ক্যারিয়ার হিসেবে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
মোবাইল ফোন সবচেয়ে সহজ বহনযোগ্য গেজেট, যা বিশ্বের সর্বত্রই পাওয়া যায়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন টেকনোলজি প্রয়োগ করা হচ্ছে নতুন সেলফোন ডিভাইস তৈরির উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির খুব দ্রুত বেড়ে যাওয়ার প্রবণতায় এখন অনেকেই বিশেষ করে মেধাবী তরুণ প্রজন্ম এক্ষেত্রটি নিজেদের জীবনের ভাগ্যোন্নয়নের চাবিকাঠি তথা ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে কিংবা ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য এ সময়কে মোক্ষম সময় হিসেবে মনে করছেন। কেননা, একসময় যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের যাত্রা শুরু হয় Snake নামের এক নির্বিষ মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্টের মধ্য দিয়ে, তা এখন ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ক্ষেত্র। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের যে বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে, তা অনেকের ধারণার বাইরে।
সম্প্রতি এবিআই রিসার্চ (ABI Research) এক রিপোর্টে উল্লেখ করে, গত বছর মোবাইল কনজ্যুমারেরা ২৪০ কোটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে এবং ২০১৩ সালের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড আরো অনেক বেড়ে হবে ৭০০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৩ সালের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইন্ডাস্ট্রির আকার হবে প্রায় ১৭২০ কোটি ইউএস ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইটি পেশাজীবী মনে করেন, আগামীতে আইটি বাজার হবে মোবাইল ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটকেন্দ্রিক, যাকে অভিহিত করা হয়েছে Next Big Thing হিসেবে। সম্ভবত এই দুই ইন্ডাস্ট্রির ক্রমবর্ধমান প্রভাবে আইটি পেশাজীবীরা তাদের বর্তমান পেশা পরিবর্তন করে এই দুই ক্ষেত্রের মধ্যে আবর্তিত হবেন। কেননা, মোবাইল সেক্টরে কোনো একক অপারেটিং সিস্টেমের কর্তৃত্ব বিরাজ করছে না। ফলে মোবাইল সেক্টরের বাজার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে আছে, যার কারণে ডেভেলপাররা এ সেক্টরকে নিজেদের পেশা বা ক্যারিয়ার গড়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছেন। বর্তমানে টিকে থাকা জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো আইওএস (অ্যাপল), অ্যান্ড্রয়িড (গুগল), ব্ল্যাকবেরি ওএস৬ (RIM), সিমরিয়ান নোকিয়া, পাম ওএস (এইচপি) এবং উইন্ডোজ ৭ মোবাইল (মাইক্রোসফট)।
সম্প্রতি আইবিএম পরিচালিত এক জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ও আইটি ডেলিভারির ক্ষেত্রে মোবাইল এবং ক্লাউড কমপিউটিং আবির্ভূত হবে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন প্লাটফরম হিসেবে। The 2010 IBM Tech Trends Survery’ জরিপ অনলাইনে পরিচালনা করে IBM developerworks। বিশ্বের ৮৭টি দেশে ২০০০ আইটি ডেভেলপার ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রবণতার আলোকে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এ জরিপে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের মধ্যে মোবাইল ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য যেমন আইফোন, অ্যান্ড্রয়িড টেবলেট পিসি, আইপ্যাড, প্লেবুক ইত্যাদির জন্য শতকরা ৫৫ শতাংশের বেশি আইটি প্রফেশনাল নিয়োজিত থাকবে এবং বাকিরা গতানুগতিক কমপিউটিং প্লাটফরমের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের কাজ করবে। ইন্ডাস্ট্রি বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী তিন বছরে তা ব্যাপক বি স্তার লাভ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রেভিনিউ ২৬০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০১০ সালের মধ্যে হবে ৩ হাজার কোটি ডলার।
কেননা উপরে উল্লিখিত প্রতিটি সিস্টেমের জন্য দরকার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম। এসব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম একটির সাথে অপরটি ইন্টারচেঞ্জেবল নয় অর্থাৎ পরস্পর বিনিময়যোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, এক ফোন থেকে অপর ফোনের মধ্যে পরস্পর বিনিময়যোগ্য যে হতে হবে, তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রতিটি ফোনসেটের জন্য থাকে বিভিন্ন ধরনের ফাংশনালিটি এবং কারিগরি বৈশিষ্ট্য বা ফিচার। এগুলোর জন্য দরকার ন্যূনতম কিছু টেস্ট করে দেখা, সেগুলো নতুন সেটে চলে কি না। যদি না চলে তাহলে বাড়তি ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজন হয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, এসব ডেভেলপার কারা? এর উত্তরে বলা যায়, এসব ডেভেলপার হলো বিদ্যমান ডেভেলপার, যারা ইতোমধ্যে আইটির অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিতে ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছেন তারা। এরা এখন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে বিশাল ক্ষেত্রের চাহিদা দেখে।
