https://www.brandellaltd.com/

ই-কমার্স

ড্রপশিপিং বিজনেস

ড্রপশিপিং বিজনেস ড্রপশিপিং বিজনেস
 

ড্রপ-শিপিং হলো একটি e-Commerce Business Model, এই পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যম হিসাবে ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে সবাই জানি, ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপ-শিপিং পদ্ধতিতে তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে বিক্রেতাকে পণ্য মজুদ করে রাখার প্রয়োজন হয় না, কারণ পন্য মজুদ রাখার কাজটি পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারী করে থাকে। আর পাইকারি বিক্রেতা অথবা সরবরাহকারীই ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে। ই-কমার্স সাইট গুলো (বিক্রেতা) এর দায়িত্ব হলো কাস্টমারের (ক্রেতা) কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা এবং  (পাইকারি বিক্রেতা) অথবা Supplier  (সরবরাহকারী) এর কাছে কাস্টমারের যাবতীয় তথ্য যেমন- নাম, ঠিকানা ফোন নাম্বার ইত্যাদি পৌঁছে দেয়া। Amazon, eBay, Shopify, এবং আরো অনেক ইকমার্স সাইট এই মডেল উপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।


ড্রপশিপিং বিজনেস কিভাবে কাজ করে? 


সোজা কথায় আপনার নিজের স্টোরে কোন প্রোডাক্টের ইনফো রাখলেন এরপর কাস্টমার আপনার স্টোরে ঢুকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে অর্ডার করল এবার আপনি একজন সাপ্লায়ারের নিকট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার কাস্টমারের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই প্রসেসটাই ড্রপশিপিং।


ড্রপশিপিং পদ্ধতিটি কয়েকটি ধাপে কাজ করে,  ধাপগুলো হলো


  • কাস্টমারের বিক্রেতার ওয়েবসাইটে (ইকমার্স সাইট) পণ্যের অর্ডার
  • বিক্রেতার সেই অর্ডার Wholesaler অথবা Supplier এর কাছে হস্তান্তর
  • Wholesaler অথবা Supplier মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছান।

 

চেইন পদ্ধতিতে ড্রপশিপিং ব্যবসা পরিচালিত হয়:


ম্যানুফেকচারার পন্য তৈরি করে থাকে, তারা সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করে না, উৎপাদিত পণ্য তারা Wholesalers বা Supplier এর কাছে একটি বড় অংশ আকারে বিক্রি করে।


Retailers: ইকমার্স সাইট গুলো সরাসরি কাস্টমারের কাছে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে।

মনে করুন, আপনি অনলাইন স্টোরে একটা টি-শার্টি অর্ডার করলেন, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পেমেন্ট করলেন।


এবার Ebay কর্তৃপক্ষ সে অর্ডার তাদের Supplier এর কাছে পাঠিয়ে দেবে। কারণ, Supplier-ই পণ্য মজুদ করে থাকে।


তারপর Supplier সেই নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি আপনার ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।


সুবিধাঃ


খরচ কম: একটা অনলাইন স্টোর তৈরি করতে তুলনামূলক খরচ অনেক কম। আপনার যদি ও IT Knowledge  থাকে তবে সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ড্রপ-শিপিং এ গুদাম ঘর ভাড়া দেয়া, আসবাবপত্র তৈরি, বিদ্যুৎ বিল আরও আনুসাংগীক খরচ করার প্রয়োজন হয় না।


পন্য মজুদঃ একজন ড্রপ-শিপার এর পণ্য মজুদ করে রাখার দরকার হয় না। তাই গুদামজাত করার খরচ নিয়ে ভাবতে হয় না।


পণ্যের প্রাচুর্যতাঃ অনলাইনে পণ্যের ছড়াছড়ি তাই ড্রপ-শিপার চাহিদা মত পণ্য বাছাই করতে পারে।


পরিচালনাঃ আপনি যেখানেই থাকুন, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কমপিউটার থাকলেই যেকোনো স্থান থেকে এটি পরিচালনা করতে পারবেন।


কাস্টমারের সংখ্যাঃ একজন ড্রপ-শিপার সারা বিশ্বব্যপী পণ্য বিক্রি করতে পারে অর্থাৎ মার্কেট অনেক বড়, সে চাইলে কাস্টমারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে আর সে যদি কাস্টমারকে খুশি করতে পারে তবে তার স্টোর থেকে পরে সে আবার পণ্য কিনবে।


বর্তমানে ড্রপ-শিপিং ব্যবসা জনপ্রিয়তায় শীর্ষে, এই জনপ্রিয়তার কিছু সুবিধাজনক কারণ রয়েছে। সাধারণত অন্য ব্যবসার তুলনায় ড্রপ-শিপিং ব্যবসা সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। যেহেতু ড্রপ-শিপার(বিক্রেতা) কে পণ্য মজুদ, রক্ষণাবেক্ষণ ও কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া, এই কাজগুলো করতে হয় না, আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রকম খরচও হয় না, ঝুঁকিও কম। কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রয় করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইন স্টোরকে রক্ষণাবেক্ষণ যায়, শুধুমাত্র ইন্টারনেটসহ একটি কমপিউটার থাকলেই হবে। এইসব কারনেই ড্রপ-শিপার এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের দেশেও ব্যবসাটি সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে, সফলতাও পেয়েছে।








১ টি মন্তব্য

  • MD.Alomgir Hossain

    MD.Alomgir Hossain

    ২০২৪-০২-২৭ ০৯:২০:০৯

    Good information



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।