ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) এবং এয়ার ফোর্স অফিস অফ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন যৌথভাবে দুই পৃষ্ঠার সতর্কতা বুলেটিনটি জারি করেছে।

অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য গবেষণা এবং বাণিজ্য গোপনীয়তা সম্পর্কিত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করতে পারে, সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। একজন মার্কিন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে আমরা মার্কিন অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান মহাকাশ খাতে ক্রমবর্ধমান হুমকির আশঙ্কা করছি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মার্কিন মহাকাশ শিল্পের জন্য চীন ও রাশিয়া প্রধান বিদেশি গোয়েন্দা হুমকি।

সম্প্রতি বিশ্বশক্তিগুলো মহাকাশ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কোম্পানি এ খাতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। দেশের মহাকাশ গবেষণা নাসাও একের পর এক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ঠিক তখনই গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে দেয়।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মহাকাশ গবেষণা কর্মীদের বিদেশী প্রকল্পে কাজ করা বা অর্থের বিনিময়ে সংস্থার মধ্যে থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক বছর ধরে বলে আসছে যে চীনা হ্যাকাররা মার্কিন মহাকাশ গোয়েন্দাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এই লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে নাসা গর্ডাড স্পেস সেন্টার এবং জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি।

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চীন মহাকাশ ভ্রমণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। বেইজিং বলছে তাদের মহাকাশ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তবে ওয়াশিংটন জোর দিয়ে বলে যে বেইজিং তার সামরিক কৌশলের জন্য স্থানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। চীন ২০৪৫ সালের মধ্যে মহাকাশ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়।