https://gocon.live/

দশদিগন্ত

কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে

কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে
 

কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে


আবারও দিনবদলের পালা, আসছে ল্যাপটপ ও পামটপ থেকে ছোট কমপিউটার, যার জায়গা হবে আপনাদের পকেটে৷ এ কমপিউটারটি দেখতে একটি পেনের মতো৷ জাপানের বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন Miniature Computer৷ চিত্র-১-এ এরকম একটি কমপিউটারের ছবি দেয়া হয়েছে৷ এই পেনগুলোর একটি হবে কমপিউটারের মনিটর, একটি কী বোর্ড আর অন্যটি সিপিইউ৷ এগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হবে ব্লুটুথ টেকনোলজিতে৷ এই পেনগুলো কিভাবে থাকবে তা দেখানো হয়েছে চিত্র-২-এ৷ এগুলোর পাওয়ার সাপ্লাই হবে সূর্যের আলো হতে, যা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে পাওয়ার জমা করে রাখে যাতে রাতেও কাজ করা যায়৷ এই কমপিউটারকে হলোগ্রাফিক কমপিউটার বলা যেতে পারে কেননা পরের চিত্রগুলো আপনাকে সেই ধারণাই দেবে৷ চিত্র-৩-এ দেখা যাচ্ছে এই পকেট কমপিউটার হতে কিভাবে কী বোর্ড তৈরি হবে৷ এই পেনগুলোর একটি তৈরি করবে ভার্চু্যয়াল কী বোর্ড যা কোনো সমতল জায়গায় আলো দিয়ে তৈরি হবে৷ আবার এই আলোর তৈরি কী বোর্ড কমপিউটার কী বোর্ডের মতোই ব্যবহার করা যাবে৷ এই কী বোর্ডের জন্য শুধু প্রয়োজন হবে সমতল জায়গা, যেমন আপনার কাজের টেবিলটি৷ এবার চিত্র-৪-এর দিকে তাকান, অন্য একটি কলম হয়ে যাবে আপনার মনিটর, যার স্ক্রিন একটি সমতল জায়গায় তৈরি হবে৷ এই স্ক্রিনেই চলবে আপনার যাবতীয় কাজের ছবি৷ এমনকি সিনেমাও দেখা যাবে এই স্ক্রিনে৷ চিত্র-৪-এ একটি সম্পূর্ণ কমপিউটারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ জাপানের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে তাদের প্রথম পদক্ষেপ পার করে গেছেন৷ এখন শুধু দিন গণনার পালা কখন এটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে এসে পৌঁছাবে৷


এই একই প্রযুক্তি ব্যবহার হবে আপনার মোবাইলে কিংবা জিপিএসে৷ চিত্র-৫-এ দেখা যাচ্ছে একজন ব্যবহারকারীকে ভার্চ্যুয়াল কী বোর্ডের মাধ্যমে তার জিপিএস চালাতে৷ তেমনি চিত্র-৬-এ দেখানো হয়েছে ভবিষ্যতে আপনি কিভাবে এসএমএস লিখবেন আপনার মোবাইলে৷ সুতরাং দিনবদলের পালা, ল্যাপটপের দিনও ফুরিয়ে আসছে৷ আর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময় এই পকেট কমপিউটার পেতে৷


আসলে কি এই প্রযুক্তি, সে সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়৷ এই কমপিউটারের প্রতিটি অংশ একে অপরের সাথে যুক্ত হবে ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে৷ এর একটি পেন তৈরি করবে হলোগ্রাফিক স্ক্রিন আর অন্যটি হবে হলোগ্রাফিক কী বোর্ড৷ এই হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে দেখা যাবে বর্তমান মনিটরের মতো ছবি আর কী বোর্ডটিও কাজ করবে বর্তমানের কী বোর্ডের মতো৷ তাই সব হার্ডওয়্যার চলে আসবে সফটওয়্যারের ভেতরে৷


তাই বলা যায় আর সেই দিনটি দূরে নয়, কথা হবে ভার্চু্যয়াল মানবের সাথে৷ সংবাদ উপস্থাপন হতে গান গাওয়া সব করবে সেই ভার্চু্যয়াল মানব কিংবা মানবী৷ প্রশ্ন করলে উত্তর চলে আসবে-এরকম একজন ভার্চু্যয়াল মানবের ছবি দেয়া হয়েছে চিত্র-৭-এ৷


প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে মানুষের সব কল্পনার জিনিস৷ যখন আপনার পকেটে একটি কমপিউটার চলে আসবে তখন থাকবে না ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কমপিউটারের মতো ঝামেলা৷ সেই সাথে অফিসের কাজের ডেস্কও পরিবর্তন হয়ে যাবে৷ ডেস্কের একপাশে থাকবে সাদা একটি বোর্ড যেটি হয়ে যাবে আপনার মনিটর আর টেবিলের একটি অংশ হয়ে যাবে কী বোর্ড, সেই সাথে পরিবর্তন হবে মাউসের চেহারা৷ আপাতত মাউসের চেহারা সম্পর্কে কোনো ধারণাই প্রকাশ করেননি বিজ্ঞানীরা৷ কমে যাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝামেলা৷ যেমনি দিনের আলোতে চলবে কাজ, তেমনি ঝড়-বৃষ্টি কিংবা রাতের বেলায়ও করা যাবে কাজ রিচার্জার ব্যাটারিকে কাজে লাগিয়ে৷


ইন্টারনেট যুক্ত হবে এই পকেট কমপিউটার WiMax (ওয়াইম্যাক্স) প্রযুক্তিতে৷ সুতরাং বাসে, ট্রেনে অথবা উড়োজাহাজে সংযুক্ত থাকবে আপনার ইন্টারনেট৷ পরিবর্তন আসবে চিকিত্সা ক্ষেত্রে, ভেসে উঠবে হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে মানুষের ভেতরের অপারেশনের জায়গাগুলো, তাই খুব সহজেই হয়ে যাবে জটিল সব অপারেশন৷ কথা বলার সঙ্গী হয়ে উঠবে এই কমপিউটার৷ চিত্র-৮-এ দেখানো হয়েছে একজন ভার্চ্যুয়াল মানবী কিছু লোকের সাথে কথা বলছে৷ এই হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করবে অনেক সুন্দর, অনেক আকর্ষণীয়৷ সমস্ত চিত্রগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত হয়েছে৷ মিনিয়েচার কমপিউটার প্রযুক্তিটি জাপানের বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণাধীন আছে৷ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ২০০৯ সালের প্রথম দিকে প্রযুক্তিটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন৷ তাই এখন শুধু অপেক্ষার পালা৷








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।