অ্যাপল চালু করেছে AppStore। অ্যাপল সবার জন্য গেম ডেভেলপ করতে থাকে যা ইন্ডাস্ট্রির অন্যদেরকেও প্রভাবিত করে। এ ধারা অনুসরণ করে অ্যান্ড্রয়িড মার্কেট এবং নোকিয়ার অভি স্টোর। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্লাটফরম রয়েছে- মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, নেটবুক যেমন- অ্যাডোবি এআইআর (AIR), জাভা C (ME), মিগো (Meego), সিমবিয়ান, অ্যান্ড্রয়িড, IOS (অ্যাপল), স্যামসাং (বাডা) RIM ব্লাকবেরি, উইন্ডোজ মোবাইল, ব্রিই (Brew) এবং আরো অনেক।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইন্ডাস্ট্রি খুব দ্রুত সম্প্রসারণশীল টেকনোলজি। খুব শিগগির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে যেমন- মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সে রান করবে। এসব অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যাবে, ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারবে। এর ফলে এগুলো আপনার জীবনধারাকেও বদলে দিতে পারবে।
ডেভেলপমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ
সম্পূর্ণ ডেভেলপার ইকোসিস্টেমকে চাহিদা ও সরবরাহ- এই দুই ক্ষেত্রের আলোকে ভাগ করা হয়েছে। ডিমান্ড বা চাহিদার দিকে গেমিং, পাবলিশিং এবং কনটেন্ট কোম্পানি চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের নিজেদের মোবাইলের জন্য কিছু ডেভেলপ করতে। এ ধরনের কনটেন্ট ক্লাউডেও থাকতে পারে। কেননা, আপনার মোবাইলে রয়েছে ওয়েব ইন্টারফেস। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে সেসব জনগণ, যারা তাদের নিজেদের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে যাচ্ছে এবং যেসব অ্যাপ্লিকেশন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ছাড়ছে। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে OPDs বা অফশোর প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, যা মধ্যস্থতা করার সুযোগকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছে। সাপ্লাই সাইডে আবার মোবাইল ডেভেলপারদের জন্য রয়েছে তিনটি প্রোফাইল। যেমন MSI ডেভেলপার, যারা গঠন করে দীর্ঘ এন্টারপ্রাইজ অর্গানাইজেশন, যারা গুরুত্ব দেয় কম্প্যাটিবিলিটি, স্কেলেবিলিটি, সিকিউরিটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে। দ্বিতীয় প্রোফাইলে রয়েছে গেম ডেভেলপার, যারা কাজ করে এক প্লাটফরম থেকে অন্য প্লাটফরমে। আর তৃতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপার, যারা কাজ করেন স্পেসে। এরা ডেভেলপ করেন মোবাইল ওয়েবপেজ বা আরআইএ (Rich Internet Applications)।
এডুকেশন, সার্টিফিকেশন এবং চাকরি
যাদের টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, তারা এ সেক্টরে সবচেয়ে উপযোগী। হতে পারেন তারা BE বা BTech, BCA, MCA বা কমপিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট। C++ বা C# বা টেকনোলজি যেমন J2EE-এর কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান বা দক্ষ হতে হবে। তবে এসব কারিক্যুলামে ভালো ফল করা মানেই এই নয় যে, ছাত্ররা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী হয়ে উঠেছেন। কেননা, ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী তথা মার্কেট উপযোগী প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবধান। সুতরাং তৈরি করতে হবে মড্যুলার ট্রেনিং প্রোগ্রাম, যা বেশিরভাগ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ সমৃদ্ধ করবে। মোবাইল টেকনোলজি এবং কোম্পানি উভয়ই চেষ্টা করছে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী এবং নিয়োগযোগ্যদের মাঝে ব্যবধান কমিয়ে তাদের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তুলতে।
উইন্ডোজ ফোন ৭ চালু হয়। যেখানে সম্পৃক্ত করা হয় ডেভেলপারদের জন্য সিস্টেম সাপোর্ট। এটি হতে পারে ডিভাইসে অ্যাক্সেস করে তাদের অ্যাপ্লিকেশন টেস্ট করার জন্য, সর্বশেষ SDK-এ অ্যাক্সেসের জন্য এমনকি মার্কেটপ্লেসে তাদের অ্যাপ্লিকেশনকে নিয়ে যাবার জন্যও হতে পারে। ড্রিমসপার্ক (www.dreamspark) এমন এক উদ্যোগ যা দেয় ফ্রি টুল। যেমন ছাত্রদের জন্য ভিজ্যুয়াল স্টুডিও। ভারতে প্রায় ৩০ লাখ ছাত্র রয়েছে, যারা এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ তথ্য দিয়েছেন মূর্তি উপালুরি, জেনারেল ম্যানেজার, ডেভেলপার পার্টনার মাইক্রোসফট, ইন্ডিয়া।
