ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুই হাজার রোগী। আর এ সময় মৃত্যু হয় ১০ জনের। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে (১৪ আগস্ট, সকাল ৮:০০ টা থেকে ১৫ আগস্ট, ৮:০০ টা পর্যন্ত), ১,৯৮৪ জন ডেঙ্গুর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৩১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৫৩ জন।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৯৬ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৭৯ জন। এ বছর প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে মোট রোগীর সংখ্যা বেশি।
মোট রোগীর মধ্যে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৮০ হাজার ৩৩২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৯ হাজার ১১৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং পাঁচজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৪২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২৩ জন ঢাকা সিটি হাসপাতালে এবং ১০৩ জন রাজধানীর বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে, ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল। অধিদপ্তর জানায় সেই বছর ২৮১ জন মারা গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ৩ আগস্ট সেই রেকর্ড ভেঙে যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ হাজার ৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মারা যান ২০৪ জন। জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৬ জন। সে সময় ৩৪ জন মারা যান। বছরের প্রথম মাসে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১ দশমিক ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন এবং এপ্রিল ও মে মাসে দুজন মারা যান।
২০০০ সালে দেশে প্রথম ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তারপর ২০০৯ সালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন এবং মারা যান ১৭৯ জন।
০ টি মন্তব্য