ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট
‘নেটক্রাফট’র সার্ভে অনুযায়ী ইন্টারনেটে বর্তমানে ৪৫৫ মিলিয়নের ওপর একটিভ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি, যা ইন্টারনেটে ৩৫ ভাগ ওয়েবসাইট নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। ১৯৬ টি ভাষায় ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ব্যবহার করা যায়। ‘কিওয়ার্ডফাইন্ডার’ তথ্য হিসেবে প্রতি মাসে ২,৯৪০,০০০ বার ‘ওয়ার্ডপ্রেস’ কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করা হয়। ওয়ার্ডপ্রেস একটি বিনামূল্যের ওপেনসোর্সভিত্তিক সফটওয়্যার। বিশ্বের প্রথম সারির ১০০ টি ওয়েবসাইটের ১৪.৭ ভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস দিয়ে তৈরি করা, যেমনঃ সিএনএন, টেড,এনবিসি,সিবিসি রেডিও এবং ইউপিএস’র মতন বেশ নামকরা ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে করা। প্রতি মাসে ৭০ মিলিয়ন নতুন পোস্ট এবং ৭৭ মিলিয়ন নতুন কমেন্ট ব্যবহারকারী প্রদান করেন। প্রতি মাসে ৪০৯ মিলিয়ন মানুষ ২০ বিলিয়নের ওপর ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট পেজ পাঠ করে। সিএমএস মার্কেটে ওয়ার্ডপ্রেস ৬০.৮ ভাগ মার্কেট শেয়ার ধরে রেখেছে।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কি
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট একটি প্রক্রিয়া, যাতে ওয়ার্ডপ্রেস এবং এই সম্পর্কিত কাঠামোগত উন্নয়নে পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারকে এই প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কিত পুরো জ্ঞান থাকা আবশ্যক। পেস্কেল.কম এর তথ্য হিসেবে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার গড়ে ৫০ হাজার ডলার আয় করেন। ৭১ ভাগ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের কনটেন্ট ইংরেজিতে লেখা। প্রতি সেকেন্ডে ২৭ টি নতুন পোস্ট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা প্রদান করেন।
ওয়ার্ডপ্রেস.কম এবং ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ এর মধ্যে পার্থক্য ডড়ৎফঢ়ৎবংং.পড়স একটি ফ্রি সার্ভিস যা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোস্ট করে। যারা শখের বগ লেখেন তাদের কাজ শুরুর জন্যে ভালো একটি প্যাটফর্ম। এতে সর্বোচ্চ ৩ জিবি ফ্রি জায়গা তথ্য বা ডাটা সংরক্ষণের জন্যে পাওয়া যায়। আর ব্যক্তিগতভাবে কিনে ব্যবহার করতে চাইলে বছরে প্রতি ৬ জিবি হোস্টিংয়ের জন্যে ৪৮ ডলার অর্থ ব্যয় করতে হবে। আর আপডেট বা ব্যাকআপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে, এর জন্যে আলাদা করে কোনপ্রকার ব্যবস্থা নিতে হবেনা। এতে ফ্রিতে (https://yourwebsite.wordpress.com) আকারে ব্র্যান্ডেড সাব-ডোমেইন সাইটের নাম দিতে পারবেন। ডড়ৎফঢ়ৎবংং.ড়ৎম একটি কমিউনিটি, যেখানে মানুষ ওপেনসোর্সভিত্তিক ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করে। ইচ্ছে করলে যে কেউ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(সিএমএস) সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিজের ওয়েব সার্ভারে ব্যবহার করতে পারেন। এখান থেকে অনেকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্যবহার উপযোগী ওয়ার্ডপ্রেস পাগইন ডাউনলোড করে এবং বিনামূল্য আপনার ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার আর্টিকেল, ডকুমেন্ট, ছবিসহ ডাটা এবং তথ্যাবলি আপলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মূল yourwebsite.com এর মাধ্যমে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যার ইন্সটল করে তা ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ফ্রি এবং পেইড ভার্সনে ওয়ার্ডপ্রেস পাগইন কিংবা অ্যাপস যুক্ত করতে পারবেন। এক ক্লিকে জনপ্রিয় ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিগুলোতে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল পরিষেবা পেতে পারবেন। এখানে আপনার হোস্টিং প্যানের ওপর নির্ভর করে যতখুশি ফাইল, আর্টিকেল আপলোড করে প্রদর্শন করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের কি কি দক্ষতা লাগে
