মার্ক জাকারবার্গ মেটা কোয়েস্ট ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেট কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি পড়ালেখা শেখাতে চান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তাঁর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ বছরের শেষ নাগাদ মেটা নতুন সফটওয়্যার উন্মুক্তের জন্য কাজও শুরু করেছে। মেটা শ্রেণিকক্ষে ভিআর হেডসেটের বহুমাত্রিক ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য শিক্ষকদের কোয়েস্ট হেডসেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাসম্পর্কিত বিভিন্ন ভিআর অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
অ্যাপগুলো কাজে লাগিয়ে শ্রেণিকক্ষে বসেই পাঠ্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় ভার্চ্যুয়াল প্রযুক্তিতে বিস্তারিতভাবে দেখার পাশাপাশি ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরে আসা যাবে।
মেটা কোয়েস্ট হেডসেট ব্যবহারের সর্বনিম্ন বয়স ১০ বছর হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘আপনি ভবিষ্যতে কোনো ল্যাবরেটরি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞান ও রসায়ন শেখাতে পারবে।
শ্রেণিকক্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাচীন রোমের রাস্তায় হাঁটতে পারবে। ভিআরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সময় আর স্থানের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ভালোভাবে শেখার সুযোগ পাবেন।’
ভার্চ্যুয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে আবদুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের গবেষক ভিনসেন্ট কোয়ান বলেন, ভিআর এমন একটি ক্ষেত্র, যা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক প্রতিশ্রুতির কথা শোনা যায়। কতটা প্রভাব রাখবে, তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
ভিআর হেডসেট শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যেতে কাজ করছে মেটা
আরও পড়ুন
মতামত দিন আপনার ইমেল প্রকাশিত হবে না।
আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন।
যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।
রিভিউ ( ০ / ৫ )
আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন।
যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।
০ টি মন্তব্য