অটোমেটিক স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
অটোমেটিক স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ওরাকলের একটি ভলিউম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি জধি ডিস্ককে সরাসরি ম্যানেজ করতে পারে এবং ডাটাবেজ দ্বারা তৈরিকৃত বিভিন্ন ফাইলকে সংরক্ষণ এবং মেইনটেইন করতে পারে। এক্ষেত্রে ডাটাবেজ ফাইলসমূহ ম্যানেজ করার জন্য কোনো থার্ড পার্টি ভলিউম ম্যানেজারের প্রয়োজন হয় না। এএসএম ডাটাবেজের ফাইলকে এলোকেশন ইউনিটে বিভক্ত করে সব ডিস্কে সমানভাবে ডিস্ট্রিবিউট করে সংরক্ষণ করে। প্রতিটি এলোকেশন ইউনিট ১ মেগাবাইট সাইজের হয়ে থাকে। এতে ডাটা আই/ও অপারেশনের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়। এটি বিভিন্ন ডাটাবেজ ফাইলের মাল্টিপল কপি তৈরি করে বিভিন্ন ডিস্কে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে ডাটা রিডান্ডেন্সি প্রদান করে থাকে। এএসএম ব্যবহার করে ডায়নামিক্যালি ডিস্ক স্টোরেজ ভলিউম সংযুক্ত বা বিযুক্ত করা যায়। নতুন ডিস্ক সংযুক্ত করার জন্য ডাটাবেজ শাটডাউন করা প্রয়োজন হয় না। নতুন ডিস্ক সংযুক্ত করা হলে এএসএম অটোম্যাটিক্যালি ডাটাবেজ ফাইলসমূহকে নতুন ডিস্কে রিব্যালেন্স অপারেশনের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়। একইভাবে কোনো ডিস্ক রিমুভ করা হলে এএসএম উক্ত ডিস্কের কনটেন্টসমূহকে অন্য ডিস্কসমূহে রিডিস্ট্রিবিউট করে দেয়। এএসএম সিস্টেম যেহেতু ডাটাবেজের ফাইলসমূহ বিভিন্ন ডিস্কে সমানভাবে সংরক্ষণ করে তাই আই/ও লোড সব বিদ্যমান রিসোর্সসমূহের মধ্যে সমানভাবে ডিস্ট্রিবিউট হয়ে যায়, ফলে আই/ও অপারেশন দ্রুত হয় এবং ম্যানুয়ালি আই/ও টিউনিং করা প্রয়োজন হয় না। এএসএমের এই ফাইল ডিস্ট্রিবিউশন প্রক্রিয়াকে ফাইল স্ট্রাইপিং বলা হয়।
উপরোক্ত চিত্রে এএসএমের ফাইল স্ট্রাইপিংয়ের একটি উদাহরণ দেখানো হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে চারটি ডিস্ক রয়েছে এবং প্রতিটি ডিস্কে ফাইল-১ এবং ফাইল-২-এর এলোকেশন ইউনিটসমূহ সমানভাবে ডিস্ট্রিবিউটেড হয়েছে।
এএসএম স্ট্রাইপিং করার সময় প্রতিটি ফাইলকে ১ এমবি সাইজের এলোকেশন ইউনিটে বিভক্ত করার মাধ্যমে সব ডিস্কের মাধ্যমে সমানভাবে ডিস্ট্রিবিউট করে থাকে, এজন্য এএসএম
একটি ইনডেক্স টেকনিক ব্যবহার করে সব এলোকেশন ইউনিটসমূহকে ট্র্যাক করে থাকে।
যখন কোনো নতুন ডিস্ক এএসএমের সাথে সংযুক্ত করা হয় তখন এএসএম উক্ত ডিস্ক/স্টোরেজের সাইজের অনুপাতে ফাইলের এলোকেশন ইউনিটকে উক্ত স্টোরেজে ডিস্ট্রিবিউট করে, আবার যখন কোনো ডিস্ক/স্টোরেজকে রিমুভ করা হয় তখন উক্ত স্টোরেজের সাইজের অনুপাতে ফাইলের এলোকেশন ইউনিটসমূহকে অন্যান্য ডিস্কসমূহে রিডিস্ট্রিবিউট করে দেয়া হয়।
এএসএম ব্যবহারের সুবিধা
এএসএম ব্যবহারের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যেমন
ডিস্ক/স্টোরেজসমূহকে এটি ম্যানেজ করে থাকে।
ফাইলের নামসমূহ অটোমেটিক্যালি ম্যানেজ করে থাকে।
ফাইল সিস্টেমকে অটোমেটিক্যালি ম্যানেজ করে থাকে।
র-ডিস্কসমূহকে ম্যানেজ করে থাকে।
অটেমেটিক্যালি ফাইল এলোকেশনকে বিভিন্ন ডিস্কে ডিস্ট্রিবিউট করে থাকে।
ফাইল লেভেলে মিররিং করে থাকে।
ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে আই/ও পারফরম্যান্স টিউনিং করতে হয় না।
অনলাইন ডিস্ক রিকনফিগারেশন করা যায় অর্থাৎ ডিস্ক সংযুক্ত/বিযুক্ত করার জন্য ডাটাবেজ শাটডাউন করতে হয় না।
এএসএম সাপোর্টেড ফাইলসমূহ
ডাটাবেজের বিভিন্ন ধরনের ফাইলকে এএসএম সিস্টেমে সংরক্ষণ করা যায়। যেমন
SPFILE
ডাটা ফাইল
লগ ফাইল
কন্ট্রোল ফাইল
আর্কাইভ লগ ফাইল
আরম্যান ব্যাকআপ ফাইল
ফ্ল্যাশব্যাক লগ ফাইল প্রভৃতি
এএসএম ফাইলের নাম + (প্লাস) সাইন দ্বারা শুরু হয়। এএসএম সিস্টেম বিভিন্ন ফাইল তৈরি, সংরক্ষণ এবং ম্যানেজ করে থাকে।
০ টি মন্তব্য