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারকে পিএইচপি, এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, মাইএসকিউএল এর মতন প্রোগ্রামিং ভাষা শিখে ওয়ার্ডপ্রেস থিম সহ যাবতীয় ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত বিষয় ডেভেলপ এবং তৈরি করতে হবে।
পিএইচপি
ওয়েবসাইট ডেভেলপিংয়ে বিশ্বব্যাপী অধিক জনপ্রিয় ওয়েব সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা পিএইচপি বা হাইপার টেক্সট প্রিপ্রসেসর। ৭৮ ভাগ ওয়েবসাইট পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা নির্ভর। পিএইচপি সহজে কনটেন্ট এবং ডাটাবেজ একইসাথে প্লাগইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। পিএইচপি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ওয়েবসাইট তৈরি করে পরিচালনাতে সাহায্য করে। ১৯৯৫ সালে পিএইচপি ভাষা প্রথম সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়। পিএইচপি ুবহফ বহমরহব এর মাধ্যমে রুপান্তরিত হয় এবং ড৩ঞবপযং এর ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭৯.২ ভাগ ওয়েবসাইটে পিএইচপি ভাষা ব্যবহার হবে। বর্তমানে পিএইচপি ৮ সবচেয়ে নতুন ভার্সন, যেটা ২৬ নভেম্বর,২০২০ সালে রিলিজ করে। পিএইচপি ‘ম্যাচ এক্সপ্রেশন’র সাথে পরিচয় ঘটায়, যা সুইচ (SWITCH) স্টেটমেন্টের মতন।
এইচটিএমএল
এইচটিএমএল বা ঐঞগখ হচ্ছে HyperText Markup Language , অর্থাৎ, মার্কআপ সিম্বল বা চিহ্ন বা কোডের সমষ্টি সেট। মার্কআপ একটি ওয়েবসাইটের অক্ষরসহ ছবি ইন্টারনেটে কিভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্দেশিত করে। মার্কআপ কোড ‘<’ ‘>’ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং তার মধ্যে বিভিন্ন কোড ট্যাগ ব্যবহার করে এইচটিএমএল ভাষা প্রকাশ করা হয়। বেসিক স্ক্রিপ্টিং ভাষাটি বিশ্বব্যাপী ওয়েব দুনিয়াতে ওয়েব ব্রাউজ করতে প্রয়োজন। হাইপার টেক্সট একটি লিংকে ক্লিকের মাধ্যমে আরেকটি নতুন পেজে রিডিরেক্ট বা প্রবেশ করতে সাহায্য করে। শুরুর দিকে এইচটিএমএল স্টেটিক (ওয়েব ১.০) ভার্সনের ছিল। ওয়েবসাইটের কাঠামোগত বিষয় দাঁড় করাতে সাহায্য করে। পুরো কোড এইচটিএমএল ফাইলে সংরক্ষিত হয়, ব্রাউজার ফাইল পড়ে তা পাঠকের কাছে প্রদর্শিত করে।
সিএসএস
সিএসএস মার্কআপ ভাষার পেজগুলো ধরণ কিংবা রকম কেমন হবে তা নির্ধারণ করে। ফন্ট রং, ব্যাকগ্রাউন্ড ধরণ, এলিমেন্ট, বর্ডার এবং পরিমাপ কেমন হবে তা ঠিক করতে সিএসএস বা Cascading Style Sheet(css) ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৬ সালে প্রথম সিএসএস রিলিজ পায়, ওয়েবপেজের কোন সেকশন কেমন হবে, পাঠকের কাছে তা পড়তে আকর্ষণীয় ডিজাইন করতে সিএসএস ব্যবহার করা। একটি এইচটিএমএল ফাইলে অনেকগুলো সিএসএস ফাইল এক্সটারনাল লিংকের মাধ্যমে অনুরুপভাবে যুক্ত থাকে। <link rel = stylesheet type= text/css href= file.css >। এছাড়া স্ট্যাইল বা ধরণের তথ্যাদি ওয়েবপেজে <style> ট্যাগ দিয়ে ব্যবহার করা। সিএসএস’তে অঃঃৎরনঁঃব বা উপাদানগুলো font-si“e, background-color এইরকম ভ্যালু প্রদান করে কাজ করা।
জাভাস্ক্রিপ্ট
একটি ওয়েবসাইটকে প্রাণবন্ত করতে জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়, পূর্বে ‘লাইভস্ক্রিপ্ট’ নামে এটি পরিচিত ছিল। জাভাস্ক্রিপ্ট ক্লাইন্ট সাইড ডায়নামিক পেজের জন্যে ব্যবহার হয়। মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট লাইট ওয়েট অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা এবং জাভা প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে এর কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। প্রফেশনাল এবং শিক্ষানবিশ সকলের কথা চিন্তা করে জাভাস্ক্রিপ্ট প্রস্তত করা। জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা ‘সি’ এর সিনটেক্সট এবং স্ট্রাকচার অনুসরণ করে। জাভাস্ক্রিপ্ট সংকলিত ভাষা নয়,এটি ভাষান্তরিত প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভাস্ক্রিপ্ট ট্রান্সলেটর (ব্রাউজারের জন্যে এমবেডেড) এর মাধ্যমে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড ওয়েব ব্রাউজারের জন্যে রুপান্তরিত হয়। জাভাস্ক্রিপ্ট ১৯৯৫ সালে প্রথম জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা রিলিজ পায়, এবং বিশ্বব্যাপী ৯৭ ভাগের ওপর ওয়েবসাইটে ক্লাইন্ট সাইড হিসেবে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্যে বর্ধনে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার হয়। জাভা স্ক্রিপ্ট ওয়েব অ্যাপস অথবা ওয়েবপেজ তৈরিতে এইচটিএমএল এবং সিএসএস’র সাথে ব্যবহার হয়। জাভাস্ক্রিপ্ট গুগল ক্রোমো, ফায়াফক্স, অপেরার মতন ওয়েব ব্রাউজারে সাপোর্ট করে। অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস(এপিআই) জাভাস্ক্রিপ্টে সাপোর্ট করে। জাভাস্ক্রিপ্ট ডায়নামিক ওয়েবসাইট কনটেন্ট তৈরি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্যে ব্যবহার হয়, এর জন্যে ওয়েবসাইট রিলোড করার প্রয়োজন নেই। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যানিমেটেড গ্রাফিক্স, ফটোস্লাইড ,অটোকমপ্লিট টেক্সট সাজেশন এবং ইন্টারেক্টিভ ফর্ম এর বিষয় থাকে।
মাইএসকিউল
ওপেনসোর্সভিত্তিক একটি রিলেশন ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট যা এসকিউল, অর্থাৎ, স্ট্রাকচার কোয়েরি ভাষা। এটি অপারেট, নিয়ন্ত্রণ এবং ডাটাবেজ তথ্য প্রবেশে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৫ সালে মাইএসকিউএল ডেভেলপ করা হয়, বর্তমানে এটি ওরাকল কর্পোরেশন এর অধীনে আছে। মাইএসকিউএল প্রোগ্রামিং ভাষা ‘সি’ এবং ‘সি++’ তে লেখা। এটি উইন্ডোজ, ম্যাক ওএসএক্স, লিন্যাক্স এবং ইউনিএক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমের মতন উল্লেখযোগ্য প্যাটফর্মগুলোর সাথে বেশ সামাঞ্জস্য। ডাটা প্রবেশ করানো, আপডেট এবং সংরক্ষণের জন্যে এসকিউএল ব্যবহার করা হয়। বেশ সুবিন্যস্তভাবে তথ্য বা ডাটা রাখার জন্যে উপযোগী। এসকিউএল বেসিক সিনট্যাক্স এবং ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের জন্যে ব্যবহার হয়। অনেকগুলো স্টোরেজ ইঞ্জিন সাপোর্ট করে এবং ডাটা ব্যাকআপ এসকিউএল স্টেটমেন্ট এর মাধ্যমে গ্রহণ করে। ডাটা নিরাপত্তার জন্যে এসকিউএল সার্ভার মাইএসকিউএল সার্ভারের চেয়ে বেশ নিরাপদ। ক্লাইন্ট সার্ভার মডেল মাইএসকিউএলে ব্যবহার করা হয় এবং যখন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের তথ্যের প্রয়োজন হয়, তখন একটি রিকুয়েস্ট কিংবা অনুরোধ মাইএসকিউএল ডাটাবেজ সার্ভারে এসকিউএল ব্যবহার করে পাঠিয়ে দেয়া হয় যা ক্লাইন্ট সার্ভার মডেল অনুসরণ করে।
ফটোশপ
পিএসডি ফাইল টু এইচটিএমএল ফটোশপ এর একটি টুল আছে, যা পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে আপনাকে ফটোশপের অনেক কিছু যেমনঃ অটো সিলেক্ট, ছবি ট্রিম করা এবং লেয়ার অপশন।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের ধরণ
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার বিভিন্ন ধরণের আছেন, একেক বিষয় নিয়ে তাদের কাজ করতে হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ কোর ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এবং প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট।
কোর ডেভেলপমেন্ট
কোড ডেভেলপমেন্ট করে ওয়ার্ডপ্রেসের আপডেট করে, এবং পুরো প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট
ওয়ার্ডপ্রেস থিম হচ্ছে ফাইল যেটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করতে ডিজাইন এবং কাজ করা। একেকটি থিম একেকরকম হতে পারে, ওয়ার্ডপ্রেস ধরণ, ব্যাকএন্ড প্রোগ্রামিং বা ড্রপডাউন করে সাইটের রুপ ভিন্নরকম করতে পারেন। এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ওয়ার্ডপ্রেস থিম তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেসের জন্যেstyle.css , header.php, sidebar.php, bootstrap.js , footer.php, bootstrap.css এবং index.php ফাইল প্রয়োজন। header.php থিমের হেডার সেকশনের কোড ধারণ করে। রহফবী.ঢ়যঢ় ওয়েবসাইটের মূল পেজ অর্থাৎ, যেখানে অন্য ফাইল এবং পেজগুলো যুক্ত থাকে।sidebar.php যেখানে সাইডবার সম্পর্কিত অনেক তথ্য থাকে। footer.php তে ফুটার সেকশনের ফাইল থাকে।style.css থিমকে সুন্দরভাবে প্রদর্শিত করতে ব্যবহৃত হয়। bootstrap.css এতে অন্য সিএসএস ফাইল প্রয়োজন নেই, খুব রেসপনসিভ। bootstrap.js নিজস্ব নেভিগেশন বার, ট্যাব সরবরাহ করে।
