শ্যাঙ্ক ২
ক্লেই এন্টারটেইনমেন্টের ডেভেলপ করা শ্যাঙ্ক নামের গেমটি ২০১০ সালে বের হওয়ার পরে গেমার মহলে বেশ সাড়া পড়ে। গেমটির নতুন আঙ্গিকের গেমপ্লে এবং গ্রাফিক্স স্টাইল সবার নজর কেড়েছিল। টুডি অ্যানিমেটেড কমিক স্টাইল গ্রাফিক্সের এ গেমটির নায়ক শ্যাঙ্কের নামেই গেমের নামকরণ করা হয়েছিল। ইলেকট্রনিক্স আর্টসের পাবলিশ করা এ দুর্দান্ত অ্যাকশন গেমটি বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছিল সে সময়ে। গেমটির সাফল্যের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বের করা হয়েছে গেমটির দ্বিতীয় পর্ব-যার নাম শ্যাঙ্ক ২। আগের গেমের চেয়েও গেমটি আরো উন্নত ও চ্যালেঞ্জিং করে তোলা হয়েছে।
শ্যাঙ্ক ২ গেমটিতে শ্যাঙ্কের আউটফিট বদল করে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। শ্যাঙ্কের অস্ত্রের ভান্ডারেও এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। শ্যাঙ্কের হাতের ছোট চাকু, তার অফিশিয়াল উইপন চেইন’স, ডুয়াল ম্যাশেট, শটগান ইত্যাদি পুরনো অস্ত্রের কোনো রদবদল হয়নি। নতুন যুক্ত হয়েছে বিশাল হাতুড়ি ও থ্রেয়িং নাইফ। গেমে নতুন একটি চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে, যার নাম কোরিনা। কোরিনার অস্ত্রগুলোতে ভ্যারিয়েশন কম, কিন্তু সেগুলো বেশ কার্যকর। আগের গেমে কো-অপ প্লেয়ার হিসেবে শ্যাঙ্কের সাথে তার বন্ধু ছিল। সেই জায়গায় বদলি করা হয়েছে শ্যাঙ্কের প্রেমিকা কোরিনাকে। গেমের অস্ত্রগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে- লাইট উইপন, হেভি উইপন, রেঞ্জ উইপন ও এক্সপ্লোসিভ। গ্রেনেডের পাশাপাশি এবারে রাখা হয়েছে মটোলভ ও মাইন, যা গেমে এনেছে নতুন স্বাদ। সিঙ্গেল ক্যাম্পেইনে একটি স্টেজে কোরিনাকে নিয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে প্রায় ১৬টি ক্যারেক্টার নিয়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। ক্যারেক্টারগুলোর প্রতিটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গেমটিকে করে তুলেছে বৈচিত্র্যময়। কো-অপ বা মাল্টিপ্লেয়ার বা সারভাইভাল মোডে অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে গোলাবারুদ, লাইফ, রিইনফোর্সমেন্ট কেনা যাবে।
গেমের মূল লক্ষ্য হবে এক সন্ত্রাসী চক্রকে শিক্ষা দেয়া এবং শ্যাঙ্কের পরিচিতজনদের সুরক্ষা করা। গেমের গ্রাফিক্সের কথা না-ই বললাম, কারণ ব্যতিক্রমধর্মী এ গ্রাফিক্সের সাথে অন্য কারো তুলনা চলে না। শ্যাঙ্কের ওপরে একটি কমিকস বের হয়েছে, যা ডাউনলোড করতে পারবেন Www.bdbloggerz.com/downloads/comics থেকে। গেমের মিউজিক বেশ উপভোগ্য। গেমটি আরো উপভোগ্য হতো যদি এতে কিছু আর্ট গ্যালারি, স্পেশাল চিটকোড, ওয়ালপেপার ইত্যাদি সংযুক্ত থাকতো। থ্রিডি গেমগুলোর সাথে তুলনা করলে টুডি গেম হিসেবে গেমটি বেশ ভালোমানের হয়েছে। বেশ হালকা এবং তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের গেমটি সবার পছন্দ হবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। গেমটিতে রক্তারক্তির পরিমাণ বেশি, তাই গেমটি ছোটদের না খেলাই ভালো।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর : পেন্টিয়াম ৪ ১.৭ গিগাহার্টজ বা এএমডি এথলন এক্সপি ১৬০০+
র্যাম : ১ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স কার্ড : জিফোর্স ৬৮০০এক্সটি বা রাডেওন ৩৬৫০
০ টি মন্তব্য