ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রথমেই প্রয়োজন ডিজিটাল শিক্ষা
টেকএন্টস (Techants) টেকনোলজি লি. একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ওয়েবসাইট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ই-কমার্স, ডাটাবেজ সফটওয়্যার তৈরিতে এর ৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ৭০টিরও বেশি সফটওয়্যার/ওয়েবসাইট আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ আরো অন্যান্য দেশে সরবরাহ করেছে। সম্প্রতি টেকএন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো: হাফিজুর রহমানের একটি সাক্ষাৎকার এম ইউ মাহ্মুদ। তার সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ এখানে উপস্থাপিত হলো।
আপনাদের Flag Ship বা মূল প্রোডাক্ট কোনটি?
আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথমেই প্রয়োজন ডিজিটাল শিক্ষা। সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের টেকনিক্যাল টিম স্কুল ও কলেজ অটোমেশন সিস্টেম ডেভেলপ করেছে, যা ‘মাইক্যাম্পাস’ নামে বাজারজাত করা হচ্ছে। যেকোনো স্কুল ও কলেজের যাবতীয় ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য, ফি, ছাত্র ও শিক্ষকদের তথ্য, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সার্বিক অটোমেশন করার জন্য যে সাপোর্ট দরকার, তার সবকিছু এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ম্যানেজ করা সম্ভব। বিস্তারিত জানতে myCampus.com.bd ভিজিট করুন।
এ সফটওয়্যারে আপনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা এবং তাদের সাথে আপনাদের পার্থক্য কী?
কিছু কিছু স্কুল-কলেজ ইতোমধ্যে অটোমেশন সিস্টেম তৈরি করেছে। তবে আমাদের সিস্টেমে রয়েছে অনেক বেশি সুবিধা। আমাদের পুরো সিস্টেমটি ডেস্কটপভিত্তিক নয় বরং ওয়েবভিত্তিক সলিউশন। যেহেতু এটি ওয়েবভিত্তিক, তাই অভিভাবকেরা কিংবা বলতে পারেন ‘বাবা-মা’ সন্তানের রেজাল্ট, উপস্থিতি ইত্যাদি অনেক তথ্য বাসা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারবেন, যা ডেস্কটপভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। এতে রয়েছে এসএমএস গেটওয়ে, যার মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ থেকে শুরু করে আরো অনেক নোটিস এসএমএসের মাধ্যমে ছাত্র, শিক্ষক কিংবা অভিভাবককে জানানো যেতে পারে, যা আমাদের অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর পণ্যে পাবেন না।
এ সফটওয়্যার তৈরিতে কোন টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন?
আমরা PHP/MySQL ব্যবহার করেছি। এ টেকনোলজির সুবিধা হলো এটি ওপেনসোর্স এবং বাড়তি কোনো খরচ নেই। বাংলাদেশের একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ওরাকল ও ভিজ্যুয়াল বেসিক ব্যবহার করছে। এতে সমস্যা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ওরাকলের মূল লাইসেন্স কিনতে হবে, যা আমার জানামতে ১২-১৩ লাখ টাকার মতো। আর যদি না কেনেন তাহলে পাইরেটেড কপি ব্যবহার করতে হবে, যা আইনত দন্ডনীয়। সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইরেটেড কপি সরবরাহ করা হলে ব্ল্যাক লিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোনো স্কুল সফটওয়্যার কিনলে এই বিষয়গুলো যাচাই করে নেয়া উচিত।
আপনাদের মাইক্যাম্পাস বা স্কুল সফটওয়্যারের দাম কত?
স্কুল ও কলেজের সুযোগসুবিধা এবং তাদের কেনার সক্ষমতা বিবেচনা করে আমরা তিনটি অফার দিচ্ছি। যেমন- কোনো স্কুলের ৩০০ ছাত্রছাত্রী এবং কোনো স্কুলের ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী। এই দুই স্কুলকে যদি আমরা একই দামে সফটওয়্যার সরবরাহ করি, তাহলে কোনোমতেই তা যৌক্তিক হতে পারে না। তাই আমরা এভাবে দাম নির্ধারণ করছি :
০-৯৯ জন ছাত্রছাত্রী হলে আটাশ হাজার টাকা। ১০০-৪৯৯ জন ছাত্রছাত্রী হলে আটচল্লিশ হাজার টাকা। ৫০০-১৪৯৯ জন ছাত্রছাত্রী হলে আটাত্তর হাজার টাকা।
এ ছাড়া আরো একটি সুবিধা হলো ৬০ দিন ফ্রি ব্যবহার করা। সুতরাং যেকোনো স্কুল-কলেজ ৬০ দিন ফ্রি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে পারবে। তারপর ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন মনে করলে সেটা কিনতেও পারে, আবার নাও কিনতে পারে।
আপনারা বিক্রিপরবর্তী কোনো সাপোর্ট দিয়ে থাকেন কি না?
হ্যাঁ। আমরা মেইনটেনেন্স সাপোর্ট দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রেও আমরা তিনটি প্ল্যান অফার করি। আমরা সফটওয়্যারটির যেকোনো ধরনের ট্রাবলশূটিং, ব্যাকআপ, রিস্টোর, ট্রেনিং, ফোন সাপোর্ট দিয়ে থাকি। একটি উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে। সাধারণত স্কুল-কলেজের কমপিউটার অপারেটরেরা কমপিউটার ব্যবহারে দক্ষ নন। যেকোনো অপারেটর ভুল করে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যবান তথ্য মুছে দিতে পারেন। ৩-৪ মাস ধরে সংরক্ষণ করা তথ্য মুছে গেলে, সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমাদের থেকে মেইনটেনেন্স সাপোর্ট সার্ভিস নিয়ে থাকলে আমরা তাদের মুছে যাওয়া তথ্য নিমেষেই উদ্ধার করে দিতে পারি। কেননা, ইউএসএভিত্তিক উন্নত সার্ভারের মাধ্যমে আমরা ব্যাকআপ থেকে শুরু করে রিস্টোর, ট্রেনিং, ফোন সাপোর্টসহ আরো যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপনাদের সফটওয়্যার দেয়া হয়েছে কি?
দনিয়া কলেজে ইমপ্লিমেন্টেশনের কাজ চলছে। আশা করছি, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দনিয়া কলেজ আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া বিসিআইসি কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজসহ আরো ৫টি কলেজে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, মার্চ মাসের মধ্যে এগুলোর কাজ শুরু করতে পারব।
অন্য কোনো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে আপনারা কাজ করেছেন?
বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটের এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে, যেমন-
www.peaceinislam.com
www.bciccollege.edu.bd
www.damiacollegebd.com
www.cma.edu.bd
www.cresinda.com.bd
www.peacelnlslam.com
www.rainbowenergy.com.au
www.hillsideresort.com.bd
www.tradea2b.com
www.amarblog.com
www.kuetfoundation-ap.org.au
www.tex-drive.com
www.gems.org.com
www.ghceconomics.org
www.timepowerbd.com
www.bdexcel.com
বাংলাদেশের বাইরে আপনাদের কোনো প্রজেক্ট আছে?
হ্যাঁ, সিডনিতে আমাদের একটি অফিস আছে। মূতত ওখান থেকে আউটসোর্সিংয়ের কাজ আনা হয়। Environmental নামে একটি প্রজেক্টের কাজ চলছেস যা ছা্ত্রদের এ বিষয়ে সচেতন করে তোলে। কিছুদিন আগে আমাদের Sydney Museum-একটি সেমিনার হয়েছে।
০ টি মন্তব্য