এখন অনেক ধরনের কাজ করা হচ্ছে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ভিডিও তৈরি থেকে শুরু করে কমপিউটারের কোড লেখা বা বিমানের গতিবিধি জানাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রোগ্রাম।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নানা চমকের খোঁজ আমরা জানছি। বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকেরা প্রযুক্তির এই জাদুর কাঠি দিয়ে অনেক চমক তৈরি করছেন।
গুগল এমনই এক ব্যবস্থা তৈরি করছে, যা মানবকোষের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করছে আলফাফোল্ড-৩ মডেল মানবদেহকে বুঝতে ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জাদুর কাঠির মতো কাজ করবে।
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ল্যাব ডিপমাইন্ড ও আইসোমরফিক ল্যাবস আলফাফোল্ডের সিস্টেমের একটি শক্তিশালী সংস্করণ উন্মোচন করেছে।
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিজ্ঞানীদের কোষের আণুবীক্ষণিক কার্যপদ্ধতির আচরণ বুঝতে সাহায্য করে। ২০২০ সালে আলফাফোল্ডের একটি প্রাথমিক সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
প্রথম সংস্করণ মানবশরীরের প্রোটিন ফোল্ডিং নামের একটি সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। প্রোটিন এমন অণু, যা সব জীবন্ত কোষের কাজ ও আচরণ নির্ধারণ করে।
এই অণু ত্রিমাত্রিক আকারের হয়। জীববিজ্ঞানীরা প্রোটিনের আকৃতি নির্ণয় করতে কয়েক দশক অতিবাহিত করেন। আলফাফোল্ড সেই সমস্যা সমাধান করেছে।
অ্যামিনো অ্যাসিডের টুকরা থেকে আলফাফোল্ড কয়েক মিনিটের মধ্যে ত্রিমাত্রিক আকৃতির পূর্বাভাস দিতে পারে। ডিপমাইন্ডের বিজ্ঞানীরা এক বছর ধরে আলফাফোল্ডকে প্রশিক্ষিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সিসকোর বিজ্ঞানীরা ২০২০ সালে প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনভাইরাসের প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করেন।
ম্যালেরিয়া ও পারকিনসন রোগের প্রতিকার খুঁজে বের করার জন্য আলফাফোল্ড লড়াই করার সময় এটি ব্যবহার করেছিল। এবারে নতুন ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে এআইয়ের উন্নত সংস্করণ ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গুগল ডিপমাইন্ডের গবেষক জন জাম্পার বলেন, ‘কোষের আন্তযোগাযোগের বিষয় সম্পর্কে এআই আমাদের অনেক তথ্য দিচ্ছে।
এআই আমাদের কোষ নিজেরা কীভাবে কাজ করে, সেই ধারণা দিতে পারে। আলফাফোল্ডের নতুন সংস্করণ প্রোটিনের আকৃতি কেমন হবে, তা জানাতে পারে।
প্রোটিনের আকার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার পাশাপাশি ডিএনএসহ অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়ার আচরণ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবে।’
গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও আইসোমরফিক ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ডেমিস হাসাবিস বলেন, মানবশরীর একটি গতিশীল মাধ্যম।
এখানে বিভিন্ন অণু ও জৈবিক কাঠামোর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া আছে। ওয়েবসাইট থেকে আলফাফোল্ড-৩ ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন এই এআই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কয়েক মাসের কাজের সময় বাঁচানো যাবে। গবেষকদের অসম্ভব কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে।








০ টি মন্তব্য