জ্ঞানভিত্তিক
যদি ছাত্ররা সক্ষমতা অর্জন করতে চায়, তাহলে তাদেরকে বিভিন্ন প্লাটফরম উপযোগী প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি প্লাটফরম হলো ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মতো। যদি আপনি শুধু এক ধরনের প্লাটফরমে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অন্যান্য চ্যানেলের সুযোগ-সুবিধা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন বা সরে যাবেন। ধরুন, আপনি J2ME ডেভেলপমেন্ট কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবাধ করেন, এখন আপনি চাইছেন সিমবিয়ান প্লাটফরমে কাজ করতে। এমন অবস্থায় সহায়ক কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ওরাকলের ডেভেলপার অনুপ সি সানের মতে, এ ধরনের কাজ ‘Qt’ দিয়ে করা ভালো, তিনি শখের বশে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করেন, যা নোকিয়ার সর্বশেষ ক্রশ প্লাটফরম অ্যাপ্লিকেশন এবং UI ফ্রেমওয়ার্ক। এটি লিনআক্সের KDE পরিবেশে ব্যবহার হয় এবং স্বতন্ত্র প্লাটফরমবিশিষ্ট। Qt দিয়ে কোড লিখতে পারবেন এবং ধারণা করা হয় এটি সিমবিয়ান, মিমো এবং মিগো ডিভাইসেও কাজ করতে পারবে। উপরন্তু অনলাইনে এ সংক্রান্ত প্রচুর ডকুমেন্ট পারেন। সিমবিয়ান C/C++ অবজেকটিভ সি- এর মতো কাজ করে। এটি গেমের জন্য দিতে পারে যথোপযুক্ত পারফরমেন্স। এটি নোকিয়া প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোডিংয়ের জটিলতার কারণে। তবে Pys60 প্রোজেক্ট পাইথুনকে সিমবিয়ান পোর্ট করে। এজন্য জানতে হবে পাইথুন সম্পর্কে। যদি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে তাহলে খুব সহজেই তা রপ্ত করতে পারবেন। নোকিয়া ওয়েব রান টাইম (WRT) হলো ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য, যা লেখা হয় HTML/JS/CSS-এ। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখেন, কিভাবে WRT ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে খুব সহজেই কোড লিখতে পারবেন, তবে অন্যান্য অপশনের প্লাটফরমের মতো তেমন নমনীয়/অ্যাক্সেস সুবিধা পাওয়া যাবে না এক্ষেত্রে। উইন্ডোজ ফোন ৭ প্লাটফরমের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার পরিলক্ষিত হয়। সম্পূর্ণ নতুন আর্কিটেকচার আমাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে, তবে C#, সিলভারলাইট বা ডট নেট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে পারলে উইন্ডোজ প্লাটফরমের জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ডেভেলপ করতে পারবেন। এ ধরনের মন্তব্য করেন মূর্তি উপালুরি। ভিন্নতা কাম্য হতে পারে তবে সব ক্ষেত্রের জন্য অনুকূল নাও হতে পারে- তা আমাদের সবার মনে থাকা উচিত। এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপার ধরনের MIS সাধারণত কাজ করে প্লাটফরম ধরনের টিমে।
পে-স্কেল এবং ক্যারিয়ার
অন্যান্য আইটি প্রফেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের যেমন- জাভা বা ডট নেট প্লাটফরমের পেশাদারদের চেয়ে বেশি স্কেলে বেতন দিয়ে থাকে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিগুলো। কেননা, বর্তমানে এ সেক্টরে চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে আইফোন (iPhone) এবং অ্যান্ড্রয়িড ডেভেলপারদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভারতে যেকোনো নবিস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার আশা করেন ন্যূনতম ২৫০০ হাজার রুপি।
ভারতের বেশিরভাগ আইটি কোম্পানিরই রয়েছে মোবাইল সফটওয়্যার ডিপার্টমেন্ট। স্মার্টফোন মার্কেট ব্যাপকভাবে বি স্তার লাভ করায় আইটি পেশাদারদের জন্য তা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়িডে এক বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেভেলপারেরা ভারতের যেকোনো জায়গায় যখন তখন ২৫০০-৩৫০০ হাজার রুপি মাসিক বেতনে চাকরি পেতে পারেন। কেননা, এক্ষেত্রে এখন চাহিদা প্রচুর।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চাইলে যেসব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে তা নিম্নরূপ :
* আইফোন/অ্যান্ড্রয়িড/ব্ল্যাকবেরি মোবাইল ডেভেলপমেন্টে অভিজ্ঞতা।
* বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের প্রোজেক্ট হিসেবে থাকা উচিত আইফোন/অ্যান্ড্রয়িড/ব্ল্যাকবেরি।
* ম্যাক ডেভেলপমেন্টে অভিজ্ঞতা।
০ টি মন্তব্য