প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট
প্লাগইন একটি পিএইচপি স্ক্রিপ্ট, হাইপার টেক্সট প্রিপ্রসেসর স্ক্রিপ্টিং ভাষা। যা ওয়েবসাইটের অবস্থা পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। এই পরিবর্তন যে কোন কিছু হতে পারে,যেমনঃ ওয়েবসাইটের পেজ স্পিড বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে,সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাথে ইন্টিগ্রেট করা, ওয়েবসাইট ডাটা রিপোর্ট, কাস্টম পোস্ট তৈরি, পেজ বিল্ডার তৈরি করা। এইজন্যে প্লাগইন ব্যবহার করতে হলে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট থেকে ইন্সটল করে তার ব্যবহার উপযোগী হয়। মার্কেটিং এবং বিক্রির জন্যে ই-কমার্সসহ, কনটেন্ট এর জন্যে অনেক প্লাগইন ব্যবহার করা। প্লাগইন তৈরি করতে কোড এডিটর সফটওয়্যার লাগে। প্লাগইনে মেইল ফাইল, বিভিন্ন রকম ফাইলের জন্যে ফোল্ডার, স্ক্রিপ্ট, স্টাইলশিটসহ কোড ভালো করে থাকা। প্লাগইন /wp-content/plugins/ ফোল্ডারে সকল ডাটা বা তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
প্রফেশনাল ওয়েবসাইট
ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্মের জন্যে কোন প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস বা সেবা মানুষের কাছে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে এ ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট
যেকোন প্রকার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস, উকমার্স, ওয়াপকমার্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(সিএমএস) হিসেবে ব্যবহার হয়। এতে করে খুব সহজে পেমেন্ট গেটওয়ে, শিপিং, স্টোর ইনভেনটরি, রেজিস্টার্ড ইউজার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
পোর্টফোলিও
ব্যক্তিগত কাজের পরিধি এবং দক্ষতা মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলতে পোর্টফোলিও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বেশ কার্যকর।
জ্ঞান বিতরণের ওয়েবসাইট
অনেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক বিষয়ে লেখেন তাদের জন্যে ভালো একটি উপায় ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট।
এমপ্লয়মেন্ট ওয়েবসাইট
জব বোর্ড কিংবা এমপ্লয়মেন্ট ওয়েবসাইট বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত চাকুরীর খবরের জন্যে ব্যবহার হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন চাকুরীর খবর এখানে মানুষ পাবেন এবং রেজিস্ট্রেশন করে তার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট
যদি আপনার দক্ষতা থাকে ছবি তুলতে, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। এ ধরণের ওয়েবসাইটে স্লাইড শো, গ্যালারি, ছবি সুন্দর করে সন্নিবেশিত করে উপস্থাপিত করতে পারেন। সরাসরি বিক্রির জন্যে পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
বিজনেস ডিরেক্টরি
অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য কিংবা ব্যবসায়িক ধরণ হিসেবে তালিকা থাকার দরকার বর্তমান ডিজিটালযুগে। এজন্যে বিজনেস ডিরেক্টরি ওয়েবসাইট বেশ প্রয়োজন।
নন প্রফিট ওয়েবসাইট
বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং সংস্থার জন্যে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ভালো। পেপ্যাল এবং আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা।
অনলাইন কমিউনিটি ওয়েবসাইট
ওয়ার্ডপ্রেস সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম কমিউনিটি তৈরি এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্যে। এর মাধ্যমে মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন এবং আরও নিজেদের তথ্যসমৃদ্ধ করতে পারেন।
অকশন ওয়েবসাইট
যদি নিজের কোন তৈরি প্রোডাক্ট কিছু বিক্রি করতে চান তাহলে এ ধরণের ওয়েবসাইট বেশ ভালো একটি উপায়।
কোশ্চেন এবং আস্ক ওয়েবসাইট
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের মাধ্যমে খুব সহজে প্রশ্ন উত্তরের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ছঁড়ৎধ.পড়স এর মতন সাইট তৈরির মাধ্যমে মানুষের কাছে উত্তর দিতে পারেন।
০ টি মন্তব্য