https://comcitybd.com/brand/Havit

সাম্প্রতিক খবর

খসড়া জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালার সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ফোকাস গ্রুপ অলোচনা

খসড়া জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালার সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ফোকাস গ্রুপ অলোচনা খসড়া জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালার সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ফোকাস গ্রুপ অলোচনা
 

“খসড়া জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২৩” এর সাথে “স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১” এবং “স্মার্ট বাংলাদেশ আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০৪১” এর মাঝে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ফোকাস গ্রুপ অলোচনা (FDG)  বাংলাদেশের জনগণ


এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর স্বপ্নযাত্রার সন্ধিক্ষণে বলে মন্তব্য করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার। তিনি বলেন, অবকাঠামো এবং সংযোগ এই দুটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রণীত ব্রডব্যান্ড নীতিমালা যাতে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যানকে সমর্থন করতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই বিটিআরসি কাজ করছে। 


বৃহস্পতিবার সকালে এটুআই প্রোগ্রাম’র প্রধান সভা কক্ষে “খসড়া জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২৩” এর সাথে “স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১” এবং “স্মার্ট বাংলাদেশ আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান ২০৪১”এর মাঝে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। 


স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে খসড়া ব্রডব্যান্ড পলিসির উল্লেখিত বিষয় সমূহে গঠনমূলক মতামত প্রদনাদের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলে পর্যায়ক্রমে জনগণের ঘরে ঘরে ইন্টারনেট এর সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। 


অনুষ্ঠানে শুরুতে বিটিআরসি’র সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ব্রডব্যান্ড পলিসি প্রণয়নের প্রেক্ষাপট, অদ্যাবধি গৃহীত কার্যক্রম এবং প্রস্তুতকৃত খসড়া ব্রডব্যান্ড পলিসিতে উল্লেখিত বিষয়সমূহের উপর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আলোকপাত করেন। 


তিনি উল্লেখ করেন ব্রডব্যান্ড পলিসি এর সাথে বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নের সমন্বয় সাধনের জন্য সকলের নিকট থেকে মতামত, প্রস্তাবনা জানা প্রয়োজন। সেই লক্ষে বিটিআরসি হতে এটুআই কে এই ধরণের ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন আয়োজনের অনুরোধ করা হয়। বিটিআরসির আহবানে সাড়া দিয়ে ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন আয়োজন করার জন্য তিনি এটুআইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


সভাপতির বক্তব্যে এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন যে, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নের অন্যতম মূল স্তম্ভ হলো ইনফ্রাস্ট্রাকচার তথা ব্রডব্যান্ড। তাই স্মার্ট বংলাদেশে বিনির্মাণের গতি ত্বরাণ্বিত করতে হলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট এক্সেস বৃদ্ধি করতে হবে। 


স্মার্ট বাংলাদেশে IOT ভিত্তিক ডিভাস ব্যবহৃত হবে ফলে ব্যান্ডউইডথ এবং স্প্রিডের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য স্মার্ট ডিভাইস সকল স্তরের জনগণের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। এসকল বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্ত করে ব্রডব্যান্ড পলিসি স্মার্ট বাংলাদেশ রূপরেখা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। এছাড়াও, স্মার্ট বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বেশি বেশি গবেষণার প্রয়োজন প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি জাপানের উদাহরণ দেন।


এটুআই এর হাফিজুর রহমান স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যান ২০৪১ এর উপর আলোকপাত করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ এর স্তম্ভসমূহ পরিকল্পনার বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যান ২০৪১ বাস্তবায়নে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। 


কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অংশগ্রহণকারীরা চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্কিং সেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। গ্রুপগুলো নিম্নোক্ত চারটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন: (১) স্মার্ট সিটিজেন (২) স্মার্ট গভর্মেন্ট (৩) স্মার্ট ইকোনমি (৪) স্মার্ট সোসাইটি


গ্রুপ-১ এর সুপারিশমালায় জগণের জন্য ইন্টারনেট প্রাপ্তি ও ব্যবহারের নিশ্চয়তা এবং এ বিষয়ে সাবসিডির মাধ্যমে সরকারে পদক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় । এছাড়া, সকল বয়সী জনগণের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষার ব্যাপ্তি বিশেষত কম্পিউটার ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্যবহার, সাইবার নিরাপত্ত প্রভৃতি বৃদ্ধি। জনণের তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়টি তারা সুপারিশ করেন।


গ্রুপ-২ এর সুপারিশমালায় স্মার্ট সংযোগের বিয়টি গুরুত্ব দিয়ে সরকারি বেসরকারী অংশীদারীত্বের ধরণ  নির্ধারণ এবং দায়িত্ব বন্টন এর প্রয়জনীয়তা তুলে ধরেন। এছাড়াও, বর্তমান বিদ্যমান প্রস্তুতির সাথে ভবিষ্যৎ সময়োপযোগী পরিকল্পনার বিষয়ে জোরদার করেন। 


গ্রুপ-৩ এর সুপারিশমালায় ফাইবার স্থাপন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা নির্ধারণ ও ট্রান্সমিশন সুবিধা জোরদার করার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও, দেশিয় কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ এর উপর নির্ভরতা হ্রাস, দেশিয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন।


গ্রুপ-৪ এর সুপারিশমালায় ৪জি মোবাইল ব্রডব্যন্ডের প্যানিট্রেশন বৃদ্ধি ও সাশ্রয়ী স্মার্ট ডিভাসের ব্যবহার বৃদ্ধির গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও, নির্মানাধীণ ভবনের নকশায় আইসিটি যন্ত্রপাতি সংযোগের সুবিধা রাখার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি সুপারিশে উঠে আসে।

   

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএসসিসিএস, বিটিসিএল, মোবাইল অপারেটর, আইআইজি, এনটিটিএন, আইএসপিএবি, এটুআই, টেলিকম সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।