https://powerinai.com/

প্রযুক্তির খবর

তথ্যপ্রযুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি

তথ্যপ্রযুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি তথ্যপ্রযুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি
 

তথ্যপ্রযুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুতি


তথ্যপ্রযুক্তির সুফল নিয়ে আজ বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই৷ তথ্যপ্রযুক্তি যে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে এগিয়ে চলার সর্বোত্তম বাহন, সে উপলব্ধি আজ একজন সাধারণ মানুষের মধ্যেও আছে৷ বাস্তবতার আলোকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সে বোধ জেগেছে৷ ফলে তথ্যপ্রযুক্তি আজ যেনো সবার চাহিদা তালিকায় অগ্রাধিকার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে৷ সবারই প্রত্যাশা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সহজ সুযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি সেবার রাজ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার৷


কিন্তু শুধু চাইলেই তো আর হবে না, তা পাওয়ার জন্য নিজেদের সেভাবে তৈরি করতে হয়৷ সেজন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে হয়৷ আর যোগ্যতা অর্জনের অপর অর্থ হচ্ছে নিজেদের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে তোলা৷ নিজেদের যথাযোগ্য করে তোলা৷ যোগ্যতর করে তোলা৷ দক্ষ করে তোলা৷ শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ্যর সৃষ্টি ছাড়া তা সম্ভব নয়, এটি সহজবোধ্য এক ব্যাপার৷ কিন্তু জাতীয় জীবনে আমাদের মধ্যে সে সহজবোধটুকুর উপলব্ধি আমাদের অভিধানের বাইরে৷ নইলে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপারে আরো বেশি করে সচেতন হতে পারতাম৷ নিজেদের জন্য তৈরি করতে পারতাম একটি শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিপ্রজন্ম৷ সেই সূত্রে নিজেরা পারতাম প্রযুক্তির ফসল তৃপ্তির সাথে নিজেদের ঘরে তুলতে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা এখনো অনেকটা দর্শকের ভূমিকায়৷ কারণ, নাজুক আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির জন্য প্রস্তুতি৷


এই তো এ বছর ওয়ার্ল্ডইকোনমিকফোরাম ২০০৭-০৮ সারে জন্য যে গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্ট প্রকাশ করালে তাতে আমাদের নেটওয়ার্ক রেডিনেসকে একদম নাজুক অবস্থায় দেখানো হয়েছে৷


দুঃখের সাথে উল্লেখ করতে হয়, নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্স বা নেটওয়ার্কসংক্রান্ত প্রস্তুতি সূচকে ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তম৷ আমাদের নিচে অবস্থান নিয়েছে মাত্র ৩টি দেশ৷ দেশ তিনটি যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি ও চাঁদ৷ এর আগে ২০০৬-০৭ সালের এ রিপোর্টে ১২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৮তম৷ সে বিবেচনায় আমাদের নেটওয়ার্ক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অবস্থানের অবনমন ঘটেছে এবারের রিপোর্টে৷ আমাদের মতো এবার ভারতের অবস্থানও আগের ৪৪তম স্থান থেকে নেমে ৫০তম স্থানে এসেছে৷ পাকিস্তানের অবস্থান ৮৪তম থেকে নেমে এসেছে ৮৮তম স্থানে৷ শ্রীলঙ্কা অবশ্য এর অবস্থান ৮৩তম থেকে ৭৮তম স্থানে তুলে এনেছে৷


নেটওয়ার্ক রেডিনেস র্যা ঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে ডেনমার্ক৷ গত বছরও দেশটি এক নম্বরেই ছিল৷ একইভাবে পর পর দুই বছর সুইডেন দখল করে নিয়েছে দ্বিতীয় স্থানটি৷ এবার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড৷ আগের বছর ছিল পঞ্চম স্থানে৷ সেরা দশে স্থান পাওয়া দেশগুলো যথাক্রমে : ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আইসল্যান্ড, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং নরওয়ে৷ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি নরডিক দেশের এই শীর্ষ দশে অবস্থান নেয়া থেকে এটুকু স্পষ্ট, নরডিক দেশগুলো ই-রেডিনেসে জোরালো অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে৷ তবে সেরা বিশে বেশ কিছু এশীয় দেশও স্থান করে নিতে পেরেছে দেশগুলো হলো : সিঙ্গাপুর ৫ম, হংকং ১১তম, অস্ট্রিয়া ১৫তম, তাইওয়ান ১৭তম এবং জাপান ১৯তম৷ কিন্তু এশিয়ার বৃহত্তম বিকাশমান অর্থনীতির দেশ ভারতের অবস্থান ৫০তম স্থানে থাকাটা অনেকটা বেমানানই মনে হয়৷ আর আমাদের অবস্থান তো একদম তলানিতে৷


আসলে নেটওয়ার্ক রেডিনেস একটা জাতির তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে সার্বিক প্রস্তুতিরই সমার্থক৷ এক্ষেত্রে আমাদের নাজুক অবস্থা কার্যত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের সার্বিক দুর্বলতারই পরিচায়ক৷ এ দুর্বলতা কাটানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক জোরালো মনোযোগ দিতে হবে৷ এ খাতে অর্থ ব্যয়ের জাতীয় মানসিকতা তৈরি করতে হবে, সেই সাথে যথাযোগ্য জনকে যথাযোগ্য স্থানে দায়িত্বে নিয়োজিত করে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার মান যেমনি বাড়াতে হবে, তেমনি এর ব্যাপকতাও বাড়াতে হবে৷ শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণে থাকতে হবে যুগোপযোগী ও হালনাগাদ পাঠসূচী৷ তবেই আমরা জাতীয়ভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ফসল ঘরে তোলার জন্য নিজেদের যথাযোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবো৷








১ টি মন্তব্য

  • Shamim Miah

    Shamim Miah

    ২০২২-১০-১৮ ১২:০৮:৪৭

    IT kom buji



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।