সংবাদমাধ্যম, বিনোদন জগৎসহ বিশ্বের নানা পেশার মানুষ এরই মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) নিজেদের পেশার জন্য হুমকি ভাবতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে হলিউডের লেখক, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাস্তায়ও নেমেছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, গেমিং শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়াবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
ভিডিও গেমিং শিল্পে কর্মসংস্থান কেন বাড়বে, তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গেমিংশিল্প সমিতি ‘টিগা’ এর বস ড. রিচার্ড উইলসন।
তার মতে, এআই গেম তৈরির খরচ আরও কমিয়ে দেবে এবং গেম তৈরির প্রক্রিয়াকেও আরও গতিশীল করবে। আর এই সুবিধাগুলোই গেমিং শিল্পে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করবে।
গেমের স্ক্রিপ্ট লেখা, ক্যারেক্টারগুলোর ডিজাইন করা, ভয়েস আর্টিস্ট যোগ করা বা যেকোনো দৃশ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গেম চেঞ্জার হতে পারে।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এই বিষয়গুলো গেমিং ইন্ডাস্ট্রির চাকরির বাজার ছোট করবে। কিন্তু ড. উইলসন দিচ্ছেন একেবারে ভিন্ন ব্যাখ্যা।
তার মতে, এই রুটিন কাজগুলো যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে করা হবে, নিঃসন্দেহে তা গেম তৈরির খচর কমিয়ে আনবে। এর মানে হলো খরচ কমে যাওয়ায় আরও বেশি গেম স্টুডিও প্রতিষ্ঠা পাবে।
গেমিং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যুক্তরাজ্যের গেমিং কোম্পানি দেখভালকারী সংস্থা ইউকেআইই বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলতে পারার শঙ্কা রয়েছে।
এরপরেও এআইয়ের অগ্রগতি উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করছে। গেমিং জগতের শুরুর দিকে মানুষ যখন কয়েন ঢুকিয়ে আরকেড গেমগুলো খেলত, সেগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ছিল।
বর্তমানে যেসব গেমিং বাজারে বের হচ্ছে, তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গেমের যেমন ডিফিকাল্টি লেভেল বাড়াচ্ছে, তেমনি গেমকে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসছে।
এমনও হতে পারে, নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি গেমিং মিশনগুলোকে আরও বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসবে। কারণ এর চরিত্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত হবে।
এতে গেমের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। আয়ের নতুন উৎসও সেখান থেকে তৈরি হবে। কারিশমা.এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা গাই গেডনি বলেছেন, গেমিংয়ে সাধারণত একটি ত্রিমাত্রিক জগতে গেমাররা ছোটাছুটি করেন।
আমরা চাই সেখানে গেমাররা থাকুক এবং আরও বেশি সময় ব্যস্ত থাকুক। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গেমাররা গেমের আরও ভেতরে প্রবেশ করুক।
যেখানে তারা সময় কাটাবে এবং গেমের চরিত্রের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে।’ গেমের এই ফিচারগুলো আগেও ছিল, কিন্তু সেক্ষেত্রে তা ছিল বৈচিত্র্যহীন গুটিকয়েক কথোপকথোনে সীমাবদ্ধ।
গাই গেডনি বলেন, ‘আমরা এর থেকে বেশি কিছু চাই।’ অনেকেই এরই মধ্যে ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্ট্রিমিং করে মোটা অঙ্কের অর্থ রোজগার করছে। ভবিষ্যতে এর মাত্রা আরও বাড়বে।
০ টি মন্তব্য