https://www.brandellaltd.com/

সাম্প্রতিক খবর

মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উপযোগিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উপযোগিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উপযোগিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
 

দেশে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন নারীরা। গর্ভাবস্থায় ও প্রসবোত্তর চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই জটিলতা কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে। মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি উপযোগী হতে পারে। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় এ প্রযুক্তি কী কী উপকারে আসতে পারে, কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে কী কী করণীয় এই বিষয়ক এক কান্ট্রি কর্মশালার আয়োজন করে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 


উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ারি যোগ দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জনাব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং পলিসি এডভাইজর আনীর চৌধুরী। 


এসময় এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, অ্যাসোসিয়েশন অফ প্যাসিফিক রিম ইউনিভার্সিটিজ (এপিআরইউ), গুগল এবং ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক এর তত্ত্বাবধানে ‘এআই ফর সোশ্যাল গুড’ বিষয়ের উপর দুটি পলিসি রিসার্চ পেপার উপস্থাপন করে হুয়াই প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর গবেষক দল।


দেশের স্বাস্থ্য সেবায় জাতীয় পর্যায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে এই পলিসি রিসার্চ পেপার কীভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণে ঝুঁকি বিশ্লেষণে এই গবেষণা ফলাফলটি বাস্তয়নে কী কী ধরনের কারিগরি জটিলতায় পড়তে পারে এবং জটিলতা নিরশনে কী কী করণীয় এসময় তা তুলে ধরা হয়।


দিনব্যাপী এই আয়োজনে উপস্থিত সরকারি এবং বেসরকারি অংশীদারগনের মধ্যে গবেষণাপত্রের গবেষণার ফলাফলগুলিকে সামাজিকীকরণ এবং গবেষণার ফলাফলগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সরকারি নীতিতে প্রাথমিক অন্তর্ভুক্তিতে মূল পয়েন্টসমূহ চিহ্নিত করাসহ প্রেগন্যান্সি মনিটরিং-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণই ছিল কর্মশালার উদ্দেশ্য।


কর্মশালায় প্রেগন্যান্সি মনিটরিং বিষয়ক দুটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ‘মোবিলাইজিং এআই ফর ম্যাটারনাল হেলথ ইন বাংলাদেশ’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাঃ অলিভিয়া জেনসেন এবং ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) ইন প্রেগন্যান্সি মনিটরিং: টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জের অফ বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আরিফ রহমান। সরকার কীভাবে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কী নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন গবেষকগণ।


গবেষণাপত্রটি মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বাংলাদেশে এআই প্রযুক্তিনির্ভর গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার সম্ভাব্য সুবিধাগুলি দেখার চেষ্টা করে। বর্তমানে, বাংলাদেশে গর্ভবতী নারীদের পর্যবেক্ষণ করা সিস্টেমেটিক নয়, অনেক নারী বিভিন্ন কারণে এই পরিষেবার থেকে বঞ্চিত। একটি এআই-বাবহারিত প্রযুক্তি  পরিশেবা গর্ভবতী নারীদের ক্রমাগত পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের ফলাফল উন্নত করার সম্ভাবনা রাখে, তবে এর জন্য প্রচুর পরিমাণে ডেটার প্রয়োজন। যদিও ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড/ইলেক্ট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড (ইএইচআর/ইএমআর) সিস্টেম স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে ডেটা রেকর্ড করার সর্বোত্তম উপায়, তবে বাংলাদেশে এখনও একটি সর্বজনীন ইএইচআর সিস্টেম নেই। বাংলাদেশ 2025 সালের মধ্যে একটি সর্বজনীন ইএইচআর সিস্টেম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে, তা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এই সমীক্ষাটি বাংলাদেশের বর্তমান মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো পরীক্ষা করে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ চিহ্নিত করে এবং চিহ্নিত চ্যালেঞ্জগুলি কমিয়ে এআই- ভিত্তিক গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ  সেবা ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশ করে৷

 

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্রা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাতৃ স্বাস্থ্যসেবাসহ জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার সুযোগ আছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু কারিগরি ও অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে এসব উন্নয়নের বিকল্প নেই। এসময় স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারে নীতিগত আইন প্রণয়ন করার পরামর্শ দেন অতিথিরা।  


এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা: অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন, এমএনসি অ্যান্ড এএইচ বিভাগের লাইন ডিরেক্টর এম. সায়েদুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের লাইন ডিরেক্টর সাবিনা পারভীনসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, এটুআই-এর পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট ডাঃ শবনম মোস্তারী, মোহাম্মাদ রায়হানুল হক এবং এটুআই প্রোগ্রাম, অ্যাসোসিয়েশন অফ প্যাসিফিক রিম ইউনিভার্সিটিজ (এপিআরইউ), গুগল এবং ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- এর ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।  








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।