https://gocon.live/

সার্বিক ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে: মোস্তাফা জব্বার

সার্বিক ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে: মোস্তাফা জব্বার সার্বিক ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে: মোস্তাফা জব্বার
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। ইতোমধ্যে সেটি অনেকটা পেরেছি। ডাকঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে  সার্বিক ডাক ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার  কাজ চলছে। মেইলিং ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ‘হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেওয়ার মতো দুরূহ কাজটিও ডাকঘর শুরু করেছে। ডাকঘর ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডাকঘরকে একটা নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা এবং পত্র লিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুন কান্তি সিকদার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিনাত আরা  বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত যুগান্তকারী বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ‘ডাকঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় পরিচালিত সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ডাক সেবায় ডাকঘরের সমকক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ‘করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।’ উপনিবেশ আমলে সৃষ্ট অবকাঠামো কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে মিলে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তার ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ করে। প্রথম এবং দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব মিস করে শতশত বছর প্রযুক্তিতে পশ্চাদপদ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসার আাহ্বান জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবি। তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, তরুণরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, রানারের যুগ শেষ হয়ে গেলেও চিঠির ঐতিহ্য মানুষ আজও মনে রাখে। ডাকঘরকে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তিনি ডাক সেবার মানোন্নয়নে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টা সেবার পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, শ্রীলংকা, ভূটান ও অস্ট্রেলিয়ার ডাক ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল পর্যায়ে থাকলে আমরা কেন পারব না। তিনি ডাক সেবার উন্নয়নে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন। ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক সেবা যাত্রার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন। কালের বিবর্তনে চিঠির প্রয়োজন শেষ হলেও ডাকের প্রয়োজন রয়েছে। জিনাত আরা বলেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ডাক সেবা আধুনিকায়ন করতে হবে। পরে মন্ত্রী বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বিশ্ব ডাক দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আস্থার জন্য ঐক্য: একটি নিরাপদ ও সংযুক্ত ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা’। ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন’। পরে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসঙ্ঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।







০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।