https://comcitybd.com/brand/Havit

ই-কমার্স

ই-কমার্সে সফলতার টিপস

ই-কমার্সে সফলতার টিপস ই-কমার্সে সফলতার টিপস
 

-কমার্সে সফলতার টিপস


-কমার্স সব সময়ই পরিবর্তনশীল একটি ব্যবসায়। সময়ের সাথে সাথে এর পরিবর্তন হয়। -কমার্সের সাথে ডিজিটাল বিশ্ব ডিভাইসের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আর প্রযুক্তির বিশ্বে দুটির পরিবর্তন হচ্ছে খুব দ্রুত। আজকের ডিজিটাল বিশ্বের সাথে আগামীকালের তফাৎ বিস্তর। অন্যদিকে ডিজিটাল ডিভাইসের পরিবর্তনও হয় দ্রুত। আজ যে মডেলের ডিভাইস বাজারে রাজত্ব করছে তা কাল অতীত হয়ে যাচ্ছে বা অচিরেই হবে। এখন এই দুটির সাথে একজন -কমার্স ব্যবসায়ী যদি নিজেকে তাল মেলাতে না পারেন, তবে সফলতা অধরাই থাকবে চিরকাল। তাই -কমার্সে সফলতা লাভের জন্য অবশ্যই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। কোনো অনলাইন স্টোর যদি পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তবে সম্ভাব্য সব ক্রেতার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। সেক্ষেত্রে ব্যবসায় সফলতাও সুদূরপরাহত হয়েই থাকবে। লেখায় আমরা জানব বেশ কিছু টিপ সম্পর্কে, যা আপনার অনলাইন স্টোরকে রাখবে সব সময় যুগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সাথে অনলাইন স্টোর হবে সফল।


ফাস্ট ইম্প্রেশন ভালো হওয়া জরুরি


বলা হয়ে থাকে, একজন ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইটে অবস্থান করবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ৫০ মিলিসেকেন্ড সময় নেয়। তার অর্থ ওই সময়টুকুতে ফাস্ট ইম্প্রেশন আকর্ষণীয় হওয়া খুব জরুরি। এ সময়ের চেয়ে এক সেকেন্ড বেশি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই এ সময়ের মধ্যেই ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করার সব প্রচেষ্টাই করতে হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে যথাসম্ভব সৃষ্টিশীল হতে হবে। কেননা পুরনো একটি কথা আছে ফাস্ট ইম্প্রেশন লংগেস্ট লাস্ট’। অর্থাৎ প্রথমবারের মুগ্ধতার রেষ শেষ অবধি থাকে। তার মানে লাইফটাইম বা সারা জীবনের জন্য ক্রেতা পাওয়ার জন্য এটি খুব সহায়ক। এজন্য যেমন সবচেয়ে ভালো ডিজাইনের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে, সঠিক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সব মিলিয়ে ব্যবহারকারীর জন্য ভিজ্যুয়ালি ও আরামদায়ক এক অভিজ্ঞতার আয়োজন করতে হবে। আর এমনটাই একটি ওয়েবসাইটে বা অনলাইনে সেল এনে দেবে।


হতে হবে ক্রেতাকেন্দ্রিক


গতানুগতিক ব্যবসায় -কমার্স ব্যবসায় বেশ কিছু পার্থক্য হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে পার্থক্য তা হচ্ছে -কর্মাসে একজন ক্রেতা চাইলেই পণ্য পছন্দ করার জন্য সেটা ছুঁয়ে দেখতে পারেন না, অনুভব করতে পারেন না বা পণ্যটি একটু পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না। আর চাইলেও সমস্যার কোনো সমাধান করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে যা করা যেতে পারে তা হচ্ছে, অন্যান্য সব বিষয়ের মাধ্যমে ঘাটতি পুষিয়ে দিতে হবে। এখন ঘাটতি পোষার জন্য কোথায় কোথায় কাজ করা যেতে পারে, তা ভাবতে হবে। তবে যেসব বিষয়ে কাজ করা যেতে পারে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায়ের কয়েকটি হচ্ছে সঠিক মূল্যে পণ্য অফার, ফ্রি শিপিং অফার, ক্রয় প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করা, সাধারণ শপিং কাজের মাধ্যমে চেক আউট প্রক্রিয়া সহজ করা। বলা যায়, এসব সুবিধা ক্রেতাকে আপনার সাইটের সাথে সংযুক্ত রাখার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে এবং তাকে পণ্য ক্রয়ে প্ররোচিত করবে।


ক্রেতাকে ইকো-ফ্রেন্ডলি শপিং অফার করতে হবে। এটি আপনার ব্র্যান্ড ইমেজকে উন্নত করবে। লোকেরা ভালো কাজের প্রশংসা সব সময়ই করে। তাই যদি এমন হয় যে, আপনি ক্রেতাকে পরিবেশের জন্য কল্যাণকর কোনো কাজ করার খবর জানাচ্ছেন, তবে ক্রেতারা অবশ্যই আপনার সে উদ্যোগের প্রশংসা করবে। একইভাবে তারা নিজেরাও যদি সবার জন্য মঙ্গলকর কোনো কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়, তাতে করে পুরো বিষয়টি তারা ইতিবাচকভাবে নেবে। এতে ক্রেতা সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে আপনার একটি ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি হবে।


মোবাইল ফ্রেন্ডলি


বর্তমান সময়ে মোবাইল বিশেষ করে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াটা বেশ কঠিনই বলা যায়। আর যারাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে বেশ বড় একটি অংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কানেক্টেড থাকে। মোবাইল ইন্স্যুরেন্স ডটকম পরিচালিত এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে গড়ে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ মিনিট করে সময় মোবাইল ডিভাইসে ব্যয় করেন। আপনি নিজেও তাদের মতোই। মানে আপনিও কি ওই জরিপের ব্যবহারকারীর মতো দিনের একটা উল্লেখ্যযোগ্য সময় মোবাইল ফোনে ব্যয় করেন। এখন যদি বিষয়টি এমনই হয়, তবে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, একটি ওয়েবসাইটের মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া কতটা জরুরি। কেননা মোবাইল ব্যবহারকারী অনলাইন সংক্রান্ত কাজগুলোও ফোন ব্যবহার করেই সম্পন্ন করবেন। তাই যদি আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইলবান্ধব না হয় তো ওইসব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের পক্ষে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এতে নিশ্চিত করেই ক্রেতাদের একটি বড় অংশ হারাতে হবে। গোল্ডম্যান স্যাচের এক নথিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের ব্যয়ে মোবাইল ফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে। ২০১৪ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিক্রির পরিমাণ ছিল ২০৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ৬২৬ বিলিয়ন ডলারে। সংখ্যাগুলো বলছে ইকমার্সে মোবাইলের ভূমিকা কতখানি। তাই বলা যায়, আপনি আপনার ব্যবসায়কে মোবাইলবান্ধব না করেন, তবে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আপনাকে ব্যবসায় গুটাতে বাধ্য হতে হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ


সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি গুরুত্ব না দেয়া বা সোশ্যাল অনুপস্থিত থাকা অনলাইন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্তগুলোর একটি। বলা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে আপনার ক্রেতাদের জীবনযাত্রার ওপর নজর দেয়া সম্ভব। কেননা, একজন ক্রেতার জীবনযাত্রার পর নির্ভর করে তিনি কী ধরনের পণ্য বা সেবা ব্যবহার করবেন। তাই স্যোশাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। (চলবে)








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।