ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক ও বিজয় বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্তিতে বিটিআরসি'র পক্ষ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার মহোদয়কে সংবর্ধনা।
ড.দীনেশ চন্দ্র সেন গবেষণা পরিষদ, ঢাকা ও আচার্য দীনেশ চন্দ্র রিসার্স সোসাইটি, ভারতের যৌথ উদ্যোগে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক এবং জাতীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডিওআরআরপি) কর্তৃক বিজয় বন্ধু’ সম্মাননা অর্জন করায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার মহোদয়কে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বিটিআরসি’র প্রধান সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ইন্টারনেটে বাংলা দেখা ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার প্রমীত মান নির্ধারণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার মহোদয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নব্বই দশকের পর থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে মন্ত্রী মহোদয়ের অসামান্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব পরিমন্ডলে নেতৃত্ব দিবে।
ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্বর্ণপদক ও বিজয় বন্ধু সম্মাননা অর্জন করায় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে অভিনন্দন জানিয়ে কমিশনের লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার জনাব আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বলেন, বিজয় সফটওয়্যার উদ্ভাবন ও বাংলা ভাষার মান উন্নয়নে মোস্তাফা জব্বার মহোদয়ের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তার স্বীয় প্রতিভায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে অবদান রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সংযোজন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নে তার বিভিন্ন অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার মহোদয় একজন দূরদর্শী দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ, যিনি নব্বই দশকেই বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছিলেন। বিজয় কি-বোর্ডের মাধ্যমে বাংলা ভাষার সাথে প্রযুক্তির সংযোগে তার অবদান উল্লেখযোগ্য জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে "এক দেশ এক রেট" বাস্তবায়িত হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) জনাব মোঃ মাহবুব-উল-আলম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার নেত্রকোণার অত্যন্ত অজপাড়াগাঁও থেকে বর্তমান পর্যায়ে এসেছেন। ভাষার উন্নয়নে মাননীয় মন্ত্রী অগ্রগামী সৈনিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজয় কি-বোর্ড উদ্ভাবন করে তিনি বিশ্বের কাছে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের প্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরিতে বিটিআরসি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।
সম্মাননা বা স্বীকৃতি যেকোনো কাজে কাউকে উৎসাহিত করে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটোই রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রুপান্তরে দূর্গম অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে বিটিআরসি’র সামাজিক যোগাযোগ তহবিলের অর্থে গৃহীত প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর যন্ত্রে বাংলায় লেখা চ্যালেঞ্জিং ছিল, সেই ভাবনা থেকে বিজয় কি বোর্ডের উৎপত্তি হয়। বাংলার ৪৫৪ টা বর্ণ ইংরেজি কিবোর্ডে সংযোজন করাটা জটিল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলার বর্ণের প্রযুক্তিগত জটিলতা নিরসনে দেড় বছরের বেশি সময় আপ্রাণ চেষ্টা করতে হয়েছিল। মন্ত্রী মহোদয় বলেন, পশ্চাতপদতার জায়গা থেকে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে বিটিআরসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ যাতে সাশ্রয়ী দামে জনগণ ক্রয় করতে পারে সেজন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় তৎকালীন সরকারকে অনুরোধ জানান। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোস্তাফা জব্বার এর ভূমিকা অনস্বীকার্য বলেও উল্লেখ করে তিনি ।
কমিশনের সচিব জনাব মোঃ নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মনিরুজ্জামান জুয়েল, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডুসহ বিটিআরসির উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।
০ টি মন্তব্য