ইউটিউবে, টিকটকে, ফেসবুক রিলসে কিংবা স্পটিফাইয়ে সবখানেই বাজছে ‘জামাল কুদু’। আলোচিত–সমালোচিত বলিউডের সিনেমা ‘অ্যানিমেল’ এর বদৌলতে গানটি রীতিমতো ‘ভাইরাল’ হয়েছে। ভারতের দিল্লি, মুম্বাই থেকে কলকাতা; ভারতের বাইরে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান থেকেও লাখো মানুষ গুগলে ‘জামাল কুদু’ লিখে গানটা খুঁজে খুঁজে শুনছেন।
গানটা কেন শুনছেন? গানটি ফারসি ভাষার একটি লোকগান, খুব অল্পসংখ্যক শ্রোতাই গানের অর্থ উদ্ধার করতে পারছেন। বাকিরা কিসে মজেছেন? সুরে, নিখাদ সুরে মজেছেন শ্রোতারা। সুর–তৃষ্ণা মেটানো গানটি ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
ইরানের লোকগানটি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় নতুন করে সুরারোপ করেছেন সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর। সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মেঘনা নাইদু, সাবিহা, ঐশ্বরিয়া দাসারি, সৌনক, হার্ষিতাসহ আরও অনেকে। ১ ডিসেম্বর পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা মুক্তির পরপরই প্রশংসা কুড়িয়েছে গানটি।
ছবিতে অভিনেতা ববি দেওলের ‘এন্ট্রি সিনে’ পরিবেশন করা হয়েছে গানটি। ৬ ডিসেম্বর সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি সিরিজের ইউটিউবে গানের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে গানটি ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে উঠেছে; আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ‘ভিউ’ হয়েছে ৩১ মিলিয়নের বেশি।
এটি ইরানের পুরানো লোকসংগীত। পঞ্চাশের দশক থেকে গানটি ইরানের ‘বিয়ের গান’ হিসেবে প্রচলিত ছিল। গানের কথায় প্রেমিকার প্রতি হৃদয়ের আকুলতা তুলে ধরা হয়েছে। ‘জামাল জামাল’ শিরোনামে ইরানে পরিচিতি পাওয়া গানটি গোড়ার দিকে গেয়েছেন ইরানের হরমাজগান প্রদেশের শিল্পী ইব্রাহিম শাহ দোস্তি।
তবে গানটি ইরানে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সত্তরের দশকের ইরানি গায়ক জিয়া আতাবাইয়ের কণ্ঠে; তিনি ‘জামাল কুদু’ শিরোনামে পরিবেশন করে গানটিকে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। ইরানের পিয়ানিস্ট ও সুরকার আনুশিরভান রোহানির সুরেও গানটি রেকর্ড করা হয়; এতে একটি গার্লস গ্রুপ গানে কণ্ঠ দেয়।
ডার্কুব ব্যান্ডের গায়ক শিয়াহ জাঙ্গির কণ্ঠেও গানটি ইরানে আলোচিত হয়েছে; এখনো বিভিন্ন বাজারে, রাস্তার ধারে জাঙ্গির গানটিই বাজানো হয়। পরে ইরানের আরেক শিল্পী অমিদ জাহান গানটির রিমেক করেছেন। ইরানের মূল গান ‘জামাল জামাল’ থেকে রিমেক করেছেন সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর।
০ টি মন্তব্য