https://comcitybd.com/brand/Havit

সাম্প্রতিক খবর

মুক্তিযোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব

মুক্তিযোদ্ধাদের রণাঙ্গণের  বাস্তব অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত করা সম্ভব মুক্তিযোদ্ধাদের রণাঙ্গণের বাস্তব অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত করা সম্ভব
 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের  বাস্তব অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। যতবেশি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষাৎকার  একত্রিত করা যাবে ততবেশি সমৃদ্ধ হবে যুদ্ধদিনের ইতিহাস। সকল এলাকার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করার কাজটি দূরূহ হলেও তা অসম্ভব নয়। এই ব্যাপারে গণমাধ্যমসহ লেখক লেখিকা ও ইতিহাসবিদরা  গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারেন। 


মন্ত্রী আজ ঢাকায় এটিএন বাংলা কার্যালয়ে হাসান শরীফ সম্পাদিত বিজয়ের নেপথ্যে সংকলন গ্রন্থ এবং প্রতিচ্ছবি গ্রন্থের  মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।


বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ধারাবাহিকতা বর্ণনা করে বলেন ১৯৬৬‘র ছয়দফার পথবেয়ে ১৯৬৮ সালে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন কর, পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা’ শ্লোগান মুখরিত রাজপথ. ৬৯‘র গণঅভ্যূত্থানের  ধারাবাহিকতায় সত্তরের নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিলো।  একাত্তরের মার্চে শুরু হওয়া ৯ মাসের চূড়ান্ত সংগ্রামকে  জনযুদ্ধ উল্লেখ করে  মন্ত্রী বলেন, মায়েরা নিজেরা না খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়েছেন। তিনি যুদ্ধে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে  বলেন, ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্প  থেকে একটি মাত্র গ্রেনেড দিয়ে আমাকে দেশে পাঠানো হয়। বাকীটা পাকিস্তানীদের কাছ থেকে কেড়ে  নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একটি মাত্র গ্রেনেড দেওয়ার  উদ্দেশ্য ছিল বিপদে পড়লে নিজেকেই উড়িয়ে দেওয়া।  মন্ত্রী  বলেন, যুদ্ধ করে অর্জিত দেশটির অর্থনীতি ছিলো একেবারে তলানীতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিস্ময়কর নেতৃত্বে গত ১৪  বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে  বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি  এটিএন নিউজে প্রচারিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষাতকার সংকলন করে বই আকারে প্রকাশ করার জন্য এটিএন এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। 


অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক,  লে. কর্নেল  (অব.)  কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক),এটিএন বাংলা ও  এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড.মাহফুজুর রহমান এবং বইটির সম্পাদক হাসান শরীফ বক্তৃতা করেন। 


সাজ্জাদ জহির একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঘটনা বহুল তথ্য উপস্থাপন করেন। একটি যুদ্ধ কিভাবে জনযুদ্ধে পরিণত হলো সে সব বিষয়গুলো  সবিস্তারে তিনি তুলে ধরেন। ড. মাহফুজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ইন্ধিরা গান্ধীর ভূমিকা এবং তার  যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।


বইটির সম্পাদক বিজয়ের নেপথ্য বইটির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ২০২২ সালে এটিএন নিউজে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীরা  তাদের যুদ্ধদিনের  বীরত্বগাঁথা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সে সব স্মৃতি কথার সংকলন প্রকাশ করতে পেরে এটিএন পরিবার খুবই আনন্দিত।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।