বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এর উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী (২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সপ্তম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (৭মবিডিসিগ) শেষ হলো আজ। এই স্কুলের প্রথম তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাভার ক্যাম্পাসে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন অনুষ্ঠিত হলো ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ এর সম্মেলন কক্ষে। সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রথম দিনের সেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ)-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান এবং স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। প্রথম অধিবেশনটি ছিল 'প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' আলোচনা করেন অরিদ হাসান, প্রভাষক, ডিআইইউ, দ্বিতীয় সেশনটি ছিল 'ডাটা সায়েন্স'-এর উপর আলোচনা করেন মুরাদ হাসান, প্রভাষক, ডিআইইউ এবং তৃতীয় সেশনটি ছিল 'অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি টেকনোলজি'র ওপর। আলোচনা করেন অপূর্ব ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক, ডিআইইউ। দিনের শেষ অধিবেশনে ডিআইইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান, বিআইজিএফের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম বজলুর রহমান, সিইও, বিএনএনআরসি এবং বিআইজিএফের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল হক অনু বক্তব্য রাখেন।
দ্বিতীয় দিনে জনাব এএইচএম বজলুর রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিটি অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ ফেলো মিডিয়া, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচার, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, তিনি গভর্নেন্স, ইন্টারনেট গভর্নেন্স এবং ডিজিটাল গভর্নেন্স এর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, মহাসচিব, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) বিআইজিএফ এবং অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে আলোচনা সেশনে বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে সর্বশেষ বিডিসিগ সেশন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ আইজিএফের মহাসচিব ফয়সাল আহমেদ ভুবন গত দুই বছরের কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্সের ভাইস-চেয়ার নাজমুল হাসান মজুমদার সাত বছরের স্কুলের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
আশরাফুর রহমান পিয়াস, সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ স্কুল অফ ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিএসআইজি) ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ নিয়ে আলোচনা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন রেজাউল ইসলাম, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার, বিজিডি-ইজিওভি সিআইআরটি।
বাংলা ল্যাংগুয়েজ ইন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড বিষয়ে আলোচনা করেন মামুনুর রশীদ, কনসালটেন্ট, এনহ্যান্সমেন্ট অফ বাংলা ল্যাংগুয়েজ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। তৃতীয় ও শেষ দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করেন এটুআই এর ফাতিমা ইসলাম, ফ্রিল্যান্সিং ও মনেটাইজেশন নিয়ে আলোচনা করেন শামীম আহমেদ জোয়ারদার, ডিজিটাল ইকোনমি নিয়ে আলোচনা করেন তোফায়েল আহমেদ ও ডিজিটাল বিষয়ক আইন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট নিয়ে আলোচনা করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। জাতিসংঘের ডিজিটাল কমপ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করেন বিএনএনআরসি এর প্রধান নির্বাহী জনাব এএইচএম বজলুর রহমান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসানুল হক ইনু, এমপি, সভাপতি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপার্সন বাংলাদেশ ইনটারনেট গভর্নেন্স ফোরাম। তিনি ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার আহবান জানান। ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় পরামর্শ সভা আয়োজনের মাধ্যমে জাতিসংঘকে জানানোর ব্যবস্থা করার আহবান জানান। এই স্কুলে ৬১ জন বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন যেমন যুব ও যুব নারী, শিক্ষক, বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী, প্রযুক্তিবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
০ টি মন্তব্য