দেশে বর্তমানে দুই হাজার ৬৫০টি লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারী সেবা দিচ্ছে এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের পরিসর বাড়াতে ও গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে একই এলাকায় একাধিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গত সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জনান।
এ সময় অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৫০টি।
সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা দ্রুত বিস্তার এবং গুণগত মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পদক্ষেপগুলো হলো: বিটিআরসি হতে ন্যাশনওয়াইড, বিভাগীয়, জেলা ও থানা/উপজেলা ভিত্তিক এই চার ধরনের আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ১১-১১-২০১৮খ্রিঃ তারিখে বিটিআরসি হতে জারি করা বিধি মোতাবেক সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আইএসপি অপারেটররা সেবা দিচ্ছে।
একই এলাকায় একাধিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় আইএসপি অপারেটররা সেবার মান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রাহকদের পক্ষে পছন্দানুযায়ী আইএসপি হতে সেবা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আইএসপি গাইডলাইনের বিধান মোতাবেক সব আইএসপি অপারেটরকে আইআইজি প্রতিষ্ঠান হতে ব্যান্ডউইথ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
০ টি মন্তব্য