সিরাজগঞ্জের তারাশে গ্রামীণফোনের দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামীণফোন সিম ব্যবহারকারীরা। খোদ শহরেই এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঢোকার সময় ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।
এদিকে, গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেসে সমস্যা আছে এমন সব এলাকায় টাওয়ার বসিয়ে নেটওয়ার্ক কভারেজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
সগুনা ইউনিয়নের ধপ্তেটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এম মোতালেব হোসেন মামুন তাড়াশ সদরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি বলেন, শহরেও গ্রামীণ ফোন নেটওয়ার্ক দুর্বল। গ্রামের বাড়িতে পাওয়া যায় না। আমি আগের মত অ্যান্টেনা ইন্সটল করা ছাড়া বাসায় নেটওয়ার্ক পাওয়ার কোন উপায় দেখছি না।
পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের মোহাইমিন জয় নামে একজন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র বলেন, ‘শহরে থেকে পড়ালেখা করি। বাড়িতে এসে অনলাইন প্রাইভেট প্রোগ্রামে পড়তে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ঘরের মধ্যে নেটওয়ার্ক পায়না। কথাই বলা যায়না। বাধ্য হয়ে বাড়ির মুক্ত বারান্দায় চেয়ার টেবিল পেতে পড়তে হয়। তাড়াশ সদরের গ্রামীণফোনের টাওয়ার থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমাদের বাড়ি।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মতে, বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে কল এক্সচেঞ্জ ও ইন্টারনেট সেবায় সুস্পষ্ট সমস্যা হচ্ছে।
তাড়াশ গ্রামীণ ফোন সেন্টারের এজেন্ট সুদেব কুমার শুভ, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক কভারেজ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের জন্য অ্যান্টেনা এবং রাউটার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
তাড়াশ-রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার খোরশেদ আলম জানান, তারাশায় টাওয়ার বসিয়ে ভয়েস ও ডাটা সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনের আপলোড স্পিড ১৫ এমবিপিএস এবং ডাউনলোড স্পিড ২০-এর কম তালিকা পাঠানো হচ্ছে।











০ টি মন্তব্য