সমুদ্রের তলদেশ থেকে পেট্রোলিয়াম উত্তোলনে বিশাল রিগ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে পাম্প, ড্রিল, ডাইভিং প্ল্যাটফরম এবং কর্মীদের বাসস্থান এসব অয়েল রিগ।
গভীর সাগরে দীর্ঘ সময় অয়েল রিগ কর্মীরা কাজ করে, মূল ভূখণ্ড এবং লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। স্কটল্যান্ডের উত্তর সাগরে অবস্থিত এক কাল্পনিক অয়েল রিগে ১৯৭৫ সালে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে ‘স্টিল ওয়েকস দ্য ডিপ’।
গেমটি তৈরি করেছে অ্যামনেসিয়া এবং লিটল অরফিয়াসের জন্য বিখ্যাত স্টুডিও দ্য চায়নিজ রুম। গেমের মূল চরিত্র ক্যাজ। অয়েল রিগ মেরামত দলের এক কর্মী।
ফার্স্ট পারসনে ক্যাজকে নিয়েই খেলতে হবে গেমারকে। শুরুতে দেখা যাবে অয়েল রিগে দৈনন্দিন সব কাজকর্ম, দলের বাকিরা বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্মে থাকবে ব্যস্ত, গেমারকেও ছোটখাটো কাজ করে দিন পার করতে হবে।
দলের বাকি কর্মীদের এবং তাদের সঙ্গে ক্যাজের আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে গেমার অয়েল রিগের পরিবেশ সম্পর্কে বেশ কিছুটা ধারণা পাবে।
সাধারণত গেম মানেই মার্কিনি ইংরেজি ডায়ালগ এবং কণ্ঠ, এ গেমটিতে খাঁটি আঞ্চলিক স্কটিশ কথাবার্তা ব্যবহার করা হয়েছে।
এর মধ্যেই স্কটল্যান্ডবাসী গেমটিকে সেটির জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে। এক রাতে সাগরের গভীর থেকে উঠে আসে কুিসত এক দানবীয় প্রাণী, কর্মীদের প্রায় সবাই হয় মারা যায়, নাইলে পরিণত হয় দানবে।
শুধু ক্যাজই যায় বেঁচে। বাকি গেমপ্লে চিরচেনা সারভাইভাল হরর দানবদের থেকে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করা, উদ্ধারের জন্য চেষ্টা এবং অবশেষে অপশক্তিকে পরাজিত করা।
গেমটি ওপেন ওয়ার্ল্ড নয়, বরং লিনিয়ার। কাহিনির দৈর্ঘ্যও খুব বেশি নয়। তবে তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত কাহিনি গেমটির জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই কাজ করেছে।
গেমটি বিরক্তিকর লাগতে শুরু করার আগেই শেষ হয়ে যাবে, একঘেয়েমি লাগবে না। যারা এর মধ্যেই ‘অ্যামনেসিয়া’ বা ‘আউটলাস্ট’ খেলেছে, তাদের কাছে গেমটি পরিচিত লাগবে, বলা যায় সবচেয়ে বেশি মিল আছে ‘এলিয়েন: আইসোলেশন’ গেমটির সঙ্গে।
গ্রাফিকস এবং গেমের পরিবেশ চমৎকার। ১৯৭৫ সালের অয়েল রিগ এমন একটি পটভূমি, যা নিয়ে তেমন গেম কখনোই তৈরি হয়নি।
আর তাই তো গেমপ্লেতে নতুনত্ব না থাকলেও স্টিল ওয়েকস দ্য ডিপ গেমটিকে পুরনো লাগবে না। তবে গেমের এআই এবং শত্রুদের চালচলন চমৎকার, সহজেই তাদের পাশ কাটানো বা পরাস্ত করা যাবে না।
বয়স: গেমটি বড়দের জন্য।
খেলতে যা যা লাগবে: অন্তত কোয়াডকোর ইন্টেল বা এএমডি প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, আরটিএক্স ২০৫০ বা আরএক্স ৬০০০ সিরিজের জিপিইউ এবং ৯ গিগাবাইট জায়গা।
০ টি মন্তব্য