফিক জ্যাম রোধে দেশিয় প্রযুক্তির সমাধানে সিগমাইন্ড এআই
 

আলো দেখাচ্ছে ট্রাফিক জ্যাম রোধে দেশিয় প্রযুক্তির সমাধানে  সিগমাইন্ড এআই


বাংলাদেশে, বেশিরভাগ যানজটের কারণ হয় অনিয়ন্ত্রিত ড্রাইভিং আচরণ, আকস্মিক লেন পরিবর্তন এবং প্রধান সড়কে অ-মোটরচালিত যানবাহন। প্রতিটি লঙ্ঘনকারীকে পৃথকভাবে জরিমানা করা ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের পক্ষে অসম্ভব। কারণ এর জন্য রাস্তায় যথেষ্ট পরিমাণে ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন। আজকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) যুগে, ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রাস্তাগুলি পর্যবেক্ষণ, প্রমাণ সংগ্রহ এবং ত্রুটি কাটিয়ে সহজ সমাধান রয়েছে হাতের নাগালে।


ট্রাফিক জ্যাম রোধে দেশিয় প্রযুক্তির কাস্টমাইজেবল সমাধান তৈরি করেছে সিগমাইন্ড এআই। ডেটা এনলাইসিস করে অ্যালগরিদম ভিত্তিক একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনাও তৈরি করে ফেলেছে এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য রাজধানীর জনতা টাওয়ারে বসে দেশের ৩০টি স্থানের মহাসড়ক থেকে শুরু করে রাজধানীর ৬টি প্রধান সড়কের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ২২ জনের এই টিম তৈরি করেছে তিনটি সফটওয়্যার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির নম্বর সনাক্তকরণে এআই ডিটেক্টর, ট্রাফিক ফ্লো বিশ্লেষণের এআই সল্যুশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্লসিফায়েড ভলিউম কাউন্ট সফটওয়্যার। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই তিনটি সল্যুশনই ব্যবহার করছে বাংলাদেশ সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সিগমাইন্ড ল্যাবে তৈরি এই সল্যুশনগুলো রিয়েল-টাইমে ভিডিও স্ট্রিম বিশ্লেষণের মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যক্রম চিহ্নিত করতে পারে।


চলতি মাসেই এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হচ্ছে। শিগগিরই এই সল্যুশন বড় পরিসরে ব্যবহার শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সিগমাইন্ড ল্যাবস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আবু আনাস শুভম।


ডিজিবাংলাকে তিনি জানান, ক্লসিফায়েড ভলিউম কাউন্ট করে আমরা দেখেছি, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে কোনো যানজট নেই। যা আছে তা হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এই বিশৃঙ্খলা দূর করার পাশাপাশি রাস্তার চাপ ব্যবস্থাপনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে তিনটি সল্যুশন আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করছি তাতে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, এয়ারপোর্ট সড়ক এবং পদ্মাসেতু মুখী এক্সপ্রেস হাইওয়েসহ বর্তমানে ঢাকার ৬টি প্রধান সড়কে লেন প্রতি ১টি আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করে ট্রাফিক ফ্লো, গাড়ির নম্বর সনাক্ত এবং বিশৃঙ্খলার বিষয়টি সনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


শুভম বলেন, আমাদের ট্রাফিক ফ্লো হচ্ছে একটি ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (iTMS) যা Sigmind.ai দ্বারা রাস্তার ক্যামেরা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক মনিটরিং করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি গতি এবং লেন অবস্থানের তথ্য ক্যাপচার করার সাথে সাথে রাস্তার উভয় দিকের ট্রাফিক প্রবাহ সনাক্ত করতে, শ্রেণীবদ্ধ করতে এবং গণনা করতে পারে। এটি ডাটাবেস থেকে গাড়ির লাইসেন্স প্লেট এবং রেকর্ড চিত্রগুলি বিশ্লেষণ করেও প্রকৃত চিত্র গাড়ির চালকের প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করে।


প্রসঙ্গত, বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর স্মার্ট সারভেইল্যান্স সল্যুসন্স নিয়ে ২০১৯ সালে সারভেইল্যান্স সল্যুসন্সভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সোলেস ইনোভেশন্স এর সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছিলো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ভিত্তিক রিসার্চ গ্রুপ সিগমাইন্ড ল্যাবস লিমিটেড। সোলেস ইনোভেশন্স- এর জনপ্রিয় সারভেইল্যান্স সেবাটি ‘পিপদ্যাপ্লেস’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে সিগমাইন্ড ল্যাবস লিমিটেডের জনপ্রিয় সেবাটি ‘ওয়াচক্যাম’ নামে পরিচিত।


গতানুগতিক সারভেইল্যান্স সলুশন্সের বাইরে সিগমাইন্ড ল্যাবস লিমিটেড এআই নির্ভর যে মোবাইল অ্যাপ এবং সারভাইল্যান্স মনিটরিং টেকনোলজি সল্যুসন্স রয়েছে তা রিয়েল-টাইমে ভিডিও স্ট্রিম বিশ্লেষণের মাধ্যমে সন্দেহজনক কার্যক্রম চিহ্নিত করতে সক্ষম। এই তথ্যগুলো ব্যবহারকারীর সঙ্গে ইমেইল, এসএমএস এবং অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমেও শেয়ার করা যায়।


হাইওয়ে, ট্রাফিক সার্কেল, পার্কিং এরিয়া, ফুয়েল স্টেশন ইত্যাদি স্থানকে নজরদারিতে রাখতে সিগমাইন্ডের এআই সল্যুশন তৈরি করা হলেও এটি এখনই ব্যক্তিগত, বাসা-বাড়ি, কর্পোরেট সেক্টর, সরকারি-বেসরকারীসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সুরক্ষা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।