কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া টাকা সংক্রান্ত সমস্যা বহু পুরনো। এ ছাড়া ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পরে পড়তে হয় তাদের।
এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
২০২২ সাল থেকে প্রতিবছর পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থা চালু করে ডিএনসিসি। এ বছর তাদের ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এসব ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেনের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
২০২২ সাল থেকে প্রতিবছর পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থা চালু করে ডিএনসিসি। এ বছর তাদের ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকালে ডিএনসিসি নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিগত বছরগুলোর মতো ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, স্মার্ট হচ্ছে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থার উদ্বোধন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন-ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ডিজিটাল লেনদেনপদ্ধতি সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাটে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করে অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতার হিসাব থেকে বিক্রেতার হিসাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এতে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ, পস মেশিন ব্যবহার করে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর দাম পরিশোধ করতে পারবেন।
পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এই পদ্ধতিতে। একই সুবিধা ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে নগদ টাকা ছাড়াই ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে কোরবানির পশু কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।মেয়র বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন-ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ডিজিটাল লেনদেনপদ্ধতি সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাটে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করে অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতার হিসাব থেকে বিক্রেতার হিসাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এতে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ, পস মেশিন ব্যবহার করে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর দাম পরিশোধ করতে পারবেন।
পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এই পদ্ধতিতে। একই সুবিধা ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।’
হাটগুলো হলো উত্তরা ডিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গায় কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাট; ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তৎসংলগ্ন পর্যন্ত খালি জায়গায় কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গায়, ভাটারা সুতিভোলা খাল-সংলগ্ন খালি জায়গায় (ভাটারা সুতিভোলা), মিরপুর গাবতলী গবাদিপশুর হাট (স্থায়ী), মোহাম্মদপুর বসিলার ৪০ ফুট রাস্তা-সংলগ্ন খালি জায়গা।
ডিএনসিসির কোরবানির পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, সিটি ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, এবি ব্যাংক পিএলসি, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, ভিসা, বিকাশ, নগদ, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ)।
২০২২ সালে স্মার্ট ডিএনসিসির কোরবানির হাটে পাইলট কার্যক্রমে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুতাসিম বিল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ডেইলি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।
০ টি মন্তব্য