· * আইসিটি বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা
· * ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা
· * আমদানি করা কমপিউটার ও ল্যাপটপের ওপর ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব
· * অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আমদানিতে অতিরিক্ত ১০% সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব
· * ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর বিদ্যমান ৫% ভ্যাট বাড়িয়ে ১০% ভ্যাট প্রস্তাব
· * খুচরা বাজারে মোবাইল ফোন বিক্রির ওপর ৫% ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব
· * স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ব্যয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও টার্নওভার করহার ০.৬০% এর পরিবর্তে ০.১% করার প্রস্তাব
· * ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল ডিজিটাল মুদ্রা চালুর চিন্তা
জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নিম্নে এবারের বাজেটে প্রস্তাবিত
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের চিত্র
তুলে ধরা হলো:
আইসিটি বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জন্য এক হাজার ৯১৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ২৭৪ কোটি টাকা বেশি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে দুই হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে এককভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল দুই হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। যা পরে সংশোধিত বাজেটে পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল এক হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
আমদানি করা
কমপিউটার ও ল্যাপটপের দাম বাড়বে
২০২২–২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি করা কমপিউটার ও ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন মূসক আরোপের কারণে কমপিউটার ও ল্যাপটপ আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার দাঁড়াবে ৩১ শতাংশ। ফলে দেশীয় কমপিউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ উৎসাহিত হবে।
অপটিক্যাল ফাইবার আমদানিতে কর বাড়লো
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আমদানিতে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগের অন্যতম ব্যাকবোন এই ফাইবার আমদানিতে আগেই ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিলো। এবার বাজেটে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এর সঙ্গে যোগ করা হলো।
ইন্টারনেটের দাম বাড়বে
বাজেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর বিদ্যমান ৫% ভ্যাট বাড়িয়ে ১০% প্রস্তাব করা হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে ৫% ভ্যাট আরোপ করা হলে, এই শিল্প থেকে মোট ২০% বেশি ভ্যাট আদায় হবে। যার ফলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে এবং গ্রহাককে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।
মোবাইল ফোনের
দাম বাড়বে
বাজেটে খুচরা বাজারে মোবাইল ফোন বিক্রির ওপর ৫% ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে। এর ফলে মোবাইল ফোনের স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত হবে। এমনিতে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির ফলে মোবাইল ফোন বিক্রি ২০%
কমে গেছে।
স্টার্টআপদের জন্য নানা ছাড় ও
সুবিধা এবারের বাজেট
দেশের স্টার্টআপদের জন্য নানা ছাড় ও সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য কেবলমাত্র আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রকার রিপোর্টিংয়ের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি এবং স্টার্টআপ কোম্পানির লোকসান ৯ বছর পর্যন্ত সমন্বয় এর বিধান প্রস্তাব করছি।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার এর জন্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও টার্নওভার করহার ০.৬০ শতাংশ এর পরিবর্তে ০.১ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল ডিজিটাল মুদ্রা চালুর চিন্তা
ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর কথা ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকায় এর বিকল্প হিসেবে বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (সিডিবিসি) চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান সহজতর করা এবং স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসায়কে উৎসাহ দেওয়া।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের প্রসার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে সিডিবিসি চালু করার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে।
০ টি মন্তব্য