পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড, তার পরিচয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (পরে সরিয়ে দেওয়া) মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ।
তবে গত ২২ জুন থেকে তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক। অ্যাকাউন্ট স্থগিতের কারণ হিসেবে ফেসবুকের নীতিমালা বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অ্যাকটিভিস্ট (অধিকারকর্মী) পরিচয় দেওয়া সাইয়েদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, গত ১৯ জুন পরিবারের ছবি দিয়ে মুশফিকুর ও মতিউরের সম্পর্কের বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর রাতে তিনি নোটিফিকেশন পান যে তার অ্যাকাউন্টে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তখন দুই ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়। এরপর তা পুনরায় চালু হয়। কিন্তু গত ২২ জুন সকালে তিনি দেখতে পান তার অ্যাকাউন্ট ‘সাসপেন্ড’ বা স্থগিত করা হয়েছে।
সাইয়েদ আবদুল্লাহর অ্যাকাউন্ট কেন স্থগিত করা হয়েছে, তা জানতে রোববার বাংলাদেশে নিয়োগকৃত জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার কাছে ই-মেইল করা হয়।
গত সোমবার ওই জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ফেসবুক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। শুধু জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার ক্ষেত্রে তারা তিনটি বিষয় অনুমোদন দেয় না এমন কোনো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যা অন্য কারও।
প্রতারণার জন্য অন্য কারও ছবি ব্যবহার করা এবং কোনো পেজ তৈরি করা, যা অন্যের হয়ে কথা বলে। তবে, এর মধ্যে কোনটি সাইয়েদ আবদুল্লাহর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা বলা হয়নি।
সাইয়েদ আবদুল্লাহর ধারণা, তার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে একাধিক রিপোর্ট (অভিযোগ জানানো) করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ ফেসবুক নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করছে না; যারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না।
উল্টো কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। ফেসবুকের এ আচরণ দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করবে।
০ টি মন্তব্য