তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ৩০ জুলাই ২০২২ রাজধানীর পর্যটন ভবনে বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্টারদের মাঝে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক "বেষ্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরস্কার প্রদান করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ করায় ২ ক্যাটাগরিতে গণমাধ্যমের ৯ প্রতিবেদককে পুরস্কৃত করা হয়।
টেলিভিশন/রেডিও বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন টেলিভিশন ক্যাটেগরি শেখ রাকিবুল্লাহ হাসান, সিনিয়র রিপোর্টার, একাত্তর টেলিভিশন; কুমার বিশ্বজিত রায়, সিনিয়র রিপোর্টার বাংলাদেশ টেলিভিশন; মুরসালিন হক জুনায়েদ, স্টাফ রিপোর্টার, চ্যানেল ২৪ এবং শিহাব হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাভিশন।
পত্রিকা ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে উম্মুল ওয়ারা সুইটি, প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক দেশ রূপান্তর; সমীর কুমার দে মন্ডল, সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক ইত্তেফাক; সৈয়দ এলতেফাত হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস); আবু সালেহ সায়াদাত, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা পোস্ট; রাশেদ মেহেদী, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক সমকাল পুরস্কৃত হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মীদের ৩০০ প্রতিবেদকের প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
অনলাইন সংযুক্তিতে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিবিসি নিউজ এর সম্পাদক জুয়েল আহসান পিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ধাপে ধাপে আমরা ডজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। এর সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যেন বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারেন সে জন্য ডিজিটাল লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে তাদেরর অন্তর্ভূক্ত করার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় জনগণের মতামত যাতে আরও প্রতিফলিত হয়, সেকারণে ৫৬টি মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আইসিটি বিভাগ থেকে অত্যন্ত আধুনিক পোর্টাল চালু করা হবে। যেটির নাম হবে ‘জনতার সরকার পোর্টাল’।
যেখানে আমরা যেকোনও সিদ্ধান্ত, নীতি-নির্ধারকদের যেকোনও বক্তব্য, যেটির প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা নিউজ মিডিয়াতে আসে, আমাদের ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়, সেজন্য আমরা এই পোর্টাল অল্প দিনের মধ্যে চালু করবো। এতে করে সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ আরও তৈরি হবে। সরকারের নীতি নির্ধারণে এটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত, সৃজনশীল, উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ "স্মার্ট বাংলাদেশ" বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রকাশ করার কথাও জানান তিনি।
০ টি মন্তব্য