কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে এর অপব্যবহারও বাড়ছে। সম্প্রতি, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে, যা 'ডিপফেক' ভিডিও নামে পরিচিত। কিছু মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়ার পাশাপাশি তাদের কণ্ঠস্বর দেখে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এটি একটি ভুয়া ভিডিও। এতে বিভ্রান্তির পাশাপাশি প্রতারণাও হয়। যাইহোক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে তৈরি করা এই নকল ভিডিওগুলিকে চিনতে কিছু উপায় রয়েছে। নিরাপদ থাকতে চলুন জেনে নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিডিও শনাক্তকরণ পদ্ধতি-

একটি 'ডিপফেক' ভিডিও চিনতে, প্রথমে একজন ব্যক্তির শারীরিক গঠন, শরীরের নড়াচড়া এবং মুখের অভিব্যক্তি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের ভিডিও নিখুঁতভাবে তৈরি করতে পারে না। আর তাই যদি কোনো ভিডিও নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনার উচিত সেখানকার মানুষের নাক, কান, পা ও হাতের আকৃতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। মুখের সাথে ঠোঁটের নড়াচড়ার অসঙ্গতি থাকলে বুঝতে হবে ভিডিওটি ভুয়া।

ভিডিওতে কোনো অস্বাভাবিক দৃশ্য থাকলে সতর্ক থাকুন। এই ক্ষেত্রে, ভিডিও চালানোর সময় হঠাৎ কোনও অংশ ঝাপসা হয়ে গেছে কিনা তা সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। বিশেষ করে ভিডিওতে দৃশ্য বা আশেপাশের ব্যক্তির চেহারা বা বিভিন্ন বস্তুর গঠন বিকৃত হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।

ডিপফেক ভিডিওগুলি প্রায়শই মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করে সনাক্ত করা যায় যে ব্যক্তির ঠোঁটটি ভয়েসের সাথে মেলে কিনা। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিপফেক ভিডিওতে কথা বলার সময় ঠোঁট মেলে না। এ ছাড়া কণ্ঠস্বর ওঠানামা করলেও বুঝতে হবে ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ডিপফেক ভিডিওগুলি সাধারণত অজানা বা জাল অ্যাকাউন্ট দ্বারা প্রকাশ করা হয়। আর তাই যদি কোনো ভিডিও নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনার উচিৎ এর উৎস পরীক্ষা করা।

ডিপফেক ভিডিও চেক করার জন্য অনলাইনে বেশ কিছু টুল আছে। এসব টুল ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিও দ্রুত শনাক্ত করা যায়।